জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে যুক্তরাজ্য বিএনপির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৯:০৫ পিএম, ৮ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০২:৪৬ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সোমবার যুক্তরাজ্য বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। পূর্বলন্ডনের দ্য রয়েল রিজেন্সি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক। সভায় দর্শক সারিতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান। সভা পরিচালনা করেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান, সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর (অব) এ বি সিদ্দিক এবং সাপ্তাহিক সুরমা সম্পাদক শামসুল আলম লিটনসহ অনেকে।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, শেখ মুজিবের শাসনামলে ’৭৪ সালে যেভাবে দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল আওয়ামী লীগের দুর্নীতি-লুটপাট টাকা পাচার অবিচার অনিয়মের কারণে দেশে এখন আবারো দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি। আওয়ামী লীগ মানেই দুর্ভিক্ষ আর দুর্নীতি। তাই আজ মাফিয়া সরকারের গুম-খুন- অপহরণ জুলুম নির্যাতন অন্যায় অবিচার, লুটপাট ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দেশের জনগণ জেগে উঠেছে। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে শহীদ জিয়াউর রহমান যেভাবে ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন করেছিলেন, ’৭৫ সালের ৭ নভেম্বর যেভাবে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, গণআন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ বেগম খালেদা জিয়া যেভাবে দেশে গণতান্ত্রিক শাসন কায়েম করেছিলেন, একইভাবে মাফিয়া চক্রের কবল থেকে দেশ উদ্ধার করে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার আদায়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথ দখলের দায়িত্ব বিএনপিকেই নিতে হবে। বিএনপির চলমান এই আন্দোলনে দেশে বিদেশে প্রতিটি গণতন্ত্রকামী মানুষের সমর্থন রয়েছে। মাফিয়া সরকারের সকল বাধা বিপত্তি পেরিয়ে বিএনপি আয়োজিত মহাসমাবেশে যারা অংশ নিচ্ছেন তাদেরকে ‘গণতন্ত্রের যোদ্ধা’ আখ্যা দিয়ে বক্তারা বলেন, একের পর মহাসমাবেশগুলো সফল করে জনগণ বার্তা দিয়েছে তারা আর নিশিরাতের ভোট ডাকাত সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
সকল বিভাগে মহাসমাবেশ শেষে বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে আগামী ১০ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকায় মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকার সমাবেশে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী প্রায় এক কোটি প্রবাসী বাংলাদেশিদেরকে তাদের প্রত্যেকের পরিবার থেকে কমপক্ষে একজনকে ঢাকার মহাসমাবেশে অংশ নেয়ার আহবান জানান।
বক্তারা আরো বলেন, প্রবাসীরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কষ্টার্জিত অর্থ থেকে প্রবাসীরা দেশে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠায় আর আওয়ামী লীগের দুর্নীতিবাজ নেতা-মন্ত্রীরা সেই সব ডলার ‘কুইক রেন্টাল’সহ বিভিন্ন উপায়ে দেশ থেকে বিদেশে পাচার করে দেয়। মাফিয়াদের কাছ থেকে নিজেদের কষ্টার্জিত রেমিট্যান্স রক্ষা করতে চাইলে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনে দেশের জনগণের পাশাপাশি প্রবাসীদেরকেও শামিল হতে হবে। জনগণ জানতে চায়, নিজ দেশের মাটিতে কুইক রেন্টাল বানিয়ে তাদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় করে কিংবা ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে কেন ডলারে পেমেন্ট দেয়া হয়েছে? বিদেশে কুইক ‘টাকা পাচারে’র সুযোগ করে দিতেই ‘ফরেন রিজার্ভ’ তছরুপ করে শেখ হাসিনা দলীয় দুর্নীতিবাজদেরকে ডলারে পেমেন্ট দেয়ার ব্যবস্থা করেছে।
প্রশাসন বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহবান জানিয়ে বক্তারা বলেন, বছরের পর বছর ধরে প্রশাসনের কিছু মানুষ মাফিয়া সরকারের পক্ষে অতি উৎসাহীর ভূমিকা পালন করেছেন। ‘অনেক হয়েছে, এবার ক্ষান্ত দিন, এবার শান্ত হোন। আপনারা মাফিয়া সরকারের অবৈধ আদেশ মানতে বাধ্য নন। আপনারা জনগণের বুকে আর একটি গুলিও চালাবেন না। জনগণের দিকে আর বন্দুক তাক করবেন না। মনে রাখবেন, রাজপথে নেমে আশা গণতন্ত্রকামী জনগণ আপনাদের শত্রু নয়, তারা নিজেদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তারা আপনাদের ভোটাধিকারও প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
সেনাবাহিনী, জনপ্রশাসন কিংবা পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের আহবান জানিয়ে বক্তারা বলেন, ‘প্রশাসনের প্রিয় ভাইবোনেরা, মাফিয়া সরকার এতদিনের নানা বিষয় আপনাদের সামনে হাজির করে আপনাদেরকে ভয় দেখিয়ে বলতে চাইছে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে আপনাদের বিপদ হবে। মাফিয়াদের এমন অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হওয়ার অবকাশ নেই। গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসলে কারো বিরুদ্ধে বেআইনি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করবে না। গত একযুগে নতুন প্রজন্মের প্রায় আড়াই কোটি তরুণ ভোটারকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছো। ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও তাদের প্রায় কেউই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি।
এ প্রসঙ্গে দেশের তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশে বক্তারা বলেন, ‘তোমাদের মনে রাখতে হবে, ভোটাধিকার একজন নাগরিকের মানবাধিকার। ভোটাধিকার প্রতি নাগরিকের মানবিক মর্যাদার প্রতীক। সুতরাং এবার ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হলে ভবিষ্যতে আরো ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে হবে। অতএব এই মানবিক মর্যাদা তথা ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে তরুণদেরকে রাজপথ দখল করতে হবে। সরকার গত ১৫ বছরে দেশের রাজনীতি অর্থনীতিসহ প্রতিটি সেক্টর ধ্বংস করে দিয়েছে। সুতরাং প্রতিটি সেক্টরকেই রিবিল্ড তথা পুনর্গঠন কিংবা সংস্কার করতে হবে। তবে জনরায়ে ক্ষমতায় গেলে সরকারের দুর্নীতি দুঃশাসনে ক্ষত বিক্ষত এই রাষ্ট্রটির মেরামত বিএনপি এককভাবে করবে না। বরং বর্তমানে সরকার বিরোধী চলমান আন্দোলনে যারা রাজপথে সক্রিয় রয়েছেন, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আন্দোলনকারী সেই দলগুলোর বিজয়ী কিংবা বিজিত সবাইকে নিয়েই বিএনপি জাতীয় সরকার গঠন করবে। জাতীয় সরকারের মাধ্যমেই দেশের প্রতিটি সেক্টরের প্রয়োজনীয় সংস্কার করবে। দেশে প্রবাসে অনেক জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিত্ব রয়েছেন যারা প্রচলিত রাজনীতি ডামাডোল থেকে নিজেদের দূরে রাখতে চান। কিন্তু সেইসব জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিত্বদের যোগ্যতা-মেধা- অভিজ্ঞতা রাষ্ট্রের প্রয়োজন। ফলে দেশের স্বার্থে জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিত্বদের মেধা ও যোগ্যতা কাজ লাগাতে বিএনপি পার্লামেন্টে উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠা করবে। সরকার দেশকে যেভাবে খারাপের চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গেছে একমাত্র বিএনপির পক্ষেই সেই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব। কারণ যতবারই দেশ বিপদে পড়েছে একমাত্র বিএনপির নেতৃত্বেই দেশ আবার সঠিক ধারায় ফিরেছে। স্বাধীনতা পরবর্তী আওয়ামী শাসনামলে আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশ ‘বটমলেস বাস্কেট’ হিসেবে কুখ্যাতি পেয়েছিল। তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ ঘুচিয়ে স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া সেই বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাশীল এবং স্বাবলম্বী রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন। স্বাধীনতা-পরবর্তী আওয়ামী শাসনামলে ক্ষমতাসীন দুষ্টচক্রের সীমাহীন লুটপাট আর দুর্নীতির কারণে ১৯৭৪ সালে দেশে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হয়েছিল। সেই দুর্ভিক্ষপীড়িত বাংলাদেশ স্বাধীনতার ঘোষকের শাসনামলে কৃষি বিপ্লবের মাধ্যমে শুধুমাত্র খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতাই অর্জন করেনি বিদেশে চাল রফতানি করতেও সক্ষম হয়েছিল।
তারা আরো বলেন, জনগণের রায়ে বিএনপি একাধিকবার রাষ্ট্র ক্ষমতা পরিচালনার সুযোগ পেয়েছে। ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ বেগম খালেদা জিয়ার সরকার দেশে সংসদীয় ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। শিক্ষা-স্বাস্থ্য ব্যবস্থাসহ দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক মানদন্ডে উন্নীত করেছিলেন। বেগম খালেদা জিয়ার সরকারের আমলে দেশে ৮০ হাজার শিল্প কল-কারখানা স্থাপন করেছিল। বিনা বেতনে নারী শিক্ষা চালু করেছিলেন। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ ‘এশিয়ার এমারজিং টাইগারে’ পরিণত হয়েছিল। সুতরাং জনগণ বিশ্বাস করে একমাত্র বিএনপি সরকারই জনস্বার্থ রক্ষা করতে পারে।
শেখ হাসিনা বিএনপিকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, যেভাবে হেফাজতকে দমন করা হয়েছে একইভাবে বিএনপিকে দমন করা হবে। শেখ হাসিনার এই হুমকির কথা উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, এই ধরনের হুমকি দিয়ে মাফিয়া নেত্রী শেখ হাসিনা স্বীকার করে নিয়েছেন, তার হুকুমেই হেফাজতের সমাবেশে হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। জনরায়ে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এই হত্যাকান্ডের বিচার করা হবে। শুধু তাই নয়, বিডিআর পিলখানায় সেনা হত্যাযজ্ঞেরও বিচার করা হবে। বেগম খালেদা জিয়াকে আবারো জেলখানায় পাঠিয়ে দেয়া হবে, শেখ হাসিনার এই হুমকি প্রসঙ্গে বক্তারা বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আমাদের মা, তবুও আমি এই কথার জবাব দেবো না। ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’র প্রতি শেখ হাসিনার এই হুমকির সমুচিত জবাব দেবে দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ। গত ১৫ বছর ধরে লুটপাট করে দেশের টাকা পাচার করে দেশকে ফতুর করে দিয়ে এখন মাফিয়া নেত্রী মানুষকে কৃচ্ছ্র সাধনের উপদেশ দেন। জনগণ আর এমন ভন্ডামি সহ্য করতে রাজি নয়।
তারা বলেন, দেশের জনগণের দিন কাটছে অর্ধাহারে-অনাহারে-অন্ধকারে। এমন দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির মধ্যেই মাফিয়া চক্র জনগণকে আরো জানিয়ে দিয়েছে আগামী দিনে নাকি আরো ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ আসছে। আওয়ামী লীগ দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে অকার্যকর করে দিয়েছে। বিচার বিভাগকে একটি ‘জোকারি-মকারী’ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে। আদালতে এখন সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের বিচার হয় না। বরং মাফিয়া চক্রের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ কিছু লিখলে সেটির বিচার করতেই যেন বিচারকদের বেশি আগ্রহ। আওয়ামী মাফিয়া চক্রের দুর্নীতি দুরাচার আর অনাচারের বিরুদ্ধে কেউ যাতে মুখ খুলতে না পারে, এ কারণে মানুষকে গুম অপহরণ করে আটকে রাখতে রাজধানীতে শেখ হাসিনার নির্দেশে গড়ে তোলা হয়েছে গোপন বন্দিশালা ‘আয়নাঘর’।
তারা বলেন, বিএনপির সকল রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস জনগণ আর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মাফিয়া চক্রের ক্ষমতার উৎস আয়নাঘর।
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে বক্তারা বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে ১৯৭৮ সালে বিএনপি গঠিত হলেও দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী শক্তি বিশ্বাস করে ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে’র ভিত্তি নির্মিত হয়েছিল ’৭৫ সালের ৭ নভেম্বর। দেশকে একটি ভয়ানক অরাজক পরিস্থিতি থেকে বের করে এনে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতার ঘোষকের নেতৃত্ব মেনে নিয়েছিল। বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি বিশ্বাস করে স্বাধীনতার ঘোষকের সাহসী এবং বিচক্ষণ নেতৃত্বে, ’৭৫ এর ৭ নভেম্বর থেকেই ‘সাম্য-মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক সুবিচার’ মুক্তিযুদ্ধের এইসব মূলমন্ত্রে সত্যিকারভাবে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছিল। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই, ৭ নভেম্বরের পরাজিত অপশক্তি এখন ‘মহাজোটে’র নামে ‘একজোট’ হয়েছে। এই অপশক্তি এখনো দেশের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এই অপশক্তি দেশে গণতন্ত্র হত্যা করেছে, মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে, দেশে সন্ত্রাসবাদের জন্ম দিয়েছে। ২১ আগস্টের ঘটনা ঘটিয়েছে। অসাংবিধানিক ‘ওয়ান ইলেভেনের’ সৃষ্টি করেছে। ২১ আগস্ট এবং ওয়ান ইলেভেন একই সূত্রে গাঁথা। একটি ওয়ান ইলেভেন সৃষ্টির প্রেক্ষাপট তৈরি করার জন্যই পরিকল্পিতভাবে ২১ আগস্টের ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। আগামীর নির্বাচন হবে খুনি লুটেরা টাকা পাচারকারী দুর্নীতিবাজে মাফিয়া চক্রের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের নির্বাচন। আওয়ামী লীগের জুলুম অত্যাচারের বিরুদ্ধে জনগণকে রাজপথ দখলে রাখার আহবান জানিয়ে বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশ যাবে কোন পথে ফয়সালা হবে রাজপথে।