যুগপৎ আন্দোলনে থাকছে মোস্তফা মহসিন মন্টুর নেতৃত্বাধীন গণফোরাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:২৮ পিএম, ২ জানুয়ারী,সোমবার,২০২৩ | আপডেট: ০৯:৫০ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
সরকার পতনের যুগপৎ আন্দোলনে রাজপথের কর্মসূচিতে থাকার ঘোষণা দিয়েছে মোস্তফা মহসিন মন্টুর নেতৃত্বাধীন গণফোরাম।
আজ সোমবার বিকালে যুগপৎ আন্দোলন সমন্বয়ে গঠিত বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠকের পর গণফোরামের সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু সংবাদ ব্রিফিংয়ে একথা জানান।
তিনি বলেন, ‘১১ জানুয়ারি যে অবস্থান কর্মসূচি আছে সেটা আমরা স্থান ঠিক করে আপনাদের (গণমাধ্যম) জানিয়ে দেবো। এখন থেকেই আমরা (গণফোরাম) এই চলমান আন্দোলনে শরিক হলাম।”
‘‘আগামীদিনে সমস্ত জাতিকে, দলমত নির্বিশেষ সকলকে এই আন্দোলনে অংশ নেয়ার আমরা আহবান জানাচ্ছি।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘‘উনারা যুগপৎভাবে আন্দোলনের কর্মসূচিতে থাকবেন।” ‘‘আরো যারা দল আছে এই সরকারের বিরুদ্ধে পরিবর্তন চায় এবং জনগণের কাছে আহবান জানাচ্ছি যে, ঐক্য হয়ে আমরা রাস্তায় নেমেছি। আপনারা রাস্তায় আসুন। এই সরকারকে পরিবর্তন করে একটা নির্দলীয় সরকার এনে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করি।”
সরকার পতনে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত ২৪ ডিসেম্বর সারা দেশে এবং ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপিসহ গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট গণমিছিল করলেও গণফোরামে সেই কর্মসূচি করেনি।
আরামবাগে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির নেতৃবৃন্দ গণফোরামের শীর্ষ নেতৃত্বের সাথে বৈঠকে বসেন। যুগ্মপৎ আন্দোলন ও বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হয়।
বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
গণফোরামের সভাপতি মন্টুর নেতৃত্বে বৈঠকে দলের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহিউদ্দিন আবদুল কাদের, আবদুল হাসিব চৌধুরী, আইয়ুব ছিলেন।
গত ৩০ ডিসেস্বর যুগপৎ আন্দোলনের ‘গণমিছিল’ কর্মসূচি কেন গণফোরাম পালন করেনি প্রশ্ন করা হলে মন্টু বলেন, ‘‘হঠাৎ সিদ্ধান্ত হওয়ায় আমাদের কয়েকজন নেতা অসুস্থ ছিলেন। আমরা যেসব কারণে সিদ্ধান্ত নেইনি। ওইটা কোনো বিষয় না আমরা সমস্যাটা সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছি যে, এই কর্মসূচিতে আমাদের পূর্ণ সমর্থন আছে।”
‘‘কারণ আপনারা জেনে থাকবেন যে, আমরা কেন্দ্রীয় কমিটির কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়া হঠাৎ কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। যেজন্য আমাদের একটু দেরি হয়েছে।”
যুগপৎ আন্দোলনকে কি আপনারা সরকার পতনের আন্দোলন বলে মনে করেন কি না জানতে চাইলে গণফোরাম সভাপতি বলেন, ‘‘অবশ্যই। যে আন্দোলনটা হচ্ছে, আমরা একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই এবং এই নির্বাচনটা পরিচালনা করার জন্য একটা নির্দলীয় সরকারের প্রয়োজন আছে। আমরা দেখেছি যে, মাগুরার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ আন্দোলন করেছে এবং তাদের যুবলীগের এক নেতা সেদিন শহীদ হয়েছে। তারা কিন্তু সেদিন আন্দোলন করে তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করেছে।”
‘‘তারা (আওয়ামী লীগ) নিজেরা সংসদ থেকে বেরিয়ে এসেছেন। খালেদা জিয়াকে এবং বিএনপি সরকারকে বাধ্য করেছে একটা অন্য নির্বাচন করে সেটাকে সংশোধন করে পাস করানোর জন্য। তাদের নিজেদের যদি স্বার্থে এগুলো করতে পারেন তাহলে জনগণের স্বার্থে কেন করতে পারবেন না। তারাও তো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করে এসেছেন এবং সুপ্রিম কোর্টের যে রায় হয়েছিল সেখানে তো বলা হয়েছিল আরো দুইবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে পারে। তাহলে বাধাটা কোথায় সেটা আমরা বুঝতে পারছি না।”