মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রংপুর জেলা বিএনপির সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৪৩ পিএম, ২৬ নভেম্বর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:০১ পিএম, ১৬ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
রংপুরে নেতা কর্মীদের নামে দায়ের কৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে জেলা বিএনপি।
আজ শনিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই আল্টিমেটাম দেয়া হয়।
নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রংপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফসার আলী লিখিত বক্তব্যে বলেন, রংপুর জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে পুলিশের উদ্দেশ্য প্রণোদিত মিথ্যা ও ফরমায়েশি মামলা প্রত্যাহারের জন্য দাবি জানাচ্ছি।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বিকেল ৪ টায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল পালন করে। বিক্ষোভ মিছিল পালনের জন্য নগরীর শাপলা চত্বরে রংপুর জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সব পর্যায়েরর নেতাকর্মীরা সমবেত হয়। এরপর শাপলা চত্বর থেকে একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল গ্র্যান্ড হোটেল মোড়স্থ জেলা বিএনপি কার্যালয়ের অভিমুখে রওনা হয়। পথে শ্যালো মার্কেটের সামনে পুলিশ বেরিকেড দিয়ে শান্তিপূর্ণ মিছিলটিতে বাধা দেয়। নেতারা পুলিশকে অনুরোধ করে বলেন শান্তিপূর্ণ মিছিলটি দলীয় কার্যালয়ের মধ্যে ঢুকে সমাপ্ত করা হবে। কিন্তু পুলিশ কোনো কথা না শুনে নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ ও রাইফেলের বাট দিয়ে মারধর শুরু করে।
এতে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে কেউ দলীয় কার্যালয়ে আবার কেউ বাইরে ভীত অবস্থায় নিরাপদ আশ্রয় নেন। কিন্তু পুলিশ দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করে নেতাকর্মীদের আবারও মারধর শুরু করে। এসময় আনিছুল মন্ডল ও রাশেদুল ইসলামের মাথা ফেটে যায় এবং আরও অনেকে আহত হন।
তিনি আরও বলেন, রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ২২ নভেম্বর তার এক নিকটাত্মীয়ের হার্ট অপারেশন ও ব্যবসার কাজে ঢাকায় ছিলেন। কিন্তু তাকেসহ ১৮ জনকে এবং অজ্ঞাত আরও ২০০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিত মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়েছে পুলিশ। শান্তিপূর্ণ মিছিলটিকে বাধাগ্রস্ত করে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে লাঠিচার্জসহ মারধর করাটা সন্দেহজনক। পুলিশের দাবি মতে, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ একটি মনগড়া কাহিনী মাত্র। পুলিশের করা মামলার ধারার সঙ্গে ঘটনার বর্ণনা সাংঘর্ষিক। কাজেই উক্ত মামলাটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত মিথ্যা বানোয়াট ও ফরমায়েশি। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মামলাটি প্রত্যাহার করা না হলে মঙ্গলবার থেকে প্রতি উপজেলায় মানববন্ধন, পৌরসভা ও জেলায় প্রতিবাদ সভাসহ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রংপুর অচল করে দেওয়া হবে।