দেশের বারোটা বাজিয়ে প্রধানমন্ত্রী এখন জনগণকে মিতব্যয়ী হবার পরামর্শ দিচ্ছেন : প্রিন্স
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:১৯ পিএম, ৫ নভেম্বর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:২৯ পিএম, ১৪ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, দেশের বারোটা বাজিয়ে প্রধানমন্ত্রী এখন জনগণকে মিতব্যয়ী হবার পরামর্শ দিচ্ছেন। তীব্র অর্থনৈতিক সঙ্কটে বিশাল লটবহর নিয়ে অপ্রয়োজনীয় ভারত, আমেরিকা সফর, লবিষ্ট নিয়োগ, প্রশাসনের অনুগত কর্তাব্যক্তিদের উৎকোচ হিসেবে অর্ধশত কোটি টাকার বাড়ী দিয়ে জনগণকে নসিহত করা হচ্ছে। নিজেদের বেতন, ভাতা কমিয়ে, দুর্ণীতি, চুরি ও অনুৎপাদনশীল খাতে অপচয়,বন্ধ করে যদি নসিহত করা হতো, তবে জনগণ মেনে নিত। এসব নসিহত না করে ব্যর্থতা স্বীকার করে পদত্যাগ করতে হবে সরকারকে।
আজ শনিবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ঊপজেলা ও পৌর বিএনপির কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় প্রিন্স আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘন্টা বাজতে শুরু করেছে, গণঅভ্যূত্থানের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। সরকারের বাঁধা বিঘ্ন সন্ত্রাস, নৈরাজ উপেক্ষা করে এক একটি গণ সমাবেশ গণ সমুদ্রে পরিণত হচ্ছে। জনগণ রাজপথে নেমে আসছে। শুধু গণ সমাবেশ নয়, প্রতিটি কর্মসূচিতেই জনগণ সম্পৃক্ত হচ্ছে। কর্মী সভাও গণ সমাবেশে পরিণত হচ্ছে । যার মাধ্যমে গণ অভ্যূত্থানের প্রেক্ষাপট তৈরী হচ্ছে ।
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি না কি গণসমাবেশের নামে নাটক করছে। আন্দোলনকে নাটক বলছেন, এসব কথা বলে জনগণকে অপমানিত করছেন। যাত্রা পালার খল নায়কের মত কথা বলছে তারা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দুর্নীতি, লুটপাটে দেশের অর্থনীতি লণ্ডভণ্ড। দেশ ও দেশের মানুষ তীব্র অর্থনৈতিক সঙ্কটে নিপতিত। বিদ্যুত ও গ্যাসের অভাবে মিল কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ব্যাবসায়ীরা শত কোটি টাকার অর্ডার উৎপাদন মারাত্মক ভাবে হ্রাস পাচ্ছে। শ্রমিকরা বেকার হচ্ছে। মানুষ নিত্যদিন খাদ্যের সাথে কম্প্রমাইজ করছে।নিরব দুর্ভিক্ষ চলছে। সামনে আরও দুরবস্থা অপেক্ষা করছে। দেশ ও জনগণের এই দুঃসহ পরিস্থিতির জন্য আওয়ামী লীগ সরকার দায়ী।অথচ সরকার বিভিন্ন অজুহাত তুলে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে চায়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ওয়ারেস আলী মামুন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নচেৎ জনগণ তাদেরকে হঠাতে যা যা করা দরকার তা জনগণের পিঠ আজ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আন্দোলনের মাধ্যমেই জনগন গণতন্ত্রকে মুক্ত করবে।
শরীফুল আলম বলেন, বাধা, বিঘ্ন, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য সৃস্টি করে জনগণকে সরকার আন্দোলন থেকে নিবৃত্ত করতে পারছে না। এটা সরকারের নৈতিক পরাজয়। তিনি আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেও তাঁকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারে নাই।
হালুয়াঘাট পৌর শহরের পাগলপাড়া মেলার মাঠে অনুষ্ঠিত কর্মী সমাবেশ বিশাল গণসমাবেশে পরিণত উপজেলার ১২ টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ,সমর্থক রং বেরং এর টুপি পরে ,ব্যানার ,ফেস্টুন হাতে নিয়ে স্বতঃস্ফূর্ত মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন।
দলের সাংগঠনিক পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার শুরুর প্রাক্কালে ধারাবাহিক কর্মীসমাবেশের অংশ হিসেবে আয়োজিত কর্মী সমাবেশে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির অহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম সভাপতিত্ব করেন।
সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেস আলী মামুন ও শরীফুল আলম।
বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক ডা.মাহবুবুর রহমান লিটন, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য, শাহ নূরুল কবীর শাহীন,আবুল বাশার আকন্দ, ইয়াসির খান চৌধুরী ,আলহাজ্ব মফিজ উদ্দিন, হাফেজ আজিজুল হক, কামরুজ্জামান লিটন, হারুন অর রশিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আমজাদ আলী, আসলাম মিয়া বাবুল, হানিফ মোহাম্মদ শাকের উল্লাহ,আবু হাসনাত বদরুল কবির, আরফান আলী, আব্দুল হামিদ, আলী আশরাফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজিম উদ্দিন, আলমগীর আলম বিপ্লব, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হাই, বিএনপি নেতা কাজী ফরিদ আহমেদ পলাশ, মিজানুর রহমান মিজান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।