শীতের কষ্টের সঙ্গে ভাতের কষ্টেও রেখেছে সরকার : মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪৭ পিএম, ২১ জানুয়ারী,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৬:১৮ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
সরকার সাধারণ মানুষকে শীতের কষ্টের সঙ্গে ভাতের কষ্টেও রেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, এ সরকার সবকিছুর দাম বাড়িয়েছে। আপনাদের শীতের কষ্ট, ভাতের কষ্টেও রেখেছে। চালের দাম বাড়িয়ে দ্বিগুণ করেছে। গ্যাসের দাম, ডালের দাম, বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে কষ্টে রেখেছে। গরিব মানুষ গরিব হচ্ছে, আর তারা ধীরে ধীরে ফুলছে। ব্যাংকের ঋণ নেয়ার নামে বিদেশে টাকা পাচার করছে। যার স্যান্ডেল পরার ক্ষমতা ছিল না সে এখন গাড়িতে ঘুরছে, দশ তলা বাড়ি করছে।
আজ শনিবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি কার্যালয়ে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। মহাসচিব বলেন, আজকে বাড়ি থেকে অফিসে হেঁটে আসলাম। আসার পথে দেখলাম রাস্তাঘাটের অবস্থা একেবারে নাজেহাল।
সব উঠে গেছে রাস্তার। এটাই হচ্ছে ১৪ বছরের তাদের বাস্তব চিত্র। আর উন্নয়নের নাম দিয়ে এ সরকার জনগণকে বোকা বানাচ্ছে। আমরা আমাদের ২৭ দফা প্রস্তাব দিয়েছি। আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই। তবে আওয়ামী লীগের অধীনে কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ নয়। কারণ তারা কাউকে ভোট দিতে দেয় না। তাদের কথা হলো, আমার ভোট আমি দেব, তোমার ভোটও আমি দেব। আগামীতে আর এরকম করতে দেয়া হবে না। শান্তিপূর্ণভাবে এর বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
কিছু বললেই তারা মামলা দিয়ে দেয় মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, এ সরকার খারাপ এ কথাটা বললে তারা মামলা দিবে। তাদের বিরুদ্ধে কোন কথা বলা যায় না। যদি কথা বলায় না যায় তাহলে আমরা দেশকে স্বাধীন করেছিলাম কেন। আমরা গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছি। পাকিস্তান আমাদের সাথে জুলুম করতো আমরা তাদের কে বলেছি আসসালামু আলাইকুম। অথচ তাদের মতোই শাসন ব্যবস্থা কায়েম করছে এ সরকার। তবে তা আর করতে দেয়া হবে না।
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কারাগারে রাখার সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমাদের চেয়ারপার্সনের সাথে সাধারণ মানুষের ন্যায় আচরণ করা হয়েছে। হাজী সেলিমের জামিন হয়, ক্যাসিনো সম্রাটের জামিন হয়, ১৭ বছর কারাদন্ড হওয়ার পর মোফাজ্জল হোসেন মায়া আওয়ামী লীগের বড় নেতা হয়ে ঘুরে বেড়ায় অথচ সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জামিন হয় না।
তিনি আরোও বলেন, জনগণের কোন মূল্য তাদের কাছে নাই। জোর জবরদখল করে বুকের উপর তারা বসে আছে। বারবার ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান। আর ঘুঘুকে ধান খেতে দেয়া হবে না। আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলবো। আমাদের চেয়ারপার্সন কে মুক্তি করে, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। সেই সাথে জনগণের সরকার গঠন করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশিদ, অর্থ সম্পাদক শরিফ, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন তুহিন, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নুরুজ্জামান নুরু, সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সহ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে দুস্থ অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে সোয়েটার বিতরণ করা হয়।