ঢাকার মহাসমাবেশে বাঁধা আসলে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে : আব্দুস সালাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৪৫ পিএম, ৬ নভেম্বর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০১:১৬ পিএম, ৯ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকার মহা-সমাবেশ সফল করতে বাঁধা আসলে তারজন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রত্তত থাকতে দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সালাম।
তিনি বলেন, আগামী ১০ ই ডিসেম্বরই যে, জনগনের দাবি আদায়ের আন্দোলন ফাইনাল হয়ে যাবে এমন কোন কথা না। এর আগেও হতে পারে। আবার এর পরেও হতে পারে। তবে ঢাকার এই ১০ ই ডিসেম্বরের সমাবেশের কথা শুনেই কিন্তু সরকারের পেট খারাপ হয়ে গেছে।
আজ ০৬ নভেম্বর (রবিবার ) দুপুরে শ্যামপুরস্হ ধোলাইপাড় বাসস্ট্যান্ডে আনম সাইফুল ইসলামের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির শ্যামপুর থানা বিএনপি ও অংগসংগঠন সমূহের যৌথ কর্মীসভায় সভাপতির বক্তব্যে আব্দুস সালাম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খরাপ। এই অবস্থায় আমরা চাই না আন্দোলন শুরু হলে অর্থনীতির অবস্থা আরও খারাপ হউক।
আব্দুস সালাম বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, আমরা কোন মারামারি চাই না, কাটাকাটি চাই না, হানাহানি চাই না, আমরা চাই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন। আমাদের দাবী নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন কিন্তু ওনারা ( আওয়ামী লীগ) যদি জোড় করে ওনাদের অধীনে নির্বাচন করতে চান। তাহলে ওনারা (আওয়ামী লীগ) কেয়ারটেকার সরকারের দাবীতে আন্দোলনের জন্য যা যা করছেন আমরা তা তা করবো। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামী মিলে বেগম খালেদা জিয়ার অধীনে নির্বাচন হবে না বলে কেয়ারটেকার সরকারের দাবীতে আন্দোলনের নামে যা যা করছেন, আমরা ও তাই করবো।
আব্দুস সালাম বলেন, বিএনপি দেশে কোন অশান্তি সৃষ্টি করতে চায় না। করতেছেও না। আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ দিচ্ছি আর আওয়ামী লীগ সমাবেশ বানচালের জন্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। পরিবহন ধর্মঘট করে হোন্ডা মিছিল করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করছে। তবে আমরা সবসময় দেশের জনগণের কথা মনে করে ছাড় দিয়ে আসছি। আমরা বিশৃঙ্খলা করছি না। তিনি বলেন, আমাদের উসকাইয়া দিলে আমরা কিন্তু ছাড়বো না। ঐ যে বলে, ধরি ধরি ধরি না, ধরলে কিন্তু ছাড়ি না।
আব্দুস সালাম বলেন, দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নেতাকর্মীদের সাথে সম্বন্বয় থাকতে হবে। নিজেদের মধ্যে কোন দ্বন্দ্ব থাকা যাবে না। আগামীতে আন্দোলন সংগ্রামে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এক ব্যানারের নীচে এসে আন্দোলন করতে।
কর্মী সভায় বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক আ.ন.ম.সাইফুল ইসলাম, মহানগর সদস্য ফরহাদ হোসেন, সাবেক কাউন্সিলর মোজাম্মেল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম সেন্টু, সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সদস্য সচিব নিয়াজ মাহমুদ নিলয়, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রাজু আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ নূরুল ইসলাম ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য, শ্যামপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম পলাশ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সিনিঃ যুগ্ম আহবায়ক মোঃ নাসির মোল্লা, ৫১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ টিপু, সদস্য সচিব মোঃ আলী মান্নান, ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শুভ সিকদার, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ নজরুল ইসলাম, ৪৭নং ওয়ার্ড বিএনপি'র সাবেক সদস্য সচিব এস. এম. মুরাদ (মামুন), ঢাকা মহানগর দক্ষিন ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি হানিফ, বর্তমান আহবায়ক সদস্য পারভেজ মোল্লা মার্সেল, শ্যামপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম রনি, কদমতলী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোঃ মতিউর রহমান পাটওয়ারী, সিনিঃ যুগ্ম আহবায়ক তোফায়েল হোসেন মহসিন, শ্যামপুর থানা ছাত্রদলের সিনিঃ যুগ্ম আহবায়ক ইখলাস মোল্লা, কদমতলী থানা ছাত্রদলের সিনিঃ যুগ্ম আহবায়ক রুবেল আহমেদ সহ বিএনপি ও অংগসংগঠনের নেতারা।
জাগপা নেতার বিএনপিতে যোগদান
জাগপার কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক সানাউল্লাহ সানু আজ অর্ধশতাধীক নেতাকর্মী নিয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সালাম ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আ ন ম সাইফুল ইসলামের হাতে ফুল দিয়ে বিএনপিতে যোগ দেন। এ সময় অসংখ্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।