জীবননগরে নাশকতার মামলায় গ্রেফতার বিএনপির ৭ নেতাকর্মী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫১ পিএম, ৭ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:৫১ পিএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা বিএনপির সাতজন নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (০৬ ডিসেম্বর) গভীর রাতে নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে পুলিশ বেশ কিছু বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করেছে বলে দাবি করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত কর্মীরা সকলেই একটি নাশকতা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
এদিকে এই গ্রেফতারকে ঘিরে উপজেলা বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেক নেতাকর্মী গ্রেফতারের ভয়ে ইতোমধ্যেই এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন।
গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীরা হলেন- মনোহরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক প্রধান (৫০), কর্মী ইসমাইল হোসেন (৪৫), কেডিকে ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ছকুল হোসেন (৪৫), সীমান্ত ইউনিয়ন বিএনপি নেতা জাকির হোসেন (৪২), বাঁকা ইউনিয়ন বিএনপির নেতা মজিবর রহমান প্রধান (৫০), জীবননগর পৌর বিএনপির কর্মী আরজ আলী (৩০) এবং আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা খন্দকার নাসির উদ্দিন (৫৬)।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক বলেন, গ্রেফতারকৃতরা ছাড়াও এজাহারভুক্ত এবং অজ্ঞাত ৭০-৮০ জন দুর্বৃত্ত জীবননগর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন স্থানীয় সাইফুল ইসলামের নার্সারির মধ্যে এলাকার জানমাল ও সম্পদের ক্ষতি সাধন এবং নাশকতা সৃষ্টি করতে বিস্ফোরকদ্রব্যসহ অবস্থান করছিল।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার (০৭ ডিসেম্বর) সকালে গ্রেফতারকৃতদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে এবং পলাতক আসামিদেরকে গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সমন্বয় কমিটির অন্যতম সদস্য উথলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঢাকার মহাসমাবেশে জীবননগর উপজেলার বিএনপির কোনো নেতাকর্মী যোগদান করছে না। আমাদের ওপর দলীয়ভাবে কোনো নির্দেশনাও নেই। জীবননগর উপজেলা বিএনপির কোনো কর্মসূচিও নেই। এই অবস্থায় জীবননগর উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের মিথ্যা ও সাজানো ঘটনায় গ্রেফতার করা অন্যায়। পুলিশের কাছ থেকে এমনটা আমাদের প্রত্যাশা নয়।