গাজিপুরে সোহরাব উদ্দিনের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৩৯ পিএম, ২ জানুয়ারী,সোমবার,২০২৩ | আপডেট: ০২:৩৯ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার বলেছেন, আমরা দেশের জন্য অনেক অবদান রেখেছি, মুক্তিযুদ্ধ করেছি। কিন্তু আপনারা যারা মুক্তিযুদ্ধ করতে পারেননি, তারা এই অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললে আগামীতে মুক্তিযোদ্ধাদের মতই সম্মান পাবেন। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী এই সরকার শুধু দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকেই হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে না, বরং ৯৩ ভাগ মুসলমানের এদেশে অত্যন্ত সুকৌশলে ইসলামের কৃষ্টি কালচার নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার গভীর ষড়যন্ত্রকারীদের ক্রীড়নক হিসেবে কাজ করছে। তাই জিহাদ ঘোষণা করে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
আজ সোমবার (২ জানুয়ারি) গাজীপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মরহুম সোহরাব উদ্দিনের রুহের মাগফিরাত কামনায় বাসন মেট্রো থানা বিএনপি আয়োজিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি মরহুম সোহরাব উদ্দিনের কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমাদের স্বভাব হলো, গুণীব্যক্তির মৃত্যুর পর আমরা শোক করি, কিন্তু জীবিত থাকতে মূল্যায়ন করি না।
বাসন মেট্রো থানা বিএনপির সভাপতি বসির আহমেদ বাচ্চুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোছলেম উদ্দিন চৌধুরী মুসার সঞ্চালনায় স্থানীয় বাসন সড়ক এলাকায় মরহুম সোহরাব উদ্দিনের বাসভবনের সামনে অনুষ্ঠিত এ দোয়া মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা কাজী সাইয়্যেদুল আলম বাবুল, মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সালাহ উদ্দিন সরকার, মহানগর বিএনপি নেতা আফজাল হোসেন কায়সার, আহমেদ আলী রুশদী, জিএস আনোয়ারুল ইসলাম, সৈয়দ আক্তারুজ্জামান, ভিপি আশরাফ হোসেন টুলু, সুরুজ আহমেদ, হুমায়ুন কবীর রাজু, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম শামীম, সরকার জাভেদ আহমেদ সুমন, সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আব্দুল করিম, সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, আব্দুর রহিম খান কালা, যুবদল সভাপতি মনিরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম টুটুল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শাহীন, মহানগর মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক খাদিজা আক্তার বীনা, মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন ভাট, বিএনপি নেতা মইজুদ্দিন তালুকদার, সাজ্জাদুর রহমান মামুন, মহানগর তাঁতীদলের আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম বেপারী প্রমুখ।
দোয়া মাহফিলে মরহুম সোহরাব উদ্দিনের ছেলে রায়হান মাহমুদ হৃদয় বলেন, আমার বাবাকে নিয়ে আমি গর্ববোধ করি। তিনি ইসলামের ওপর, দ্বীনের ওপর চলতেন। মানুষ মৃত্যুর পর সাধারণত তিন থেকে সাত দিনের মধ্যে মৃত ব্যক্তিকে মানুষ ভুলে যায়। কিন্তু আমার বাবাকে এখনো মানুষ শ্রদ্ধা ও সম্মানের সহিত স্মরণ করে। এর চেয়ে প্রাপ্তি আর কিছু হতে পারে না।