খুলনায় আইনজীবী সমিতির নির্বাচন বর্জন করেছে সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৬ পিএম, ২৬ নভেম্বর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:১০ এএম, ১০ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
নির্বাচন কমিশনের উক্ত সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ পক্ষপাতমূলক ভুমিকা ও একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের অভিযোগ এনে খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন বর্জন করেছে সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদ মনোনীত সভাপতি প্রার্থী শরিফুল ইসলাম জোয়াদ্দার খোকন ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম শহিদুল আলম পরিষদের সকল সদস্য।
এর আগে আজ শনিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের দাবীতে নির্বাচনী কক্ষের মধ্যে কেউ মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না এবং কোন দলের কোন প্রার্থী নির্বাচন কক্ষে উপস্থিত থাকতে পারবে না।
সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদ-এর সিনিয়র কো-কনভেনর এড.গাজী আব্দুর বারী উল্লেখ করেন খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম বিগত ৩ বছর যাবৎ নির্বাচন কক্ষের অবস্থান করে ভোটারদের দেখিয়ে ভোট দিতে বাধ্য করেন। অনেককে মোবাইলে ব্যালেটের ছবি তুলে তাকে ও তার পরিষদকে ভোট দেওয়া হয়েছে কিনা দেখাতে বাধ্য করেন।
সম্মেলনে তারা আরো দাবি করেন, নির্বাচন কমিশনকে ইতিপূর্বে বিভিন্ন সময় ৫টি চিঠি দিয়ে তাদের কাছে উক্ত দাবী সমূহ পেশ করা হয়েছে। সাইফুল ইসলাম ও তারেক মাহমুদ তারা পরিষদের নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের একাধিক অভিযোগ উত্থাপন করা স্বত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। সভাপতি প্রার্থী মোঃ সাইফুল ইসলাম-এর চেম্বার থেকে গত ১ সপ্তাহ যাবত ভোটারদের মাঝে প্রকাশ্যে সুটপিস, শাড়ী ও নগদ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তা দেখেও না দেখার ভান করছেন।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সর্বদলীয় ঐক্যজোটের সুস্পষ্টভাবে দাবি করেন সাইফুল ইসলাম ও তারিক মাহমুদ তারা ভোট কেন্দ্রে অবস্থান করলে পাতানো নির্বাচন বর্জন করা হবে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোন দাবীর উত্তর নির্বাচন কমিশন দেয়নি। শনিবার দুপুরের সংবাদ সম্মেলনের পর বাধ্য হয়ে তড়িঘড়ি করে বেলা ২টায় কমিশনের চেয়ারম্যান-এর একক স্বাক্ষরিত চিঠিতে সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ভোট কেন্দ্রে থাকবেন।
নির্বাচন কমিশনের উক্ত সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ পক্ষপাতমূলক এবং একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের পায়তারা মাত্র। বারের গঠনতন্ত্রে ৫৭ ও ৫৭(১) ধারার কোথাও উল্লেখ নেই যে, নির্বাচনের কোন প্রার্থী বা বারের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে পারে। সুতরাং নির্বাচন কমিশনের
সিদ্ধান্ত অবৈধ ও পক্ষপাতমূলক। এমতাবস্থায় সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদ মনোনীত শরিফুল ইসলাম জোয়াদ্দার খোকন ও এ কে এম শহিদুল আলম শহিদ পরিষদের ১৪ জন প্রার্থী সকলে অত্যন্ত কষ্ট, দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে নির্বাচন কমিশনের নিকট লিখিত আবেদনের মাধ্যমে তাহাদেরকে নির্বাচনের সকল কার্যক্রম থেকে তাহাদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। সে মোতাবেক সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদ খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন ২০২৩ বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছেন।