জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে বিএনপির একধিক কর্মসূচি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪৯ পিএম, ১৪ জানুয়ারী,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৬:০৭ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
আজ শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দল ও অঙ্গসংগঠনের এক যৌথ সভা শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
কর্মসূচি হচ্ছে, ১৯ জানুয়ারি সকাল ১১টায় শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পন এবং বিকাল তিনটায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা।
এর আগে ১৭ জানুয়ারি মহিলা দল, ২১ জানুয়ারি শ্রমিক দল, ২২ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা দল, ২৩ জানুয়ারি কৃষক দল, ২৪ জানুয়ারি যুবদল, ২৬ জানুয়ারি স্বেচ্ছাসেবক দল আলোচনা সভা করবে।
১৮ জানুয়ারি ছাত্রদল চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও উলামাদল মিলাদ মাহফিল, ১৯ জানুয়ারি রাতে ঢাকা মহানগর বিএনপি উত্তর-দক্ষিন রাজধানীতে শীতবস্ত্র বিতরণ এবং ২০ জানুয়ারি জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবে।
১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলীতে জন্মগ্রহন করেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘‘ বর্তমান প্রেক্ষিতে জিয়াউর রহমান অত্যন্ত প্রাসঙ্গিকই শুধু নন, তিনি এখন অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একজন নেতা। সেজন্য আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে তার এই জন্মদিনটিকে স্মরণীয় করে রাখবার জন্যে একটা ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছি।”
‘‘ আসুন যে ব্যক্তি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, যে নেতা আমাদেরকে পথ দেখিয়েছিলেন তাকে আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি, আসুন একটা মুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য, আমাদের ভবিষ্যত বংশধরদের একটা নিরাপদ আবাসস্থল নির্মাণের জন্য, মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার জন্য আমরা এইদিনটি মর্যাদার সাথে পালন করি।
তিনি বলেন, ‘‘ একটা কথা আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে যে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ আমরা করেছিলাম, যে কথা তারা বলে-চেতনার কথা। সেই কথাকে তারা বেমালুম গিলে ফেলেছে, নষ্ট করে দিয়েছে, ধবংস করে দিয়েছে। সেই চেতনা ছিলো একটা মুক্ত সমাজ, একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। সেটাকে তারা ধবংস করে দিয়েছে।”
‘‘ সেই লক্ষ্যে আমরা সংগ্রাম করছি। এদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। ইতিমধ্যে দেখেছেন, আমাদের প্রায় ১৫ জন নেতাকর্মীরা তারা শাহাদাত বরণ করেছেন পুলিশের গুলিতে, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচারে নির্যাতনে। গত ১৫ বছরে আমাদের প্রায় ৬‘শ অধিক নেতা গুম হয়ে গেছে, সহাস্রাধিক নেতা-কর্মী খুন হয়েছেন, ৩৫-৪০ লক্ষ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে। এখনো কারাগারে আছেন আমাদের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ আবদুস সালাম, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ফজলুল হক মিলন, মোস্তাক মিয়া, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আবদুল কালাম আজাদ, রফিকুল ইসলাম মাহতাব, শাহ নেছারুল হক, নজরুল ইসলাম তালুকদারসহ প্রায় এক হাজারের উপরে নেতা-কর্মী। আমাদের ১৫ হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্দে আবার নতুন করে গায়েবী মামলা হয়েছে। এই অবস্থার প্রেক্ষিতে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ১০ দফা কর্মসূচি দিয়েছে। এই কর্মসূচি পালনের জন্য গোটা জাতি আজকে নেমে পড়েছে। এই ১০ দফার মাধ্যমে আমরা সত্যিকার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাই।”
এর আগে সকাল ১১টায় বিএনপি মহাসচিবের সভাপতিত্বে যৌথ সভা হয়।
এই যৌথ সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আবদুস সালাম আজাদ, কাজী রফিক, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, হেলেন জেরিন খান, মহানগর বিএনপি আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমেদ খান, যুব দলের আবদুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, শ্রমিক দলের মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, তাঁতী দলের মনিরুজ্জামান মুনীর, মোস্তফা কামাল, জাহাঙ্গীর আলম, জাসাসের লিয়াকত আলী, জাকির হোসেন রোকন, উলামা দলের মাওলানা আলমগীর হোসাইন, মাওলানা আবুল হোসেন, ছাত্র দলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাইফ মাহমুদ জুয়েল উপস্থিত ছিলেন।