১০ ডিসেম্বরই বিএনপির গণসমাবেশ হবে : মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:১৯ পিএম, ৮ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ১১:৪৬ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
আগামী ১০ ডিসেম্বরই বিএনপির গণসমাবেশ হবে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন ‘১০ ডিসেম্বর আমরা সেখানে যাব এরপর জনগণই ঠিক করবে কী হবে।’ এর মধ্যে যদি সরকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়া বিকল্প কোনো প্রস্তাব দেয় সেটি ভেবে দেখব আমরা।
আজ বৃহস্পতিবার (০৮ ডিসেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গতকাল ৭ ডিসেম্বর বুধবার, প্রতিদিনের ন্যয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় সমবেত হয়। আকষ্মিকভাবে বেলা ২টা থেকে পুলিশ সমবেত নেতা-কর্মীদের উপর হঠাৎ করেই দুপুরে পুলিশ বিনা উস্কানিতে অতর্কিতভাবে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অপেক্ষমান নেতা-কর্মীদের উপর ক্র্যাকডাউন শুরু করে। তারা বর্বরোচিতভাবে র্নিবিচারে মুহুর্মূহু গুলি, টিয়ারসেল, সাউন্ড গ্রেনেড, ককটেল, লাঠিচার্জ করতে থাকে। যা আপনাদের চোখের সামনেই ঘটেছে এবং বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। এই কাপুরষোচিত ও লোমহর্ষক ঘটনা স্বাধীন দেশে কল্পনাতিত।
তিনি বলেন, পুলিশের গুলিতে পল্লবী থানার স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মকবুল হোসেন নিহত হন এবং অসংখ্য নেতা-কর্মী ও পথচারী গুলিবিদ্ধ হন। যাদের সঠিক পরিসংখ্যান এখন পর্যন্ত নিরূপন করা যায় নাই। পুলিশের হামলায় অনেক সাংবাদিক বন্ধুও আহত হন। পুলিশ তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনেও বাধা দেয় এবং তাদের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় ও অশোভন আচরণ করে। এর মধ্যে আমি খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হই এবং আপনারা দেখেছেন আমাকেও আমার অফিসে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এর মধ্যে পুলিশ সহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর কতিপয় সদস্য বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অযাচিতভাবে প্রবেশ করে সিমেন্টের ব্যাগে করে হাত বোমা নিয়ে যায় এবং সেখানে রেখে আসে, যা বিভিন্ন মিডিয়ায় সরাসরি সম্প্রচারিত হয়েছে। এর পর দলীয় কার্যালয়ে তারা ন্যাক্কার জনকভাবে অভিযান চালিয়ে নিচ তলা থেকে ৬ তলা পর্যন্ত বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন কক্ষ তছনছ করে। এমনকি বিএনপি চেয়ারপার্সনের কক্ষ, মহাসচিবের কক্ষ, অফিস কক্ষের দরজা তারা অন্যায়ভাবে ভেঙ্গে প্রবেশ করে এবং সকল আসবাবপত্র, ফাইল, গুরুত্বপূর্ণ নথি, তছনছ করে। তারা কম্পিউটার, ল্যাপটপ, হার্ডডিক্স এবং এমনি কি দলীয় সদস্যদের প্রদেয় মাসিক চাঁদার টাকা, ব্যাংকের চেক বই, নির্বাচন কমিশন সংক্রান্তসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি নিয়ে যায়।
তিনি আরোও বলেন, এসময় বিএনপি’র কার্যালয়ে অবস্থানরত বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী অ্যাড. শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, গাজীপুর জেলা বিএনপি’র সভাপতি ফজলুল হক মিলন, বিএনপি’র কুমিল্লা বিভাগীয় সংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশারফ হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন-উর-রশিদ, সেলিমুজ্জামান সেলিম, আব্দুল খালেক, সহ-দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সহ-সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, সেলিম রেজা হাবিব, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, তারিকুল ইসলাম তেনজিং, ঢাকা জেলা বিএনপি’র সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, মৎসজীবী দলের আহবায়ক মাহাতাব উদ্দিন, তাঁতী দলের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ, ওলামা দলের আহবায়ক প্রিন্সিপাল মাওলানা শাহ মো: নেছারুল হক, সদস্য সচিব মাওলানা নজরুল ইসলাম তালুকদার, ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রাবিকুল ইসলাম সহ অসংখ্য নেতা-কর্মীকে দলীয় কার্যালয়ের ভেতর থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এমনকি বিএনপি’র কেন্দ্রীয় দফতরের কর্মচারী রেজাউল করিম, দলিল উদ্দিন, সেলিম, ফারুক, রফিক, সহ অন্যান্য কর্মচারীদের কেও পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এর পর পুলিশ নিজেদের রেখে আসা বোমা উদ্ধার ও বিষ্ফোরনের নামে নাটক সাজায় ও মিথ্যাচার করে। আমার সামনেই পুলিশ সেখানে অসংখ্য বোমা বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। শুধু পুলিশ নয়, পুলিশের সাথে ডিবি, সোয়াদ বাহিনী এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীরাও এই রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে নিয়োজিত ছিল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী গতকাল সমগ্র ঢাকা শহরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। তাদের সশস্ত্র ও উশৃংখল কর্মীরা পাড়ায় মহল্লায় জঙ্গি মিছিল করে এবং বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়িতে হামলা ও তাদের পরিবার পরিজনের উপর হামলা করে। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ওয়ারী থানার যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ফয়সাল মাহবুব মিজুকে বাসায় না পেয়ে তার বৃদ্ধ পিতা মিল্লাত হোসেন (৬৭) কে বেদমভাবে প্রহার করে যার ফলে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আজও আমি সকালে দলীয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আমার অফিসে যেতে চেয়ে ছিলাম। আপনাদের সামনেই পুলিশ বিজয়নগর মোড়ে আমার গাড়িকে আটকে দেয় এবং আমাকে যেতে দেওয়া হয়নি। পুলিশ দলীয় কার্যালয়সহ নয়াপল্টনের পুরো সড়ক অবরুদ্ধ করে রেখেছে। পুলিশ দাবী করছে বিএনপি কার্যালয়ে বিষ্ফোরক দ্রব্য পাওয়া গেছে। তারা তা উদ্ধারের তল্লাশী চালানোর জন্য ক্রাইম সিন ঘোষণা করে সেখানে সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। অথচ আইন হচ্ছে- কোন বাড়িতে তল্লাশী চালাতে হলে সেই বাড়ির মালিককে সাথে রাখতে হবে এবং নিরপেক্ষ সাক্ষী থাকতে হবে। সাধারণত এই ধরনের তল্লাশী চালাতে হলে সার্স ওয়ারেন্ট ইস্যু করতে হয়। এক্ষেত্রে কিছুই করা হয়নি। উপরন্ত গতকাল আমাকে দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করতে না দিয়ে বাইরে রেখে দীর্ঘ চার ঘণ্টা বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢুকে ভাংচুর করে, বোমা রেখে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।
তিনি বলেন, সরকারের ব্যর্থ, অযোগ্য সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট, দূঃশাসনে এবং অগণতান্ত্রিক, গণবিরোধী কার্যকলাপে দেশের মানুষ আজ চরম বিপর্যয়ে নিপতিত। যার ফলশ্রুতিতে জ্বালানী তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, সারের মূল্যবৃদ্ধি, লোডশেডিং, গণপরিবহণের ভাড়া বৃদ্ধি এবং হত্যা, নির্যাতন, দমন-নীপিড়নের প্রতিবাদে এবং নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গত ১২ অক্টোবর ২০২২ তারিখ থেকে দেশের ৯টি বিভাগীয় গণ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সরকারের বাধা বিপত্তি, হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, পরিবহণ ধর্মঘট, গ্রেফতার, মিথ্যা মামলাসহ দমন-নিপীড়ন উপেক্ষা করে জনগণ এবং নেতা-কর্মী সমর্থকরা এসকল বিভাগীয় সমাবেশ সফল করে আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করেন। সর্বশেষ বিভাগীয় সমাবেশ আগামী ১০ ডিসেম্বর শনিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন নয়াপল্টন সড়কে ঢাকা বিভাগীয় গণ-সমাবেশের অনুষ্ঠানের জন্য বিএনপি’র পক্ষ থেকে ১৩ ও ২০ নভেম্বর, ২০২২ তারিখে ডিএমপি বরাবরে চিঠি দেওয়া হয়। এর মধ্যে দলের নেতৃবৃন্দ কয়েক দফায় ডিএমপি’র কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাত করে নয়াপল্টনে সমাবেশের বিষয়ে আলোচনা করেন। এর মধ্যে সরকারের মন্ত্রী ও নেতারা ঢাকা বিভাগীয় গণ-সমাবেশের বিরুদ্ধে অহেতুক উত্তেজনাকর বক্তব্য দিতে শুরু করেন। এমন পরিস্থিতিতে ডিএমপি হঠাৎ স্বপ্রণোদিত হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি’র ঢাকা বিভাগীয় গণ-সমাবেশ অনুষ্ঠানের জন্য ২৬টি নজিরবিহীন শর্ত দিয়ে চিঠি প্রদান করে। যা বিএনপি’র কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। দলের পক্ষ থেকে নয়া পল্টন সড়কে গণ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত করার বার বার অবহিত করা হলেও সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান, পূবাচলের রপ্তানি মেলা মাঠে গণ-সমাবেশ করার জন্য চাপ দিতে থাকে। এমন অবস্থায় বিএনপি’র পক্ষ থেকে এসব মাঠ ছাড়া ঢাকা শহরে অন্য কোন গ্রহণযোগ্য স্থানে গণ-সমাবেশ করবার স্থান নির্ধারণের জন্য ডিএমপিকে আহবান জানানো হয়।
তিনি বলেন, গতকাল দুপুরে ডিএমপি কমিশনার বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীকে ডিএমপি’র কার্যালয়ে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানায়। এ্যানী ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ের উদেশ্যে রওনা হলে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ। গতকাল পুলিশের এই জঘন্য, ন্যাক্কার জনক, বর্বরোচিত হামলা সরকারের ফ্যসিবাদী কর্তৃত্ববাদের বহিঃপ্রকাশ মাত্র। এই ঘটনা প্রমান করে বর্তমান সরকার গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না। তারা বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করবার সাংবিধানিক অধিকারও কেড়ে নিয়েছে। যা গণতন্ত্র, রাজনীতির জন্য অশনি সংকেত।
তিনি আরোও বলেন, গতকাল বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের বর্বরোচিত, কাপুরুষোচিত হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দা জনানোর ভাষা আমাদের নাই। গতকালের ঘটনা গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেড়াক ঠুকে দেওয়ার শামিল। আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ হয়ে গণ-আন্দোলনে পতনের ভয়ে ভীত হয়ে দেশকে পুলিশী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। আমারা সরকার এবং প্রশাসনের প্রতি এহেন অগণতান্ত্রিক, গণবিরোধী, সংবিধান বিরোধী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার আহবান জানাচ্ছি এবং এই বর্বরোচিত ন্যাক্কার জনক ঘটনার সাথে জড়িত সকলের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, অবিলম্বে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে পুলিশ প্রত্যাহার করতে হবে, গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি, গায়েবী ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, গ্রেফতারের নামে হয়রানী ও তল্লাশী বন্ধ করতে হবে। ১০ ডিসেম্বর ২০২২ ঢাকা বিভাগীয় গণ-সমাবেশ শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত করতে সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে। অন্যথায় সকল দায় দায়িত্ব সরকারকেই বহণ করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী দল। তারা সব সময়ে সন্ত্রাস করে বিএনপির ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করে। আওয়ামী লীগ মিথ্যাচার করা দল। তারা দুর্নীতি ও সন্ত্রাস করে দেশ চালাচ্ছে।
মির্জা ফখরুল দাবি করে বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সিমেন্টের ব্যাগে করে বোমা নিয়ে গিয়ে বিএনপির কার্যালয়ে রেখে আসে। পরে তারা বিএনপির কার্যালয়ে থেকে বোমা উদ্ধারের নামে নাটক করে। বিএনপির কার্যালয়ে থেকে দলের সদস্যদের দেওয়া মাসিক চাঁদা ও ব্যাংকের চেক বই নিয়ে গেছে। কার্যালয়ে বিভিন্ন রুমের দরজা ভেঙে ফেলেছে। গতকাল বিকেলে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের পর রাতে বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযান শেষে বিএনপির কার্যালয় থেকে নগদ ২ লাখ টাকা, ১৬০ বস্তা চাল, খিচুড়ি রান্নার উপকরণ এবং অবিস্ফোরিত ১৫টি বোমা উদ্ধারের কথা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মইন খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মাদ সিরাজ প্রমুখ।