চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের বিক্ষোভ সমাবেশে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৩৯ পিএম, ৭ জানুয়ারী,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৬:০০ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ জন্য গণতন্ত্রের গণআন্দোলন করছে। ঠিক তখন বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার আন্দোলনকে দমিয়ে রাখতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন, এদেশের জনগণ ফরমায়েশি এ আদেশ মানবেনা।
আজ শনিবার যুবদলের কেন্দ্রিয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ এর প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল নগরীর কাজির দেউরী মোড় থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কাচা বাজারের সামনে গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়, এতে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
দিপ্তী আরো বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে। আজকে বাংলাদেশের মানুষের যে মুক্তির সংগ্রাম তা স্তব্ধ করা যাবে না। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে আওয়ামী সরকারের ছত্রছায়ায় এবং পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের অনুগত ব্যবসায়ী এবং নেতাকর্মীরা দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ দুদক নেয় না। জনগণকে বিভ্রান্ত ও আন্দোলন দমন করতে নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে আবারো চক্রান্ত শুরু করেছে ফ্যাসিস্ট সরকার। দুর্নীতি দমন কমিশন যেন বিএনপি দমন কমিশনে পরিণত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশে মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাহেদ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার তারেক রহমানের নেতৃত্বকে ভয় পায়। কারণ, তিনি দেশে না থেকেও দেশবাসীকে জাগ্রত করেছেন। তার নেতৃত্বে এই গণজাগরণে সরকার এখন আতঙ্কিত।
তিনি বলেন, তারেক রহমানের অস্থাবর সম্পত্তি হচ্ছে এ দেশের জনগণ। মূলত ওয়ান ইলেভেনে শেখ হাসিনা দেশে বিরাজনীতিকরণের রাজনীতি শুরু করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় এই মিথ্যাচার। ক্ষমতা হারালে সরকারের মন্ত্রী বা এমপিরা কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে কত টাকা লুটে করেছেন তার সবকিছুই বেরিয়ে আসবে।
তিনি আরো বলেন, আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। তিনি সবাইকে আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামে শরিক হওয়ার আহ্বান জানান।
প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি নুর আহমেদ গুড্ডু, এম এ রাজ্জাক, ইকবাল হোসেন সংগ্রাম, ফজলুল হক সুমন, আব্দুল গফুর বাবুল, শাহাবুদ্দিন হাসান বাবু, মোঃ মুছা, মিয়া মোঃ হারুন, মজিবুর রহমান মুজিব, মোঃ আলী সাকি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসাইন, হুমায়ুন কবির, এরশাদ উল্লাহ, মোঃ এরশাদ হোসেন, আব্দুল হামিদ পিন্টু, সেলিম উদ্দিন রাসেল, তৌহিদুল ইসলাম রাসেল, হেলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, সহ সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান টিপু, সাজ্জাদ হোসেন সাজু, রাসেল নিজাম, ওমর ফারুক, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নুর হোসেন উজ্জ্বল, জিল্লুর রহমান জুয়েল, মুহাম্মাদ সাগির, জসিম উদ্দিন সাগর, মোঃ আলাউদ্দিন, মহিউদ্দিন মুকুল, আসাদুজ্জামান রুবেল, সহ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক, কমল জ্যোতি বড়ূয়া, কামরুল ইসলাম, মোঃ শাহেদুল ইসলাম শাহেদ, মঞ্জুরুল আলম, মোঃ আনোয়ার, হোসেন উজ জামান, আরিফ হোসেন, মোঃ সালাউদ্দিন, হাফেজ কামাল উদ্দিন, মোঃ ইদ্রিস, গুলজার হোসেন মিন্টু, ইলিয়াস হাসান মঞ্জু, জাহাঙ্গীর আলম বাবু, ইব্রাহিম খাঁন, দেলোয়ার হোসেন, মিফতাহ উদ্দীন শিকদার টিটু, থানা যুবদলের আহবায়াক গিয়াসউদ্দিন টুনু, শফিউল আজম, বজল আহমেদ, মোঃ খোরশেদ, মহানগর যুবদলের সদস্য শাবাব ইয়াজদানী, মোঃ সাইদুল হক শিকদার, সাব্বির ইসলাম ফারুক, আবদুস সাত্তার, থানা যুবদলের সদস্য সচিব মোঃ হাসান, মনজুরুল আলম মঞ্জু, শওকত খাঁন রাজু, ইলিয়াস খাঁন, হাবিব উল্লাহ খান রাজু, মুশফিকুর রহমান নয়ন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল জলিল, সাইফুল ইসলাম রুবেল, খালেদ সাইফুল্লাহ, সাজ্জাদ হোসেন সাদ্দাম, শাহেদ হোসেন খাঁন পারভেজ, ওয়ার্ড যুবদলের আহবাযক মোঃ জাবেদ, মোঃ সাইফুল আলম, ইউনুছ, বাদশা আলমগীর, জহিরুল ইসলাম জহির, মোঃ হাসান, মোঃ সাইফুল, আবু তৌহিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।