বিএনপি বিদেশি কূটনীতিকদের সামনে দেশের সত্য ঘটনা তুলে ধরেছে : বুলু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২৫ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০২:৪৪ পিএম, ২ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
বিএনপি বিদেশি কূটনীতিকদের সামনে দেশের সত্য ঘটনা তুলে ধরেছে এমন দাবি করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। তিনি বলেন, আপনারা (আওয়ামী লীগ) যখন রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে কথা বললেন তখন কিছু হয় না আর বিএনপি কথা বললেই দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়ে যায়। ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালে বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিদেশিদের সঙ্গে বিএনপির বিরুদ্ধে নানা দেন দরবার করেন। আপনাদের (আওয়ামী লীগের) এসবের কারণে দেশে ১/১১ এসেছিল। কিন্তু আমরা বিদেশি কূটনীতিকদের সামনে দেশের সত্য ঘটনা তুলে ধরেছি।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সকল রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভাটি আয়োজন করে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদ (জিসপ)।
বুলু বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) বলছেন, বিএনপি নাকি টাকা দিয়ে ভাড়াটিয়া নিয়োগ করে দেশের বদনাম করছে। আমারা দেশের সত্য ঘটনা পুরো বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছি। যে কারণে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকেও বিএনপি অফিসে হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা বলছে বাংলাদেশ একটি স্বৈরশাসনের দেশে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই, বাক স্বাধীনতা নেই, মানুষের মৌলিক অধিকার নেই।
স্বাধীনতা যুদ্ধে দীর্ঘ ৯ মাস নেতৃত্ব দেয়া দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের নাম আওয়ামী লীগের ইতিহাসে নেই। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ তাজউদ্দিন আহমেদকে তেমন মূল্যায়ন করে না বলে মনে করেন বরকত উল্লাহ বুলু।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার পর, এরই ধারাবাহিকতায় ১৭ এপ্রিল প্রবাসী সরকার গঠিত হয়। সেখানে তাজউদ্দিন আহমেদকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল কিসের ভিত্তিতে আপনারা মন্ত্রিসভা ও সরকার গঠন করেছেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, কালুরঘাট থেকে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার যে ঘোষণা দিয়েছিল তার ভিত্তিতে আমরা সরকার গঠন করেছি। মূলত এই কারণে আওয়ামী লীগ তাজউদ্দিন আহমেদের কৃতিত্ব স্বীকার করেন না। জিয়াউর রহমান যদি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হয়ে থাকে, তাহলে শেখ মুজিব সরকারের বিচার হওয়া উচিত বলে মনে করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের অনেকেই বলেন জিয়া মুক্তিযুদ্ধ করে নাই। তাদের উদ্দেশ্যে বলব- ১৯৭২ সালে বাংলা একাডেমিতে যারা সেক্টর কমান্ডার ছিলেন তাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। সে সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেখানে বঙ্গবন্ধু জিয়াউর রহমানকে বক্তৃতার জন্য সম্বোধন করে বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক এবং মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমান বক্তব্য রাখবেন। কিন্তু তখন কেউ তো প্রতিবাদ করে নাই। সমস্ত পত্র-পত্রিকায় তা আছে। এই শেখ মুজিবই জিয়াউর রহমানকে বীর উত্তম উপাধি দিয়েছিলেন। জিয়া যদি ভুয়া হয়ে থাকে কেন তাকে বীর উত্তম উপাধি দিলেন। এ জন্য শেখ মুজিবের মরণোত্তর বিচার হওয়া উচিত। প্রতিবাদ সভায় জিসপের সভাপতি এম গিয়াস উদ্দিন খোকনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির সহ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।