শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশ আয়োজনে সকলের সহযোগিতা চাইলেন শামা ওবায়েদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:১৩ পিএম, ৪ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ১০:০১ এএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
ফরিদপুরে আগামী ১২ নভেম্বর বিএনপির গণসমাবেশে ফরিদপুর ছাড়াও আশেপাশের জেলা থেকে লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে। সকল প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে তারা এতে যোগ দিবেন। শান্তিপূর্ণভাবে এই গণসমাবেশ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রশাসন ও গণমাধ্যম সহ সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার (০৪ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিভাগীয় গণসমাবেশের সমন্বয় শামা ওবায়েদ ইসলাম।
তিনি এসময় খুলনা-চট্টগ্রাম সহ অন্যান্য বিভাগীয় গণসমাবেশের উদাহরণ টেনে বলেন, ফরিদপুর বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করতে বিএনপি সহ সকল সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সকল ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আমরা সচেষ্ট। এজন্য সাংবাদিক সহ সকল মহলের সহযোগিতা দরকার। এসময় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা এবং পরিবহন ধর্মঘটের পায়তারা চালানো হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। তবে কোন পরিস্থিতিতেই এই গণসমাবেশ বানচাল করতে পারবে না। সমাবেশমুখী জনস্রোত কেউ কোনভাবেই রুখতে পারবে না।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শামা ওবায়েদ জানান, ফরিদপুরের বিভাগীয় গণসমাবেশের জন্য সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের মাঠ সহ আরো কয়েকটি বিকল্প স্থান উল্লেখ করে প্রশাসনের নিকট এই সমাবেশ আয়োজনের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। এরমধ্যে রাজেন্দ্র কলেজের মাঠেই যাতে আমাদের অনুমতি দেয়া হয় সেজন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছি। তবে আজ শুক্রবার পর্যন্ত আমাদের অনুমতি দেয়া হয়নি।
ফরিদপুরের বিভাগীয় গণসমাবেশকে ঘিরে কিছু অনাকাঙ্খিত ঘটনার উল্লেখ করে তিনি বলেন, আলফাডাঙ্গায় গণসমাবেশ উপলক্ষে আয়োজিত সভা মঞ্চ ভেঙ্গে তছনছ করা হয়েছে। মুকুসুদপুরে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ গণসমাবেশের লিফলেট বিতরণ করতে গেলে সেখানকার ১৪ জন নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়। শহরের ঈশান গোপালপুরে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা লিফলেট বিতরণ করার সময় সেখানে হেলমেট বাহিনী মহড়া দিয়ে ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টা চালায়।
শামা ওবায়েদ বলেন, আমরা ২ মাস আগেই এই বিভাগীয় গণসমাবেশের তারিখ ঘোষণা করা হয়। অথচ ফরিদপুরের বিভাগীয় গণসমাবেশের আগের দিন ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের পাল্টা কর্মসূচি দেয়া হয়েছে। আর জনগণের দুর্ভোগের কথা বিবেচনায় না রেখে এই গণসমাবেশের দুইদিন আগে থেকেই পরিবহন ধর্মঘটের নামে পরিবহন চলাচল বন্ধ করার পায়তারা চালানো হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে সূচনা বক্তব্য দেন ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ঈসা। এসময় বিএনপির বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক, সেলিমুজ্জামান সেলিম, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, মহিলা দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ন সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি মাহবুবুল হাসান ভুঁইয়া পিংকু, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এএফএম কাইয়ুম জঙ্গি, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব একেএম কিবরিয়া স্বপন, যুগ্ন আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম টুলু, এবি সিদ্দিকী মিতুল, মহানগর বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক এমটি আক্তার টুটুল, সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ, সদস্য তানভীর চৌধুরী রুবেল, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আফজাল হোসেন খান পলাশ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জুলফিকার হোসেন জুয়েল, বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনান, জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন সহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন সহ বিভিন্ন দাবিতে ১২ নভেম্বর ফরিদপুরে বিভাগীয় গণসমাবেশের ডাক দেয়া হয়েছে।##