সরকারি ব্যাংক লুটের পর এবার ইসলামী ব্যাংক ফাঁকা করেছে : দুদু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৩১ পিএম, ৩০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৪৮ এএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, সরকারি ব্যাংক আগেই লোপাট হয়েছে। বেসরকারি বিশ্বাসযোগ্য লাভজনক ব্যাংক ছিল ইসলামী ব্যাংক। এক বছরের মধ্যে সেই ব্যাংকও ফাঁকা করে ফেলেছে। উদ্যোক্তা যারা ব্যাংক বানিয়েছিল, তারাও এই ব্যাংক থেকে টাকা উঠিয়ে নিচ্ছে। তিনি বলেন, অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, সব ব্যাংক থেকে ১০ লাখ, ১২ লাখ কোটি টাকা এদেশ থেকে পাচার হয়ে গেছে। সরকারের মন্ত্রী আছে, পুলিশ আছে মিলিটারি আছে, কিন্তু টাকা থাকে না। হাঁটতে হাঁটতে দেশ থেকে চলে যায়। টাকার অভাবে বিদেশ থেকে চাল আমদানী করা যাচ্ছে না। তেল আমদানী করা যাচ্ছে না। বিদ্যুতের দাম বাড়ছে।
আজ বুধবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর কেডি ঘোষ রোডের বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। পুলিশের মামলা, নির্যাতন ও গ্রেপ্তারের অভিযোগ তুলে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে খুলনা মহানগর বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ঢাকায় সমাবেশ করতে ২৬টি শর্ত দেওয়া হয়েছে। ১০ ডিসেম্বর যতো এগিয়ে আসছে সরকারের মন দুরু দুরু করছে।
তিনি বলেন, সরকারের সময় শেষ। পদত্যাগ করুন। এই ডিসেম্বরে হানাদার বাহিনীকে আমরা পরাজিত করেছি। এই ডিসেম্বরে গণতন্ত্রের বিজয় পতাকা উড়িয়েছিলাম। এই ডিসেম্বরে বাংলাদেশীরা মুক্তির স্বাদ গ্রহণ করেছিল। এই ডিসেম্বরে বিএনপি কর্মীরা বিজয় পতাকা তুলে ধরবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, আ'লীগ ক্ষমতায় না থাকলে বড় নেতার বিপদেও কেউ এগিয়ে আসে না। আপনারা যখন দেখবেন পার্টি ক্ষমতায় নেই, সরকারও নেই, তখন কোথায় যাবেন? তখন কি হবে? মানুষ এখন ঘরে থাকতে চায় না। এই সরকারের হাত থেকে মানুষ এখন মুক্তি চাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, কি অপরাধে বিএনপি কর্মী জিকোকে হত্যা করা হয়েছে। এক এক করে ১০টা মানুষকে মেরে ফেললেন। ১৫ বছর ক্ষমতায় আছেন, খায়েশ এখনও মেটেনি। বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সমাবেশে বাস, লঞ্চ, ট্রলার বন্ধ করেছে। তবুও হুশ হয়নি। মানুষের এখন বাস, লঞ্চ, ট্রলার লাগে না। তারা হেটে না হলে সাঁতরে আসে। খালেদা জিয়ার শাসননামলে ১৬ টাকা কেজির চাল থেকে এখন ৭০ টাকা। এই সরকার ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়ানোর কথা বলে এখন ৭০ টাকায় খাওয়ানো হচ্ছে। আটা, চিনি ঠিকমতো পাওয়া যায় না। কখনও কখনও বাজার থেকে শিশু খাদ্যও উধাও হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, একজন কৃষক কষ্ট করে ক্ষেতের ফসল ফলায়। অথচ ২৫ হাজার টাকার জন্য কৃষকদের জেলে দিয়েছেন। আর লক্ষ্য হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে পাচার করছে তাদের কোনো বিচার করলেন না? এ কেমন বাংলাদেশ।
পুলিশের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেশের জন্য আপনারা অস্ত্র হাতে নিয়েছিলেন। অথচ আপনারা অহেতুক গায়েবি মামলা দিবেন, আর কতো? আপনারা বাঁধা না দিলে ৩ ঘণ্টায় সমাবেশ শেষ করতাম।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক এসএম শফিকুল আলম মনা।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও বিএনপি নেতা শেখ সাদীর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তৃতা করেন জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, মনিরুল হাসান বাপ্পি, আবু হোসেন বাবু, জুলফিকার আলী জুলু, কাজী মাহমুদ আলী, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, শামিম কবির, শেখ তৈয়েবুর রহমান, মো. মুজিবর রহমান।