বরিশালে ইশরাকসহ বিএনপি নেতাদের গাড়িবহরে হামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০৫ পিএম, ৫ নভেম্বর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ১০:৪৩ পিএম, ১৪ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বরিশালে বিএনপির সমাবেশে যাওয়ার পথে দলটির নেতা ইশরাক হোসেনসহ কয়েকজন নেতার গাড়িবহরে হামলা হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন নেতা–কর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় বহরে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলেছে বিএনপি।
আজ শনিবার (০৫ নভেম্বর) ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে বরিশালের কাছে গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া বাজারে ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে।
বিএনপি বলেছে, ইশরাকের গাড়িবহরে ২৭টি গাড়ি ছিল। পেছনে থাকা পাঁচটি গাড়িতে হামলা হয়। প্রায় আধঘণ্টা ধরে চলা হামলায় ৮ থেকে ১০ জন আহত হয়েছেন।
একই জায়গায় সকাল আটটার দিকে হামলার শিকার হন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সহসম্পাদক আশরাফ উদ্দিন। তাঁদের গাড়িবহরেও হামলা হয়।
মাহিলাড়া বাজারের কাছের ওই জায়গায় ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা সেলিনা সুলতানাকে বহনকারী গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেত্রী রওনক জাহান, কোহিনুর ফারজানাকে বহনকারী গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
ইশরাক হোসেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দলীয় মেয়র প্রার্থী। তাঁর বাবা সাদেক হোসেন খোকা ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র ছিলেন।
বিএনপির নেতা–কর্মীরা বলছেন, ইশরাক হোসেন বরিশালে বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে আজ ভোরে ঢাকা থেকে গাড়িবহর নিয়ে রওনা দেন। গাড়িবহরটি বরিশালের কাছে গৌরনদীর মাহিলাড়া বাজারে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। এতে ইশরাক হোসেনের পেছনে থাকা বহরের বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
ইশরাক হোসেন বলেন, 'আমাদের সমাবেশগুলোতে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ সরকারকে ভীত করেছে। জোয়ার আটকাতে না পেরে সমাবেশস্থলে যাওয়ার পথে পথে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ বাধা দিয়েছে। কাপুরুষের মতো রাতের আঁধারে গাড়িবহরে চোরাগোপ্তা হামলা করছে।’
হামলায় আহত কয়েকজনের নাম জানিয়েছে বিএনপি। তাঁরা হলেন ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক সহিদুল হক; বিএনপি নেতা মামুন ভূঁইয়া; ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী মো. রাসেল, মো. বাবুল ও খোকন; ৪০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা ইমরান; ৪২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সদস্যসচিব মাসুদ রানা; সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদল নেতা রকি ও আল আমিন।
বিএনপির নেতা–কর্মীরা বলেছেন, হামলাকারীরা গালিগালাজ করে তাঁদের মারতে উদ্যত হন। একপর্যায়ে তাঁরা গাড়িবহর ঢাকার দিকে ঘুরিয়ে দেন।