৫ দিন আগেই ঢাকা পৌঁছেছেন দক্ষিণবঙ্গের বিএনপি নেতাকর্মীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১৫ পিএম, ৯ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৩০ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বরিশালসহ দক্ষিণের পাঁচ জেলায় সড়কে গণপরিবহণ ও নৌযান চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও বরগুনায় তা বন্ধ করা হয়েছে। নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ কেন্দ্র করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলা হলেও বরিশালের বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবি— তারা ৪-৫ দিন আগে থেকেই ঢাকায় অবস্থান নিয়েছেন। যে করেই হোক সমাবেশ সফল করবেন তারা।
বরগুনা-ঢাকা রুটের লঞ্চ এমকে শিপিং লাইন্সের বরগুনার পরিদর্শক এনায়েত হোসেন জানান,গতকাল বৃহস্পতি ও আজ শুক্রবার বরগুনা থেকে ঢাকায় কোনো লঞ্চ চলাচল করবে না। তবে ঢাকা থেকে লঞ্চ ছেড়ে যাব।
বরগুনা জেলা সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সাহাবুদ্দিন সাবু জানিয়েছেন, বরগুনা-ঢাকা রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। ১০ তারিখ সন্ধ্যায় বরগুনা থেকে ঢাকায় বাস ছেড়ে যাবে।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব তারিকুজ্জামান টিটু জানান, এ মুহূর্তে আমরা নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকায় অবস্থান করছি। আমাদের জেলাসহ বিভিন্ন উপজেলা ও অন্যান্য ইউনিট থেকে প্রায় তিন হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় জমায়েত হয়েছে। গণসমাবেশ কেন্দ্র করে পুলিশের গণগ্রেফতারে বরগুনায় ছাত্রদলের তিন নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নূপুর জানান, ৫ দিন আগেই তারা ঢাকায় এসে অবস্থান নিয়েছেন।
পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা জানি এই স্বৈরাচারী সরকার বিএনপির মহাসমাবেশে যেতে বাধা দেবে। তাই আমরা জেলা থেকে দুদিন আগেই রওনা হয়েছি। আর বাকি যারা আসতে পারেনি, তারাও যত কষ্টই হোক চলে আসবে। কোনো বাধাই আমাদের পল্টন সমাবেশ আটকাতে পারবে না।
অন্যদিকে বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে স্বাভাবিকের মতো গতকাল বৃহস্পতিবারও বাস ও লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। রাত ৯টার পর থেকে চারটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে বরিশাল নদীবন্দর ত্যাগ করে। তবে নদীবন্দরে কোনো পুলিশ সদস্যের দেখা মেলেনি। কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদেও একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।
কেন্দ্রীয় লঞ্চ মালিক সমিতির সহসভাপতি ও সুন্দরবন লঞ্চের মালিক সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, কোনো কারণেই লঞ্চ বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত বর্তমানে আমাদের নেই।
বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্যে সচিব মীর জাহিদুল কবির জাহিদ বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা সমাবেশ সফল করতে আগে থেকেই ঢাকায় অবস্থান নিয়েছে। তা ছাড়া ঢাকায় আসতে এখন পর্যন্ত কোনো বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি।
ভোলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নাজিম উদ্দিন নিক্সন বলেন, বরিশালসহ সারা দেশের বিভাগীয় সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে সফল করতে ভূমিকা রেখেছেন যুবদলের নেতাকর্মীরা। আশা করি ঢাকার সমাবেশ সফল হবে। যদিও পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসিয়ে হয়রানি করছে। তাদের কাছে থাকা মোবাইল নিয়ে যাচ্ছেন, আটক করছেন। নেতাকর্মীদের মামলার ভয় দেখাচ্ছেন। কোনো মামলার ভয়ই দমাতে পারবে না বিএনপির নেতাকর্মীদের।
ভোলা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীর বলেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কোনো বাধা দিয়ে ঢাকার সমাবেশ থেকে ঠেকানো যাবে না। সমাবেশ সফল করতে ভোলা থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী ইতোমধ্যে ঢাকায় বিভিন্ন মাধ্যমে পৌঁছে গেছেন। সরকার বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে তারাই অশান্ত করছে। আমাদের বিভিন্ন নেতাকর্মীকে ঢাকাতে আটক করেছে।