নাগরিকদের জানমালের কোথাও নিরাপত্তা নেই : অলি আহমদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২৯ পিএম, ৬ জানুয়ারী,শুক্রবার,২০২৩ | আপডেট: ১২:২১ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, দেশে চলছে নিশিরাতের সরকারের বাকশালী কায়দায় একদলীয় শাসন। এখানে মানুষের মুক্ত ও শান্তিপূর্ণভাবে সভা-সমাবেশ করার কোনো অধিকার নেই। গণমাধ্যম ও নাগরিকদের মত প্রকাশেরও অধিকার নেই। ঘরে বাইরে কোথাও নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা নেই। প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা পুলিশের ছত্রছায়ায় অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের কোনো লক্ষ্মণও নেই।
আজ শুক্রবার (০৬ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর পূর্ব পান্থপথ এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ১১ জানুয়ারি গণ-অবস্থান কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করা হয়।
অলি আহমদ বলেন, দেশের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি বিভীষিকাময় ও অর্থনীতির অবস্থা করুন। ২০২২ সালে সমগ্র দেশে ৪৭৯টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ৭০ জন নিহত, ৬ হাজার ৯১৪ জন আহত, ১৯ জন বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার, ৫ জন অপহরণ, গুম ও নিখোঁজ হয়েছে। সীমান্তে ২১ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এমন অবস্থা বজায় থাকলে আমরা আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগে প্রবেশ করবো। এ অবস্থা থেকে বের হতে হবে। প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য, একে অপরের দিকে তাকিয়ে না থেকে সবাইকে প্রতিবাদ করতে হবে।
তিনি বলেন, অর্থনীতি ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে, এর জন্য প্রধানত দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা দায়ী। রেমিট্যান্স হ্রাস পেয়েছে। আমদানি ও রফতানির মধ্যে ভারসাম্য নেই। আমদানির কিস্তি ও ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। মেগা প্রকল্পগুলো দেশের জন্য অভিশাপ, ভবিষ্যৎ অন্ধকার। বাণিজ্য ঘাটতি জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৫ মাসে ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা। বিগত ৫ মাসে আমদানি ৩ হাজার ২৫৩ কোটির বিপরীতে রপ্তানি হয়েছে ২ হাজার ৭৪ কোটি ডলারের। রিজার্ভ চুরিতে কারা জড়িত তার হদিস নেই। পেট্রোবাংলা দেনা পরিশোধ করতে পারছে না, এ অবস্থার জন্য কে দায়ী?
তিনি আরও বলেন, ছাত্ররা বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে, নিজের দেশকে তারা নিরাপদ মনে করছে না। দেশে মেধার মূল্যায়ন না থাকায় তারা দেশে ফিরছেন না। এভাবেই মেধাশূন্য হয়ে দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- এলডিপির উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপিকা কারিমা খাতুন, যুগ্ম-মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি, ঢাকা মহানগর পশ্চিম এলডিপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাদাত হোসেন মানিক, উত্তর এলডিপির সাধারণ সম্পাদক অবাক হোসেন রনি, ঢাকা মহানগর পূর্বের সাধারণ সম্পাদক অসিম ঘোষ, গণতান্ত্রিক যুবদলের সভাপতি আমান সোবহান, গণতান্ত্রিক শ্রমিক দলের সভাপতি মামুন, গণতান্ত্রিক স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি খালিদ বিন জসিম, গণতান্ত্রিক আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট নূরে আলম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিলু গণতান্ত্রিক ছাত্রদলের সভাপতি মেহেদী হাসান মাহবুব, গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদসহ প্রমুখ।