৭ নভেম্বরের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবেই : জাফরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৪০ পিএম, ৭ নভেম্বর,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:১৯ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে আজ সোমবার ১১টার সময় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, সাবেক মন্ত্রী আলহাজ্ব জাফরুল ইসলাম চৌধুরী ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে মিছিল সহকারে শহীদ জিয়ার স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক বিপ্লব বেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করা হয়। শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন পূর্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন-৭ নভেম্বর জাতীয় জীবনে একটি গভীর তাৎপর্য সম্পন্ন দিন। সময়ের প্রয়োজনে এই দিন দেশের আপামার জনসাধারণ ও সিপাহী এক হয়ে এ বিপ্লবের জন্ম দেন। দেশ প্রেমের অনুপ্রেরণায় ৭ নভেম্বরের এ বিপ্লব। সেনা অভ্যূত্থান পাল্টা অভ্যূত্থানে দেশ ও জাতি যখন চরম বিপদে সে পরিস্থিতি থেকে মুক্তি এনে দিয়েছিল এ বিপ্লব। ভূতপূর্ব সে বিপ্লবের মধ্যদিয়ে বন্দিদশা থেকে মুক্ত হন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান। জাতি আরেকবার ৭ নভেম্বরের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্রকে মুক্ত করবেই ইন্শাল্লাহ। সভাপতির বক্তব্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন-এ বিপ্লব জাতীয় জীবনে অভূতপূর্ব পরিবর্তন এনেছিল যা জাতিকে মুক্ত করেছিল। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতা যেভাবে বন্দি দশা থেকে শহীদ জিয়াকে মুক্ত করেছিলেন। ঠিক তেমনিভাবে আরেকটি বিপ্লবের মাধ্যমে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে। ৭৫’র ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতা ঐতিহাসিক বিপ্লবের তাৎপর্য বুঝতে হলে সামনে রাখতে হবে তখনকার সময়কার বাংলাদেশ। সে দিন দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধীর ভয়ানক ষড়যন্ত্র থেকে দেশকে রক্ষা করেছিল এ বিপ্লব।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য যথাক্রমে পটিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম, চন্দনাইশ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আনোয়ার চৌধুরী, আব্দুল গফ্ফার চৌধুরী, লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নাজমুল মুস্তফা আমিন, বাঁশখালী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ লোকমান, খোরশেদুল আলম, বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী মুহাম্মদ ইসহাক চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, নুরুল কবির, মঈনুল আলম ছোটন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোঃ শহীদুল আলম শহীদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ মহসিন, বিএনপি নেতা মোঃ আক্কাস খান, সোলতানুল আজিম চৌধুরী, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, আব্দুল মোতালেব, মোঃ কফিল উদ্দিন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান, যুগ্ম সম্পাদক সাইফুদ্দীন টিটু, মোঃ ছগির, হামিদুর রহমান পেয়ারু, সঞ্জয় চক্রবর্ত্তী মানিক, সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মহসিন,বোয়াখালী উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মহসিন খোকন, পৌরসভা যুবদলের সদস্য সচিব ইব্রাহিম চৌধুরী মানিক, রাসেল চৌধুরী, এড. আজিজুল হক, আনিসুর রহমান মিঠু, ছাত্রদল নেতা আব্দুস ছবুর, মোঃ নয়ন, মোঃ তৈয়ব, এনামুল হক সজিব, জুয়েল, অলিউল হোসেন রুবেল, ফরহাদ হোসেন আসিফ, মোঃ ফিরোজ, এনাম চৌধুরী সহ জেলা, উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
জাসাস চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা
বিপ্লব ও সংহতি দিবসে জাসাস চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আহবায়ক জসিম উদ্দিন চৌধুরী নেতৃত্বে বিপ্লব উদ্যানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদস্য সচিব নাসির উদ্দীন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আমানউল্লাহ চৌধুরী পাপলু, যুগ্ম আহবায়ক আলমগীর মাহাফুজ আশরাফ আলী, দিলশাদ হোসেন ইদ্রিচ মানিক সহ আন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
চট্টগ্রাম মহানগর জাসাস
চট্টগ্রাম মহানগর জাসাস নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা পেয়েছিল। আর তারই ধারাবাহিকতায় শহীদ জিয়া দেশে গণতন্ত্র পুনঃ প্রতিষ্ঠা করতে পেরে ছিলেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, সংবাদপত্রের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ, জাতিকে তলা বিহীন ঝুড়ির অপবাদ থেকে মুক্ত করে স্বনির্ভর দেশ ও মর্যাদা শীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। শেখ হাসিনা সরকার দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে ভারতীয়দের সকল খায়েশ পূরণে ব্যস্ত রয়েছেন। সরকার রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়ে বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও ডাক্তার জোবায়দা রহমান এর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজানো রায় ও গ্রেফতারি পরোয়ান দিচ্ছে কিন্তু কোনো ষড়যন্ত্রই জাতীয়তাবাদী শক্তিকে দমিয়ে রাখতে পারবেনা। বিপ্লবের চেতনায় উদ্ভাসিত হয়ে বিএনপি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করবেই।
আজ সোমবার ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে শহীদ জিয়াউর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত বিপ্লব উদ্যানে চট্টগ্রাম জাসাস মহানগর আয়োজিত আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত বক্তব্যে এ কথা বলেন। চট্টগ্রাম মহানগর জাসাস আহবায়ক এম এ মুছা বাবলুর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ শিপন এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা জাসাস আহবায়ক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সভাপতি কাজি সাইফুল ইসলাম টুটুল, দক্ষিণ জেলার জাসাসের সদস্য সচিব নাসির উদ্দীন। সভায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর জাসাস এর যুগ্ম আহবায়ক প্রকাশক শেখ জামিল হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক সংগীত পরিচালক সৈয়দ জিয়া উদ্দীন, যুগ্ম আহবায়ক মহিউদ্দিন মহিন, নগর জাসাস নেতা সংগঠক মঈন উদ্দিন জুয়েল, মঞ্চ অভিনেতা শরীফ মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, নগর নেতা জহির হোসেন, আকবর থানা জাসাসের সভাপতি আব্দুল হান্নান শিবলী, চকবাজার থানা জাসাসের সভাপতি চিত্রশিল্পী আব্দুল আউয়াল, হালিশহর থানা জাসাসের সভাপতি মোঃ আব্দুল মালেক, নগর জাসাস নেতা চলচ্চিত্র আভিনেতা রাজ সাগর, জাহিদুল ইসলাম সুমন, সদরঘাট থানা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন, নগর নেতা মোঃ আসাদুজ্জামান, চকবাজার থানা সাংগঠনিক সম্পাদক শাহারা খান, নগর জাসাস নেতা রেজাউল করিম আবু প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।
চট্টগ্রাম মহানগর যুবদল
চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি বলেছেন, বিপ্লব ও সংহতি দিবসে আজকের এ দিনে ক্যান্টনমেন্টের বন্দিদশা থেকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেন সিপাহী-জনতা। সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আধিপত্যবাদ, একনায়কতন্ত্র, একদলীয় শাসন, জনজীবনের বিশৃঙ্খলাসহ তখনকার বিরাজমান নৈরাজ্যের অবসান ঘটে। একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ থেকে দেশ একটি সুশৃঙ্খল পরিবেশে ফিরে আসে। ’৭৫-এর ৭ নভেম্বর সৈনিক-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবে আমাদের মাতৃভূমি প্রভাবমুক্ত হয়ে স্বাধীন অস্তিত্ব লাভ করে এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা নিশ্চিত হয়। আমাদের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ঐতিহাসিক বিপ্লব উদ্যানে উই রিভোল্ড বলে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, আমরা আজকের এইদিনে শপথ নিতে চাই, স্বৈরচারী সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত জাতীয়বাদী যুবদলের নেতাকর্মীরা আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাবে।
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমন বীর উত্তমের স্মৃতি বিজড়িত ষোলশহরস্থ বিপ্লব উদ্যানে তিনি আজ সোমবার সকাল ১১ টায় পুস্পস্তবক অর্পণপূর্বক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, চারিদিকে আজ অস্থিরতা বিরাজ করছে। আওয়ামী লীগ তথাকথিত শুধু উন্নয়নের গল্প শুনিয়েই দিন পার করছে। আওয়ামী লীগ নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নেই ব্যস্ত। দেশের মানুষ ভাল নেই। এদেশের লালসবুজ পতাকা আজ শকুনের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত। ৭ নভেম্বরের চেতনায় জাতীয়তাবাদী আদর্শের জিয়ার সৈনিকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামীতে আরো তীব্রতর আন্দোলন সংগ্রামের প্রস্তুতি নিতে হবে।
সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি নুর আহমদ গুড্ডু, ফজলুল হক সুমন, সাহাব উদ্দিন হাসান বাবু, হায়দার আলী চৌধুরী, নাসির উদ্দিন চৌধুরী নাছিম, যুগ্ম সম্পাদক এরশাদ হোসেন, তাজুল ইসলাম তাজু, আবদুল হামিদ পিন্টু, সেলিম উদ্দিন রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, সহ সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান টিপু,ওসমান গণি, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ সাগীর, সম্পাদক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, সহ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন মানিক, কামরুল ইসলাম, জিয়উল হক মিন্টু, মাহবুবুর রহমান, মো. সালাহ উদ্দিন, হাফেজ কামাল উদ্দিন, গুলজার হোসেন মিন্টু, আবদুল্লাহ আল মামুন জিতু, থানা যুবদলের আহবায়ক মো. কুতুব উদ্দিন, বজল আহমেদ, ইসমাইল হোসেন লেদু, নগর যুবদলের সদস্য লতিফুল বারী সুমন, মাহবুব খান জনি, সাব্বির ইসলাম ফরুক, থানা যুবদলের সদস্য সচিব মো. হাসান, শওকত খান রাজু, তাজ উদ্দিন তাজু, আবদুল জলিল, মোস্তাকিম মাহমুদ, সাইফুল ইসলামর রুবেল, ইউনুস মুন্না, মোরশেদ কামাল, সাহেদ হোসেন খান পারভেজ, দেলোয়ার হোসেন ফরহাদ, আনোয়ার হোসেন, মেজবাহ উদ্দিন উজ্জ্বল, ওয়ার্ড যুবদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, মো. ইউনুস, বাদশা আলমগীর, জহিরুল ইসলাম, ইমতিয়াজ নিশান, নেওয়াজ উদ্দিন, দেলোয়ার হোসেন, এস এম অভি প্রমূখ।