সরকার এক সর্বনাশা প্রতিশোধস্পৃহায় মেতে উঠেছে : মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৩৪ পিএম, ৪ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ১১:৪৪ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আগামী ১০ই ডিসেম্বর বিএনপি’র উদ্যোগে ঢাকা বিভাগীয় গণ সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার এক সর্বনাশা প্রতিশোধস্পৃহায় মেতে উঠেছে। সমাবেশকে নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার জন্য একের পর এক চক্রান্তজাল বিস্তার করে চলেছে। আওয়ামী সরকারের হাতে কখনোই গণতন্ত্র সুরক্ষিত থাকেনি। এদের ইতিহাস ঐতিহ্যে রয়েছে গণতন্ত্রের বিনাশ ঘটিয়ে কর্তৃত্ববাদী শাসনের উত্থান।
আজ রবিবার (০৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, ১০ই ডিসেম্বর বিএনপি’র গণ সমাবেশকে বানচাল করার জন্য সরকারের নানামূখী দমননীতি এখন সর্বসাধারণের নিকট পরিস্কার হয়ে গেছে। গতকাল বিএনপি’র চেয়ারপার্সন ‘গণতন্ত্রের মাতা’ সর্বাধিক জনপ্রিয় বেগম খালেদা জিয়ার বাসার সামনে সেই বালির ট্রাকের কায়দায় চেকপোষ্ট- বেরিকেড দিয়ে পুলিশ অবরোধ করে রেখেছে। এটি দেশনেত্রীর উপর নিপীড়নের আরেকটি নতুন মাত্রা। আমি সরকারের এহেন ঘৃণ্য আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একজন জনপ্রিয় নেত্রীকে মিথ্যা মামলায় ফরমায়েসি রায়ে কারারুদ্ধ রেখে চিকিৎসার সকল পথরুদ্ধ করে প্রতিনিয়ত প্রাণ নাশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী সরকার। তাঁর বাসভবন অবরোধ করে এবং জেলে পাঠানোর হুমকি দিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। আমি এই মূহুর্তে দেশনেত্রীর বাড়ির সামনে থেকে চেকপোষ্ট ও বেরিকেড তুলে নেওয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি।
তিনি আরোও বলেন, গতকাল রাজশাহীর গণসমাবেশ শেষে ঢাকায় আসার পথে কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু ও সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়নকে আমিন বাজার থেকে ডিবি পুলিশ উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে ঢাকার দারুস সালাম থানায় নিয়ে যায়। এটি ঢাকার সমাবেশের আগে সরকারের চলমান দমন-পীড়নের এক জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত। আমি অবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করছি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারি চক্রান্ত থেমে নেই। নয়াপল্টন এলাকাকে অস্থিতীশীল করার জন্য সরকারের এজেন্সিগুলো নানা ধরনের নাশকতা ঘটাতে অবর্তীণ হয়েছে। গতকাল এই কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিষ্ফোরণ করা হয়। এই বিষ্ফোরণের পর পুলিশ আকষ্মিকভাবে নেতাকর্মীদেরকে পাইকারী হারে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। গত পরশুদিন মতিঝিলে পরিত্যাক্ত বিআরটিসির দোতালা বাসে আগুন দিয়ে বিএনপি’র ওপর দায় চাপাতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা খেয়ে চুপসে গেছেন ওবায়দুল কাদের সাহেব। অথচ তিনি বিএনপিকে দায়ী করে তারস্বরে নাশকতার কথা বলে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, বিএনপি’র গণসমাবেশের কর্মসূচী জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করার জন্য প্রায় মাসখানেক আগে ঢাকা জেলা আদালতে জঙ্গী নাটকের অবতারনা করা হয়। বেশ কিছুদিন চুপ থেকে এখন সেই জঙ্গী ধরার নামে মেস, আবাসিক হোটেল ও বাসাবাড়ীতে পুলিশ ব্লক রেইড দিচ্ছে। পুলিশের এই হানা মূলত বিএনপি’র নেতাকর্মীদেরকে পাইকারী হারে গ্রেফতার, হয়রানীর ও আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য। আমি এই ঘৃণ্য চক্রান্তের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ২০১৩-২০১৫’র সালের পুরনো নাটকেরই পূণরাবৃত্তি করা হচ্ছে এই গণ গ্রেফতার এবং নাশকতার ঘটনা ঘটিয়ে। চলছে মেস ও আবাসিক হোটেলে জঙ্গীদের উপস্থিতি সন্দেহে পুলিশের ঘেরাও অভিযান। আমরা যার নমুনা দেখলাম বনানীতে। এদিকে পুলিশের আইজি বলছেন, ১০ই ডিসেম্বরের গণসমাবেশকে ঘিরে নাশকতার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। তাহলে কেন এই নাটক অভিযান? সরকার এক সুদূরপ্রসারী অশুভ মাস্টারপ্লানের পথে হাঁটছে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ চালিয়ে ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে অশান্তি সৃষ্টি করা হলেও, ইতোমধ্যে বিএনপি কেন্দ্রঘোষিত গণ সমাবেশ কর্মসূচী ৯টি বিভাগীয় সদরে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ আগামী ১০ই ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশ বানচাল করার জন্য অবৈধ সরকার যেন মরিয়া হয়ে উঠেছে। মন্ত্রী ও সরকারি দলের নেতাদের কথাবার্তায় ভারসাম্যহীনতার প্রভাব সুস্পষ্ট। ইতোমধ্যেই জনগণের নিকট সুষ্পষ্ট হয়েছে যে, সরকার একটি নাশকতামূলক পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। কিন্তু সরকারের এতে কোনো লাভ হবে না। জনগণ দিবালোকের মতোই সবকিছু অবলোকন করছে।
তিনি আরোও বলেন, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবীতে, জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবীতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি টেনে ধরতে ১০ই ডিসেম্বর পল্টনে বিএনপি’র গণসমাবেশকে ঘিরে বিএনপি নেতাকর্মীদের পিছনে পুলিশ লেলিয়ে দিয়েছে অবৈধ সরকার। অন্যান্য বিভাগীয় সমাবেশেও পুলিশ গ্রেফতার ও হয়রানী করেছে, পথে পথে বাধা দিয়েছে, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ সহিংস রক্তাক্ত আক্রমণ চালিয়েছে, তারপরেও জনতার স্রোতকে ঠেকাতে পারেনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, সকল বাধা বিপত্তিকে প্রতিহত করে মানুষ নদী সাঁতরে ভেলায় ভেসে এসেছে। খালি পেটে নগ্ন পায়ে মাইলের পর মাইল পাঁয়ে হেঁটে মানুষ এসেছে। নৌকা ও ট্রলারে দীর্ঘ নদী পথ অতিক্রম করে সমাবেশ স্থলে এসেছে। মাইলের পর মাইল সাইকেল চালিয়ে এসেছে। সমাবেশ শুরু হওয়ার ২/৩ দিন আগে থেকে মানুষ সমাবেশস্থলের আশেপাশে তাঁবু খাটিয়ে রাত্রি যাপন করেছে। মানুষের সম্মিলিত ইচ্ছার কাছে স্বৈরাচারি ইচ্ছা সবসময় পরাজিত হয়েছে। আগামী ১০ই ডিসেম্বরের সমাবেশও অভূতপূর্ব, শান্তিপূর্ণ ও বিপুল সমাগমে পরিপূর্ণ হবে ইনশাল্লাহ।
গত রাত থেকে আজ দুপুর পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতারের সংক্ষিপ্ত চিত্র
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ
বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ভীষণ অসুস্থ। কয়েকদিন আগে তাঁর চোখের অপারেশন করা হয়েছে। গতরাতে তাঁর বাসায় ডিবি পুলিশ অভিযান চালায় এবং তাঁর সহধর্মিনীর বড় ভাই অরাজনৈতিক ব্যক্তি আব্দুর রহমান সোহেলকে গ্রেফতার করেছে। আব্দুর রহমান সোহেলকে গ্রেফতারের নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই।
ধানমন্ডি থানা- ১৫ নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা জাকির, মিঠু ও টুটুল,
নিউ মার্কেট থানা- ১৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক, আবুজর গিফারী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি আবুল মনসুর হাওলাদার, ৬৪ নং ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা মোঃ শ্যামল এবং রানা,
কোতয়ালী থানা- স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোস্তাক আহমেদ, সদস্য সচিব জামিল উদ্দিন পাপ্পু,
কামরাঙ্গীর চর থানা- স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জহিরুল হক ও জাহাঙ্গীর আলম,
বংশাল থানা- স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা তারেক হোসেন রনি,৩২ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোঃ আজম,৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম রাজু,
চকবাজার থানা- স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নাঈম,
কলাবাগান থানা- স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোঃ মুরাদ, জাহাঙ্গীর আলম, শাহীন হাওলাদার,
লালবাগ থানা- ২৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি ফরিদউদ্দিন রানা,
সবুজবাগ থানা- ৭৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি শহিদুর রহমান শহিদ,
খিলগাঁও থানা- ৭৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রচার সম্পাদক ইব্রাহিম টিক্কা, শাহ আলম, ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক সৈয়দ ফয়জুর রহমান ফজু,
শ্যামপুর থানা- স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা তমিজ উদ্দিন রাসেল,
যাত্রাবাড়ী থানা- বিএনপি নেতা সাখাওয়াত হোসেন মামুন,
ডেমরা থানা- ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোঃ হাজী দুলাল,
হাজারীবাগ থানা- স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শিপন মৃধা, মিলন এবং আনোয়ার রাব্বীকে বাসায় না পেয়ে তার ছোট ভাইকে গ্রেফতার,
শাহজাহানপুর থানা- শ্রমিক দল নেতা মোঃ রুবেল, মোঃ নুরুল হক নুরুল, আবু বক্কর গ্রেফতার।
ঢাকা মহানগর উত্তর
কাফরুল থানা- ৪নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা বজলুর রশিদ বাবলু,
পল্লবী থানা- বিএনপি নেতা সামসুল ইসলাম সমু, ১৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা নাদিরুজ্জামান টিপু,
ক্যান্টনমেন্ট থানা- বিএনপি নেতা মোঃ সালাহউদ্দিন,
উত্তর খান থানা- বিএনপি নেতা মোঃ হাসান খান,
রামপুরা থানা- ৯৮ ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি সাইফুল ইসলাম শাহীন,
বাড্ডা থানা- ছাত্রদল নেতা আনিসুর রহমান সীমান্ত, মোঃ পুর থানা ৩৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ লোকমান হোসেন জুয়েল,
তেজগাঁও থানা- ২৫ ওয়ার্ড বিএনপি দফতর সম্পাদক মাওঃ মোঃ আশরাফ ও ২৫ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোঃ আকরাম গ্রেফতার, শ্রমিক দল ১৬ নং ওয়ার্ড নেতা জসিম বেপারী, ৮ নং ওয়ার্ড নেতা মোঃ আলম, ৪৯ নং ওয়ার্ড নেতা মোঃ আলমাস উদ্দিনসহ ৭ জন গ্রেফতার।
ঢাকা জেলা
গতরাতে ঢাকা জেলা বিএনপি’র সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক এর বাসভবনে ডিবি পুলিশ হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়েছে।
খুলনা মহানগর
খুলনা মহানগর যুবদল নেতা হোসেন, আল মামুন, যুবদল কর্মী ইয়াসিন গ্রেফতার। খুলনাা মহানগর বিএনপি নেতা সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান।
খুলনা জেলা- বটিয়াঘাটা থানা যুবদল নেতা নীরু মেম্বার, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ইয়াসিন আলী, বিএনপি নেতা মোঃ মনিরুল ইসলাম, যুবদল নেতা মোঃ সেলিম, গিলাতলা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আরেফিন শরীফকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খুলনা জেলা ও মহানগরে গণগ্রেফতার চলছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা- মোগরাপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মিন্টু মিয়া, সোনারগাঁও পৌর বিএনপি নেতা সান্টু মোল্লা, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদল নেতা হামিদুর রহমান সুমন গ্রেফতার।
সোনারগাঁও উপজেলা- বিএনপি সভাপতি ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নানকে বাসায় না পেয়ে তার শ্যালক ওমর ফারুককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ফরিদপুর জেলা- সদর উপজেলা যুুবদল নেতা কবির মোল্লা, চরভদ্রাসন উপজেলা বিএনপি’র সভাপতিসহ তিন জন গ্রেফতার। সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি গোলাম রাব্বানীসহ ২৭ জনের নামে চরভদ্রাসনে ১৫/১৬ জনের নামে মিথ্যা মামলা। বিএনপি নেতা কুদ্দুস মিয়ার বাড়ীতে পুলিশ হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাংচুর করেছে, হুমকি দিয়েছে।
নরসিংদী জেলা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক ফারুক উদ্দিন ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করে।
বেলাবো উপজেলা- বিএনপি নেতা শাহজাহান, আঙ্গুর মিয়া, খোরশেদ আলম, যুবদল নেতা মাসুদ তালুকদার, সুমন আহমেদ, হুমায়ুন কবির, কাঞ্চন মিয়া,
সদর উপজেলা- বিএনপি নেতা সাধন আলী, ফারুক মিয়া,
রায়পুরা উপজেলা- বিএনপি নেতা মিন্টু ও ফরিদ ডাক্তার গ্রেফতার।
চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদল যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সালাম বিপ্লব, পৌর ছাত্রদল নেতা মাজেদুর আলম মেহেদী, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আখতারুজ্জামান, আসাদুল হক গ্রেফতার।
যশোর জেলা:
সদর উপজেলা চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন ও নওয়াপাড়া ইউনিয়নের আড়পাড়া ওয়ার্ড বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক রেজা ফকির ও নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রাশেদুলসহ ৪ জন।
মনিরামপুর: সদর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ইমরান হোসেন ও রহিতা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি পিন্টু হোসেনসহ ৬ জন।
অভয়নগর: উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ সম্রাট ৫নংইউনিয়ন বিএনপি যুগ্ম-আহবায়ক মোঃ ফারুক মোল্লা, ইউনিয়ন বিএনপি'র যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আবুল কাসেমসহ ৭ জন।
কেশবপুর: উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আজিজুর রহমান আজিজ ও পাজিয়া ইউনিয়ন বিএনপিনেতা মনিরুজজামানসহ ১২ জন।
ঝিকরগাছা: গদখালি ইউনিয়ন বিএনপি নেতা, নাভারন ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মোঃ সোলাইমান আব্দুল মজিদ ও ৯নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস আলীসহ ৪ জন।
চৌগাছা উপজেলা: পাতিবিলা ইউনিয়ন বিএনপি'র ৩নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা ও জগদীশপুর ইউনিয়ন বিএনপিনেতা মশিয়ার রহমানসহ ৩ জন।
বাঘারপাড়া উপজেলাঃ বাসুয়াড়ি ইউনিয়ন বিএনপি'র সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হাফিজুর রহমান ও যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলামসহ ১৬ জন।
শার্শা উপজেলাঃ উলশী ইউনিয়ন বিএনপি'র সদস্য হাবিবুর রহমান গ্রেফতার।
এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী
মোট গ্রেফতার, গত ৩০ নভেম্বর রাত থেকে গত ০৩ ডিসেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত ৭৮৩ (অন্ততঃপক্ষে)।
০৩ ডিসেম্বর রাত ৮টা থেকে আজ ০৪ ডিসেম্বর দুপুর পর্যন্ত ২৪৮ (অন্ততঃপক্ষে)।
গত ৩০ নভেম্বর রাত থেকে আজ ০৪ ডিসেম্বর দুপুর পর্যন্ত (০৪ দিনে) ১০৩১ (অন্ততঃপক্ষে)।
মুন্সিগঞ্জ জেলাঃ লৌহজং থানা, পদ্মা থানা, টঙ্গীবাড়ী থানা, শ্রীনগর থানা, সিরাজদিখান থানা, গজারিয়া থানায় বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদসহ সারাদেশে কয়েক শত মামলায় হাজার হাজার নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা সারাদেশ থেকে খবর নিয়ে পরবর্তীতে সম্পূর্ণ তালিকা আপনাদেরকে অবহিত করবো বলে জানান মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশব্যাপী গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলা দায়েরের ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।