সরকার বাধা দিয়ে বিএনপির আন্দোলনকে বিপ্লবে পরিণত করেছে : বিএনপি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৩ পিএম, ৫ নভেম্বর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০২:২৭ পিএম, ১২ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
সরকার গণসমাবেশে বাধা দিয়ে আমাদের আন্দোলনকে বিপ্লবে পরিণত করেছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। গণসমাবেশে বক্তারা সরকারের বিভিন্ন অপশাসন, দুর্নীতি, গুম খুন হত্যা মামলার সমালোচনা করে বলেন, দুর্নীতি ও লুটপাট করে সরকার দেশে দুর্ভিক্ষ ডেকে এনেছে। জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। সরকার পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। জনবিচ্ছিন্ন ভোটারবিহীন সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে বিদায় করবে।
আজ শনিবার (০৫ নভেম্বর) নগরীর বেলস পার্ক বরিশালে বিভাগীয় বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত গণসমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
অসহনীয় দ্রব্যমূল্য, লাগাতার লোডশেডিং, দুর্নীতি, দুঃশাসন, লুটপাট, হামলা-মামলা, গুম, হত্যা, জনগণের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১১টায় হাফেজ মওলানা আবু নাঈম কোরআন তেলওয়াতের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়। শেষ হয় বিকেল ৫টায়। ঘড়ির কাঁটা বেলা ১১টা। কানায় কানায় পূর্ণ বরিশাল মহানগরীর বেলস পার্ক। শুরু হয় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। তখনও বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রলার ভর্তি নেতাকর্মী নৌপথে বরিশালে পৌঁছায়।
সময় বাড়ার সাথে সাথে বরিশালে সূর্যের তাপও বাড়তে থাকে। এরমধ্যেও নানা রংয়ের ক্যাপ ও গেঞ্জি গায়ে নেতাকর্মীদের মিছিলের স্রোত কানায় কানায় পূর্ণ সমাবেশস্থলের দিকেই। এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু উদ্যান ছাড়িয়ে গণসমাবেশের আয়তন মহানগরীর কয়েক কিলোমিটারে গিয়ে ঠেকে। বিমান পথ ছাড়া ‘ধর্মঘটে’র কারণে গত শুক্রবার থেকে গতকাল শনিবার পর্যন্ত সড়ক ও নৌপথে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ ছিল।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভোট যখনই আসে, তখনই চুরি করে। আওয়ামী লীগের চরিত্রের মধ্যে দুটো জিনিস-চুরি আর সন্ত্রাস। পরিষ্কার বলতে চাই ১৪, ১৮ তে ভোট চুরি করেছে। এখন নতুন সব বুদ্ধি দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। ইভিএম, নতুন কমিশন। আমাদের কথা পরিষ্কার। হাসিনার অধীনে নির্বাচন হবে না। এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না। পদত্যাগ করে, সংসদ বিলুপ্ত করে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা ছাড়তে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সব আশা আকাক্সক্ষা চুরমার করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। সব ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশের সমস্ত অর্জন ধ্বংস করেছে। আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। ১৫ বছর ধরে তারা এখানে একদলীয় শাসন করতে চায়। খোলস, মোড়ক রাখতে চায় গণতন্ত্রের। হামলা আর মামলা এ দুটো তাদের বড় অস্ত্র। যাদের ওপর হামলা হলো, তাদের ওপরই মামলা করে। আব্দুর রহিম, নূরে আলম যারা মারা গেছেন। আজকে কেউ নিরাপদ নয়। দেশ থেকে টাকা পাচার হয়ে গেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সমস্ত টাকা পাচার করে বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে। বলে আমি কী করব। নানা সংকট, যুদ্ধ। তখন মনে ছিল না। যখন টাকা পাচার করছিলেন। বিদ্যুতে নাকি স্বয়ংসম্পূর্ণ, আতশবাজি করল। সেই বিদ্যুৎ এখন নাই। বিদ্যুতে হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি করেছে। কুইক রেন্টাল পাওয়ার দিয়ে চুরি করেছে। একটা জায়গা নাই, একটা ক্ষেত্র নাই চুরি করে নাই।
আওয়ামী লীগকে বর্গি আখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে বলেছিল, ঘরে ঘরে চাকরি দেবে বলেছিল। একটা ছেলেকেও দিয়েছে? আ.লীগের লোকজনকে দিয়েছে। ২০ লাখ টাকা করে নিয়েছে। আ.লীগ বর্গির মতো। আ.লীগ বর্গির রূপ নিয়েছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, এই সরকার কী দিয়েছে-দুর্ভিক্ষ! ঘোষণা দিয়ে হামলা, মামলা! খাদ্যে নাকি স্বয়ংসম্পূর্ণ? উন্নয়ন আর উন্নয়ন। ৪২ ভাগ সীমার নিচে ৩০ ভাগ খাদ্য সংকট। বাজারে যাওয়া যায় না। আমরা মুক্তি চাই। দেশের মানুষ কোনো কথা শুনতে চায় না। টেক ব্যাক বাংলাদেশ। ফয়সালা হবে রাজপথে। রাজপথে ফয়সালা করে বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনব। উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জাতির প্রয়োজনে ঐক্যবদ্ধ হই। আন্দোলন শুধু বিএনপির নয়, খালেদা-তারেকের জন্য নয়। সমস্ত জাতিকে রক্ষার, অধিকার ফিরে পাওয়ার, সন্তানকে ফিরে পাওয়ার আন্দোলন। নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় সরকার হবে।
পালাবো না, জেলে যাবো- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, স্বীকার তো করেছেন, ওনারা জেলে যাবেন। জেলে তো যাবেন, সেটা নিশ্চিত। আর আজকে আওয়ামী লীগের প্রধান বলেছেন, ২০২৩ সালে দুর্ভিক্ষ আসবে। গত চার বছরে ৩ লক্ষ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এদেশের সকল টাকা পাচার করে দিয়েছেন। তাই এই সরকারকে যদি ভোট ও ব্যালটের মাধ্যমে সরাতে না পারি তাহলে তারা কিছুই রাখবে না। এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয় এবং ইভিএমে কোনো নির্বাচন নয় বলেও সাফ জানিয়ে দেন মির্জা আব্বাস।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, সরকার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ মুখে যেটা বলে কাজে সেটা করে না। আর কাজ যেটা করে মুখে তা বলে না। ব্যাংকে টাকা নাই, এলসি খুলতে পারে না। বাংলাদেশ ব্যাংক বলে ডলার নাই। এই হল বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ব্ল্যাকমেইল করে কোনো লাভ হবে না। বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য তাঁর জীবন দিতেও প্রস্তুত রয়েছেন।
তিনি বলেন, গাড়ি লঞ্চ বন্ধ করে দেয়ার পরেও নেতাকর্মীরা যেভাবে বরিশাল সমাবেশে উপস্থিত হয়েছে এতে তারা বিপ্লব ঘটিয়েছে। সরকার সমাবেশে বাধা দিয়ে আমাদের আন্দোলনকে বিপ্লবে পরিণত করেছে। গাড়ি ও লঞ্চ ব্যতীত বরিশালের মানুষ যে সমাবেশ সফল করতে পারে এটা প্রমাণ করেছে।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আমাদের শত শত নেতাকর্মী জীবন দিয়েছে, আগামী দিনে আমরা শত শত জীবন দিতে প্রস্তুত রয়েছি। আগামী দিনে জীবন দিয়ে হলেও বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো, দেশকে মুক্ত করবো, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনবো। সরকারের উন্নয়নের সমালোচনা করে খসরু বলেন, মানুষ খেতে পারছে না, বিদ্যুতের অভাবে অন্ধকারে বাস করছে, গ্যাসের অভাবে রান্না করতে পারছে না, মানুষের ভোটাধিকার নেই, দেশে আইনের শাসন নেই, বাকস্বাধীনতা নেই, ভয় দেখিয়ে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা চলছে। এরকম একটি সংকটময় সময়ে যখন দেশ যাচ্ছে তখন আওয়ামী লীগ বলছে খেলা হবে। আওয়ামী লীগের কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, কার সাথে খেলবেন? আওয়ামী লীগ হচ্ছে থার্ড ডিভিশনের দল আর বিএনপি হচ্ছে ফার্স্ট ডিভিশনের দল। থার্ড ডিভিশন দলের সাথে কি কোনো খেলা হতে পারে? পদত্যাগ করে আসেন, তারপর খেলা হবে।
তিনি বলেন, সরকার জ্বালানি তেল কিনতে পারে না, জনগণকে গ্যাস-বিদ্যুৎ দিতে পারে না কিন্তু ভোট চুরির মেশিন ইভিএম কিনতে পারে।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, বরিশালের মানুষ সকল বাধা উপেক্ষা করে সমাবেশ সফল করেছেন। কেউ আর দুর্নীতিবাজ ভোটারবিহীন সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনগণ ফুঁসে উঠেছে। অবৈধ সরকারকে বিদায় নিতে হবে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বলেন, সরকার বাংলাদেশকে জেলখানায় পরিণত করেছে। বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কোন জেলখানায় নেবেন। পুরো দেশটাই তো জেলখানা। গুম খুন লুটপাট ধর্ষণ আওয়ামী লীগের শ্রেষ্ঠ গুণ। এসব থেকে মুক্তি পেতে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে তাড়াতে হবে। এর জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে হবে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেন, বরিশালের মানুষ প্রমাণ করেছে নিশি রাতের সরকারকে জনগণ আর দেখতে চায় না। ভোলায় একটি লঞ্চ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ভাঙচুর করে, সমাবেশের লোকজনের খাবার অর্থ লুটপাট করেছে। আওয়ামী লীগ দুর্নীতি অপশাসনের মাধ্যমে দেশকে বিষাক্ত করে ফেলেছে। কোনো সরকার শেষ সরকার নয়। এই সরকারও শেষ সরকার নয়। নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারকে দেশ থেকে বিতাড়িত করব।
বিএনপির আরেক ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব) আলতাব হোসেন চৌধুরী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। সরকার পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। নতুবা বিএনপি নির্বাচনের যাবে না এবং নির্বাচন হতেও দিবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমাদের পাঁচ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। এখন শেখ হাসিনার ভাটার সময়। ভাটার সময় জোয়ারের গান গাইলে মানুষ পাগল বলে। আপনার জেলে যাওয়ার সময় এসেছে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে রাজনৈতিক সংস্কৃতি ধ্বংস করে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে দেশের পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে থাকবে। দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী শক্তির সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে হাসিনা সরকারকে বিদায় করতে হবে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন বলেন, প্রতিটির সভা সমাবেশের পর সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। বরিশালে গণসমাবেশের পর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হলে তা বিনা খরচে ফয়সালা করা হবে। কোনো নেতাকর্মীর একটি পয়সাও লাগবে না।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আওয়ামী লীগ যদি রাজপথ দখল করে। আমরা ভোটের মাধ্যমে গণভবন ও বঙ্গভবন দখল করবো। তিনি বলেন, এই বরিশাল মুক্তিযোদ্ধাদের বরিশাল। এই মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ যারা বাঞ্চাল করতে চেয়েছে তারা রাজাকারে পরিণত হয়েছে। সরকার জঙ্গি নিয়ে নাটক তৈরি করে, যা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আর সবচেয়ে বড় জঙ্গি হচ্ছে বর্তমান সরকার। যারা জনগণের ভোট চুরি করে তাদের চেয়ে কি বড় জঙ্গি কেউ আছে?
হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বলেন, সরকার আমাদের সমাবেশের অনুমতি দিলেও উস্কানি দেয়। কিন্তু তাদের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বরিশালবাসী দেখিয়ে দিয়েছে লাখো মানুষের সমাবেশ।
বরিশাল মহানগর বিএনপির আহবায়ক মোঃ মনিরুজ্জামান ফারুকের সভাপতিত্বে এবং বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মীর জাহিদুল কবির জাহিদ ও বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আকতার হোসেন মেদুল, বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মুকুলের সঞ্চালনায় গণ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার, সংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, জহির উদ্দিন স্বপন, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, মাহবুবুল হক নান্নু, সহ-দফতর সম্পাদক মো. মনির হোসেন, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহিন, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল কবির লাবু, সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ্জামান, গণ ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাফিজ ইব্রাহিম, মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ, আবুল হোসেন খান, নুরুজ্জামান রুবেল, ওবায়দুল হক চান, ডা. শাহিন হাসান, নজরুল ইসলাম মোল্লা, হাসান মামুন, নুরুল ইসলাম নয়ন, হায়দার আলী লেলিন, শাহ মোহাম্মদ নেসারুল হক, ইঞ্জিনের আব্দুস সোবাহান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সজল, এলিজা জামান, দুলাল হোসেন, আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, জাতীয়তাবাদের যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান নান্টু, বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক দেওয়ান মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, ভোলা জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর, পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুটি, বরগুনা জেলা বিএনপির আহবায়ক মাহবুব আলম ফারুক মোল্লা, পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক আলমগীর হোসেন, ঝালকাঠি জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেন, জাসাসের সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন, মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম মাহাতাব, বরিশাল মহানগর যুবদলের সভাপতি আখতারুজ্জামান শামীম, বরিশাল দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম তসলিম উদ্দিন, বরিশাল উত্তর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সালাউদ্দিন পিপলু, বরিশাল মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মাহবুবুর রহমান পিন্টু, বরিশাল জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জনি, বরিশাল মহানগর জাসাসের আহবায়ক মীর আদনান তুহিন প্রমুখ।
এছাড়াও বিএনপির সমাবেশে বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরহাদ হোসেন আজাদ, আকরামুল হাসান মিন্টু, ইকবাল হোসেন শ্যামল, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান দুলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, সহ-সভাপতি আনু মোহাম্মদ শামীম, সহ-সাধারণ সম্পাদক সরদার নুরুজ্জামান, সৈয়দ শহিদুল ইসলাম, সহ-সংগঠনিক সম্পাদক মুজিবুর রহমান, বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদারসহ লক্ষ লক্ষ বিএনপির নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।