এবার আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ, কঠিন চ্যালেঞ্জ : কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩৬ পিএম, ১৩ জানুয়ারী,শুক্রবার,২০২৩ | আপডেট: ১২:২২ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বর্তমানে দেশে সংকট চলছে। বিপদে আছি আমরা।’
তবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিপদ কমছে। আমরা সংকট থেকে সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছি। এখন বড় বড় প্রকল্পে অর্থায়ন করা হচ্ছে না। কেননা আগে জনগণকে বাঁচাতে হবে। জনগণ বাঁচলে অর্থনীতি বাঁচবে। আর অর্থনীতি বাঁচলে দেশ বাঁচবে। জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে।’
আজ শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এবার আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ। কঠিন চ্যালেঞ্জ। একদিকে বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা। আইএমএফের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, সারা বিশ্ব দ্রুত মহামন্দার দিকে ধাবমান। জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে ইউরোপসহ সব দেশে। পাকিস্তানে হাফ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে রিজার্ভ। সেখানে বাংলাদেশে রিজার্ভ ৩৪ বিলিয়ন ডলারের মতো। এটা স্থিতিশীল কন্ডিশন। দেশে ৫ মাস আমদানি করার মতো রিজার্ভ আছে বাংলাদেশ ব্যাংকে।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে অর্থনৈতিক সংকট চলছে। সেখানে সরকার সম্পর্কে নানা সমালোচনা, কথাবার্তা ওঠে। সোমালিয়ার মতো দেশে মানুষ মরছে। সেখানেও সরকার পতনের দাবি তোলে না। আমাদের দেশে নির্বাচনকে সামনে রেখে উদ্ভট দাবি তোলা হয়।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পাকিস্তান ছাড়া আর কোনো দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নেই। কোথাও তত্ত্বাবধায়কের চর্চা নেই। গণতন্ত্র এত দিন ধরে চলছে আমাদের দেশে। আমাদের গণতন্ত্র বিকাশমান। এটি বিকাশমান পর্যায়ে আছে এবং এই বিকাশমান গণতন্ত্র ক্রমান্বয়ে ভুলত্রুটি সংশোধন করতে পারবে। বিকাশের ধারায় গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাবে। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ২১ বছর এ দেশে গণতন্ত্র ছিলই না। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন। শেখ হাসিনা ছিলেন বলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মতো দুঃসাহসিক কাজটি তিনি করাতে পেরেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যার কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম টানেল হয়েছে বাংলাদেশে। চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেল যান চলাচলের জন্য আগামী এপ্রিল কিংবা মে মাসে উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এখানে কেউ ভাবতে পারেনি যে টানেল হবে। বর্তমানে কাজ প্রায় শেষ। এখন কিছু ইলেকট্রো ইঞ্জিনিয়ারিং কাজ চলছে। শেষ মুহূর্তের কাজটা চলছে। টানেলে যানবাহন প্রবেশের আগে স্ক্যান করা হবে। প্রতিটি যানবাহনকে স্ক্যান করতে সেখানে স্ক্যানার স্থাপন হবে। টানেলের নিরাপত্তায় এবং যাতে কোনো দুর্ঘটনা না হয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের সমীক্ষাকাজ শেষ পর্যায়ে বলেও তিনি জানান। এ ছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী।
আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়াজ লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর্ রহমান, নগর আওয়ামিলীগীর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান প্রমুখ।