আজ ২৭ নভেম্বর শহীদ ডাঃ মিলন দিবস
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৩০ এএম, ২৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০১:৪৮ এএম, ৮ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
আজ ২৭ নভেম্বর শহীদ ডাঃ মিলন দিবস। এ উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাণী দিয়েছেন।
গতকাল শনিবার (২৬ নভেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বাণীতে বলা হয়, গতকাল ২৭ নভেম্বর, শহীদ ডাঃ শামসুল আলম খান মিলন ‘৮০’র দশকে স্বৈরাচার বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে একটি অবিস্মরণীয় নাম।
গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ডাঃ মিলনের আত্মদান ইতিহাসে ভাস্বর হয়ে থাকবে। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন চলাকালে ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর তৎকালীন স্বৈরসরকারের লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীদের গুলিতে শহীদ হন তিনি। তার মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি। স্বৈরাচারী শাসনের শৃঙ্খল থেকে গণতন্ত্রকে উদ্ধার করতে গিয়েই শহীদ হয়েছেন ডাঃ শামসুল আলম খান মিলন। সকল কর্তৃত্ববাদী, স্বৈরাচারী গণতন্ত্র বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামে ডা: মিলনের আত্মত্যাগ আমাদের প্রেরণার উৎস।
আমাদের কষ্টার্জিত ও রক্তস্নাত গণতন্ত্র আবারও গভীর খাদের কিনারে গিয়ে পড়েছে। ২০১৪-এর ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচন এবং গত ২০১৮-এর ২৯ ডিসেম্বর নিশিরাতের অভিনব নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও গণতন্ত্রকে একদলীয় দুঃশাসনের করাল গ্রাসে গিলে ফেলা হয়েছে। বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলাকে থামিয়ে দেয়া হয়েছে। গণতন্ত্রের শত্রুরা নাগরিক স্বাধীনতা ও রাজনীতির বহুমাত্রিকতা হরণ করেছে। মানুষের কথা বলা ও ভোটের অধিকার হরণ করে অতীত বাকশালের প্রেতাত্মা এখন ভয়াল রূপে আত্মপ্রকাশ করেছে।
গণতন্ত্র বিরোধী অপশক্তিগুলোর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে ‘গণতন্ত্রের প্রতীক’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। গণতন্ত্রকে মজবুত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়ে রাষ্ট্রীয় গণতন্ত্রের বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে। আর তাহলেই ডাঃ মিলনের আত্মত্যাগ সার্থক হবে।
শহীদ ডাঃ মিলন দিবস উপলক্ষে অপর এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, শহীদ ডাঃ মিলন দিবস উপলক্ষে আমি ৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের শহীদ ডাঃ শামসুল আলম মিলনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে শহীদ ডাঃ মিলন পালন করেছিলেন অকুতোভয় সৈনিকের ভূমিকা। ডাঃ মিলনের রক্তদানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে তখন নতুন গতিবেগ সঞ্চারিত হয়। স্বৈরাচার হটিয়ে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছিলো তার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা। বুকের রক্ত ঢেলে তিনি এদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথ প্রশস্ত করে গেছেন। যে পথ বেয়ে দেশে স্বৈরাচারের পতন ঘটে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়।
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্রের নবযাত্রা শুরু হয়। কিন্তু বর্তমান অবৈধ সরকার বিগত ১৪ বছর ধরে আবারও মানুষের সকল অধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্রকে সমাধিস্থ করেছে। দেশের মানুষ তাদের সকল অধিকার হারিয়ে ফেলেছে। জনগণের কাছ থেকে দেশের মালিকানা কেড়ে নেয়া হয়েছে। আবারও গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে হবে, প্রতিষ্ঠিত করতে হবে মানুষের সকল মৌলিক মানবাধিকার। সেজন্যই প্রথমে আমাদেরকে গণতন্ত্রের আপোসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে স্বৈরাচারের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে হবে। সে লক্ষ্য অর্জনে শহীদ ডাঃ মিলনের আত্মত্যাগ আমাদেরকে প্রেরণা জোগাবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকের এই দিনে আমি ডাঃ মিলনসহ শহীদদের রক্তস্নাত হারানো গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে সকলের প্রতি আহবান জানাই।