শেখ হাসিনাই সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দিতে পারেন : কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১৮ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:২২ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে পাকিস্তানের আমাদের চেয়ে শক্তিশালী আর্থ-সামাজিক কোনো বিষয়ই নেই, শক্তিশালী তাদের শ’খানেক পরমাণবিক বোমা আছে। আমাদের কাছে বিধ্বংসী বোমা নেই। তাছাড়া অন্য কোনো অংশে পাকিস্তান আমাদের বিট করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর একটি উদ্ধৃতি উল্লেখ করে কাদের বলেন, আত্মশক্তি হলো মূল কথা। সেই আত্মশক্তিতে আমরা আজকে বলীয়ান একটা জাতি। সারা পৃথিবীতে মহামন্দা তপ্ত বাতাস। এই তপ্ত বাতাসের আঁচ আমাদের এখানেও লেগেছে। সংকটের মধ্যে শেখ হাসিনাই এক মাত্র নেতা, যিনি সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দিতে পারেন।
আজ রবিবার সকালে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আয়োজিত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত আগস্ট মাসের পাকিস্তানের একটি পত্রিকার উদ্ধৃতি দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, পাকিস্তানের পত্রিকা এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়শী প্রশংসা করে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাকিস্তানের এক প্রদেশে সাবেক মুখ্য সচিব সাহেব একটি নিবন্ধন লিখেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, পাকিস্তানের তুলনায় ১৯৭০ সালে দেশটি ৭৫ শতাংশ দরিদ্র ছিল। কিন্তু এখন পাকিস্তানের চেয়ে ৪৫ শতাংশ ধনী। স্বাধীনতা চেয়ে, স্বাধীনতা এনে বঙ্গবন্ধু ভুল করেননি। পাকিস্তানের ১৫৪৩ ডলারের তুলনায় বাংলাদেশে এখন মাথাপিছু আয় ২ হাজার ২২৮ ডলারে ওপরে। এটা পাকিস্তানের ওই পত্রিকার সংখ্যা। এখন বাংলাদেশ পাকিস্তানের তুলনায় জিডিপি ৪৪৩.৩২ বিলিয়ন। পাকিস্তান ৩০৭.১৯ বিলিয়ন ডলার। পার ক্যাপিটা ইনকাম বাংলাদেশে ২ হাজার ৮২৪, পাকিস্তানে ১৬৫৮। জিডিপি গ্রোথ ৭.৫ শতাংশ বাংলাদেশ, পাকিস্তান ২ শতাংশ। ইউএস ডলার আমাদের ১০৪ টাকা ৬২ পয়সা। পাকিস্তানের ২২৫ টাকায় ৯২ রুপি। আমাদের ডাবলের চেয়ে অনেক কম। মানুষের গড় আয়ু হিসেবে আমাদের ৭৩, পাকিস্তানের ৬৭ বছর। রিজার্ভ আমাদের ৪৮ থেকে বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে ৩৪ বিলিয়ন, পাকিস্তানের ৬.৭ বিলিয়ন এই মুহূর্তে। সাক্ষরতায় আমাদের ৭৪.৬ আর পাকিস্তানে ৫.৮ শতাংশ। আমি তুলনামূলক চিত্রটা তুলে ধরলাম এই কারণে যে, পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনে, এই বিজয় ছিনিয়ে এনে, বঙ্গবন্ধু বিন্দুমাত্র ভুল করেননি।
তিনি বলেন, সব শিক্ষাই আছে, আমরা শেখ হাসিনার কাছ থেকে শিখব। এই পরিবার থেকে শিক্ষার আছে। আজকে সততা, সাহস কোথাও যেতে হবে না, কোনো মনীষীর নিবন্ধ পড়তে হবে না। আমাদের জাতির পিতা থেকে আমরা শিক্ষা নেব। এই জনপদে বঙ্গবন্ধু নেই, এই জনপদে শেখ হাসিনাও একদিন থাকবেন না। কিন্তু তাদের উত্তরাধিকার বেঁচে থাকবে। স্বাধীনতার উত্তরাধিকার বেঁচে থাকবে, বেঁচে থাকবে মুক্তির উত্তরাধিকার। আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।