খুলনায় গণমিছিলে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশের ব্যারিকেড
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩৫ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ১১:৫১ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ফ্যাসিস্ট ও দুর্নীতিবাজ সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে আজ শনিবার খুলনা জেলা ও মহানগর বিএনপি'র গণমিছিলে পুলিশের বাধা।
আজ শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকে খুলনা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশকে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
বিএনপির গণমিছিলকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে গোয়ালখালী মোড়, দৌলতপুর মোড়, বৈকালী বাজার, বয়রা কলেজ মোড়, শিববাড়ি মোড়, ময়লাপোতা মোড়, গল্লামারি, পিকচার প্যালেস, পিটিআই মোড়সহ বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেছে। নগরীর ফেরিঘাট মোড়ে পুলিশের ২টি জলকামান দেখা গেছে। সকাল থেকে রাস্তায় মানুষের চলাচল কম ছিল।
বিএনপির নেতারা বলেন, মিছিলের ২ দিন আগে থেকে নগরীতে নেতাকর্মীদের ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, 'আমরা শান্তিপূর্ণ গণমিছিলে সহযোগিতার জন্য পুলিশকে অনুরোধ জানিয়েছি। কিন্তু, তারা কর্মসূচি বানচালে ধরপাকড় শুরু করেছে। এভাবে গণজাগরণ বন্ধ করা যাবে না। কর্মসূচি সফল হবেই।'
তিনি অভিযোগ করেন, 'বুধবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ১৭ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া আতঙ্ক ছড়াতে বাড়ি বাড়ি অভিযান চালানো হচ্ছে।'
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন জানান, বুধবার রাতে আটরা গিলাতলা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড বিএনপি'র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফকির শরিফুল ইসলাম, ৩০নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আলম, ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোহাম্মাদ আলী ও খালিশপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আলাউদ্দিন তালুকদারকে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতেও বাড়ি বাড়ি অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এ সময় দৌলতপুর থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম, দিঘলিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শরীফ মোজাম্মেল হোসেনসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।