চাঁদপুর মতলব উত্তরে বিএনপি নেতা লাভলু খুন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১২ পিএম, ২ নভেম্বর,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৩৫ এএম, ১১ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় সলিমউল্লাহ লাভলু (৫৫) নামের এক বিএনপি নেতা খুন হয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে কে বা কারা তাকে হত্যা করে বাড়ির কাছে ফেলে রেখে যায়।
আজ বুধবার (২ নভেম্বর) ভোরে বাড়ির নিকটস্থ রাস্তার পাশে লোকজন তার লাশ দেখে ডাক-চিৎকার দেয়। পরে মুহূর্তেই শত শত লোক ছুটে আসে।
সলিমউল্লাহ লাভলু উপজেলার ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়নের মান্দারতলী গ্রামের মরহুম আমির আলী মাস্টারের ছোট ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।
স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) দুপরে সলিমউল্লাহ লাভলুর একমাত্র ছেলে ৯ম শ্রেণি পড়ুয়া লাবিব আরেফীন প্রধানের সাথে স্থানীয় শিপনের মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডা হয়। এ নিয়ে গতকালই মোটরসাইকেল চালক শিপন, শানু বেপারীর ছেলে রাকিব (২২), নিজাম উদ্দিন ছৈয়ালের ছেলে তুহিনসহ (২০) কয়েকজন এসে সলিমউল্লাহ লাভলুকে শাসিয়ে যায়। ওইদিন গভীর রাতেই সলিমউল্লাহ লাভলু খুন হন।
স্থানীয় লোকজনের ধারণা, মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডার ঘটনার জেরেই হয়তো সলিমউল্লাহ লাভলু খুন হয়েছেন।
ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গোলাম হোসেন জানান, ১৯৯৫ সালে স্থানীয় ইউপি নির্বাচনে বিপুল ভোটে মেম্বার হিসাবে নির্বাচিত হন সলিমউল্লাহ লাভলু। পরবর্তীতে ২০১১ সালে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ইউপি নির্বাচনে অংশ নেন।
স্থানীয় মুজাদ্দেদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাকিম বলেন, নিহত লাভলু আমাদের স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য হওয়ায় আমরা এই শোকে স্কুল বন্ধ রেখেছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আলীরাজা বেপারী বলেন, সলিমউল্লাহ লাভলু ভাই খুবই ভলো মানুষ এবং জনপ্রিয় মানুষ ছিলেন। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
লাভলুর ভাই আহসান হাবীব প্রধান বলেন, আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহিউদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। লাশের ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।