বার বার আদালতে আনা নেয়ায় অসুস্থ হয়েছেন রিজভী : ইউট্যাব
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০৩ পিএম, ২৬ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৮:৫৫ পিএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
কারাগারে বন্দী বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর শারীরিক অসুস্থায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অনতিবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তি এবং সুচিকিৎসার দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)।
ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো: মোর্শেদ হাসান খান বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে উদ্বেগ জানিয়ে তার মুক্তির দাবি করেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী প্রায় দেড় মাসের বেশি সময় ধরে কারাবন্দী রয়েছেন। রিজভী একজন মার্জিত, পরিচ্ছন্ন ও সুপরিচিত রাজনীতিবিদ। গত সোমবার থেকে তিনি পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করছেন এবং বমি করেছেন। এমতাবস্থায় তার জীবনে বড় ধরনের জটিলতার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, এমনিতেই তিনি নানা রোগে আক্রান্ত। মহামারী করোনাকালেও তিনি কয়েক বার করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রায় চার মাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাকে চিকিৎসকের পরামর্শে খুবই মেপে জীবন যাপন করতে হয়। অথচ কারাগারের ভেতরে রিজভীকে জীর্ন কক্ষে স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে থাকতে দেয়া হয়েছে। তাকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে নেয়ার পর সপ্তাহে প্রায় তিন থেকে চার দিন আদালতে আনা নেয়া করা হচ্ছে। একজন বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিকে এভাবে বার বার কারাগার থেকে আদালত এবং আদালত থেকে কারাগারে নেয়ার কারণে রিজভী আরো বেশি অসুস্থ হয়েছেন বলেই সর্বমহলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
ইউট্যাবের শীর্ষ দুই নেতা অভিযোগ করেন, আমরা জেনেছি, রিজভীর স্ত্রী আরজুমান আরা আইভী কারাগারে গেলে তাকে স্বামীর সাথে দেখা করতে দেয়া হয়নি। কারা কর্তৃপক্ষকে বার বার ফোন দিলেও তারা ফোন ধরেননি। কারাগারে গিয়ে যোগাযোগ করলে জেল সুপার দেখা করেননি, রিজভীর সাথেও দেখা করতে দেননি। ডেপুটি জেলার আমিনুর রহমান দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রেখে বলেন, ‘রিজভী সাহেব ভালো আছেন। তাকে চিকিৎসকরা দেখাশোনা করছেন। আপনি চলে যান।’ একজন অসুস্থ ব্যক্তির স্ত্রীকেও দেখা করতে না দেয়াটা অমানবিক।
তারা আরো বলেন, রুহুল কবির রিজভী শুধু রাজনীতিবিদন নন, তিনি একজন আইনজীবীও বটে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাবেক নির্বাচিত ভিপি। তিনি ৯০’র দশকে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে নিজের জীবনবাজি রেখে প্রাণপণ লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। রিজভীর ন্যায় অসংখ্য ছাত্রনেতা স্বৈরতন্ত্রের পরিবর্তে গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠা করতে ওই সময় রাজপথে নেমে এসেছিলেন। রিজভী পরবর্তীতে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ইউট্যাবের নেতৃদ্বয় বলেন, আমরা শিক্ষক সমাজ মনে করি যে, রিজভীর মতো একজন সজ্জন রাজনীতিবিদকে কারাগারের ভেতরে নিম্ন পরিবেশে থাকতে দেয়ার কারণেই তার শারীরিক অবস্থা আরো অবনতি হয়েছে। তা না হলে, যেই রিজভী সুস্থ অবস্থায় কারাগারে গেলেন সেই ব্যক্তি কিভাবে এতো অল্প সময়েই গুরুতর অসুস্থ হলেন? অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি এবং কারাগারের বাইরে বিশেষায়িত হাসপাতালে সুচিকিৎসার দাবি জানানতারা।
নেরতৃদ্বয় বলন, কারাগারে রুহুল কবির রিজভীর কিছু হলে তার দায় সম্পূর্ণভাবে কারা কর্তৃপক্ষ এবং সরকারকেই বহন করতে হবে।