ফরিদপুরে পুলিশের সামনে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৪ পিএম, ৩০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:১৭ পিএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
ফরিদপুরে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ, চেয়ার ভাংচুর, সমাবেশ পন্ড হয়ে যায়।
আজ বুধবার বিকেল ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্ত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের মিথ্যা মামলা, গায়েবি মামলা, পুলিশি নির্যাতন ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ফরিদপুর মহানগর শাখা। এতে সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ এফএম কাইউম জঙ্গী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল যথাক্রমে বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান ও বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদের।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এ সমাবেশ উপলক্ষ্যে ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্তরে ছোট আকারের একটি মঞ্চ করা হয়। বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ তখনও ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছাননি। ঐসময় মঞ্চে অন্যান্যদের মধ্যে বসাছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ও সদস্য সচিব এ কে কিবরিয়া।
মহানগর বিএনপির সভাপতি এ এফ এম কাইয়ুম জঙ্গি ও সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা হোসেন মিরাজ জানান বিকেল পৌনে চারটার দিকে হেলমেট ও মুখোশ পড়া অনুমানিক ৩০/৩৫ জন তরুণ লাঠি ও ইট নিয়ে সভা স্থলে হামলা করে। হামলাকারীরা ব্যানার ছিনিয়ে নেয় ও চেয়ার ভাংচুর করে। এ সময় হামলাকারীরা তিনটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়।
ঐসময় পুলিশ সিজান নামে ছাত্রদলের এক কর্মীকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে। এ আটক কে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে বিএনপির নেতাদের ধস্তা ধস্তি হয়। পরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান ও বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ঘটনাস্থলে আসেন।
শামা ওবায়েদ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, পুলিশের গুলিতে এ পর্যন্ত বিএনপির ১১ জন নেতা-কর্মী নিহত হয়েছে। তার প্রতিবাদে গত চারদিন আগে আমরা এ বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছি। পুলিশের তত্ত্বাবধানে ছাত্রলীগ-যুবলীগ এ হামলা করেছে। আমরা দেখেছি তারা বিভিন্ন জায়গায় ককটেল রেখে গায়েবি মামলা দিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় আজ তারা ফরিদপুর প্রেসক্লাবে ককটেল ফাটিয়ে আমাদের লোকদের ধরপাকড় করা হয়।
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, এখানে আজ আমাদের যে সমাবেশ ছিল সেটা ছিল সাধারণ মানুষের উপর ও বিএনপির নেতা কর্মীদের উপর সরকারের নির্যাতনের বিরুদ্ধে, ১১ জন নেতা মারা গেছে তার বিরুদ্ধে একটি শান্তি পূর্ণ ছোট সমাবেশ করতে এসে আমরা হামলার শিকার হলাম।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ কে কিবরিয়া বলেন, হামলায় দিলিপসহ তাদের অন্তত ৮জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। পুলিশ রিতু, কামাল, রাজীব ও সিজানসহ বেশ কয়েকজন তরুণ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।