তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানের সম্পদ ক্রোকের আদেশ সরকারের ইঙ্গিতেই : ইউট্যাব
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:২৯ পিএম, ৬ জানুয়ারী,শুক্রবার,২০২৩ | আপডেট: ০৩:১০ পিএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের সম্পদ আদালত কর্তৃক ক্রোকের আদেশের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)।
আজ শুক্রবার (০৬ জানুয়ারি) ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো: মোর্শেদ হাসান খান এক বিবৃতিতে বলেন, ২০০৭ সালে ১/১১ এর জরুরি সরকারের সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী বিশিষ্ট কার্ডিওলোজিস্ট ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে যে মামলাটি করা হয়েছিল তা ছিল সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কারণ তথাকথিত জরুরি সরকার ছিল বর্তমান আওয়ামী সরকারেরই আন্দোলনের ফসল। দীর্ঘদিন পর ওই মামলায় আদালত তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানের সম্পদ ক্রোকের যে আদেশ দিয়েছেন তা সরকারের ইঙ্গিতেই।
নেতৃদ্বয় বলেন, এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ২০০৭ সালের জরুরি সরকারের আমলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও কয়েকটি মামলা হয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পরই সেই মামলাগুলো উধাও হয়ে যায়। মূলত বিএনপি তথা জিয়া পরিবারকে দমনের লক্ষ্যেই সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দুদক এই মামলাটি করেছিল। এর পেছনে ক্ষমতাসীনদের চক্রান্ত রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে জিয়া পরিবারকে হেয় করার জন্যই বানোয়াট, কাল্পনিক ও অসত্য মামলায় তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানের সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেওয়া হলো।
তারা বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে দেশের অর্থ পাচার করে কানাডায় বেগম পল্লী তৈরি হলেও এসব দুর্নীতি তদন্তে দুদকের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। কারণ সরকারপন্থীরা এসব লুণ্ঠনে জড়িত। তাই তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে থাকা মামলার কার্যক্রম দ্রুত শেষ করা ও আদেশ দেওয়ার মানে জিয়া পরিবারকে রাজনীতি থেকে নির্মূল করা। ভবিষ্যতে ডা. জুবাইদা রহমান রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন, এমন আশঙ্কা ও ভীতি থেকেই সরকারের ইঙ্গিতে মামলাটির কার্যক্রম দ্রুত শেষ করা হলো। এমন সময় এই আদেশ দেওয়া হলো যখন ভোটবিহীন অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ ফুঁসে উঠেছে। এই মুহুর্তে এ ধরণের আদেশ জনগণের দৃষ্টিকে অন্যদিকে ফেরানোর অপচেষ্টা মাত্র।
ইউট্যাবের শীর্ষ দুই নেতা বলেন, জনাব তারেক রহমান বাংলাদেশের কোটি কোটি তরুণের রাজনৈতিক আইকন। দল পরিচালনায় তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত। দেশনায়ক তারেক রহমানের দক্ষতা, যোগ্যতা ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতা অনন্য। সম্প্রতি তিনি রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রুপরেখা ঘোষণা দিয়ে নিজের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও যোগ্যতাকে বিশ্ব দরবারে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তারেক রহমানের বাবা হলেন এ দেশের মহান স্বাধীনতার ঘোষক ও রণাঙ্গণের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম। তার মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হলেন বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। যাকে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ ভোট দিয়ে তিনবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সেই পরিবারের সন্তান এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের আগামীদিনের কাণ্ডারি দেশনায়ক তারেক রহমান।
অন্যদিকে ডা. জুবাইদা রহমান একদিকে যেমন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ। তিনি এদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী বর্ণাঢ্য পরিবারের সন্তান। মেধাবী চিকিৎসক জুবাইদা রহমান পড়ালেখা করেছেন দেশের স্বনামধন্য ও সেরা চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান ঢাকা মেডিকেল কলেজে। তার পিতা মরহুম মাহবুব আলী খান বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর সাবেক প্রধান এবং সাবেক মন্ত্রী। সুতরাং ডা. জুবাইদা রহমান আর দশজন সাধারণ মেয়ের মতো সহসায় বেড়ে ওঠেননি। তার বেড়ে ওঠার মধ্যে শৃঙ্খলা ও আভিজাত্য ছিল এবং এখনো আছে। সুতরাং তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা অবান্তর এবং ভিত্তিহীন। মূলত সরকার আদালতকে ব্যবহার করে অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়েই এই মামলাটি দীর্ঘ সময় ধরে টিকিয়ে রেখেছে, যার কোনো ভিত্তি নেই। আমরা মনে করি তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমান ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।