আমতলীতে আ'লীগের সম্মেলনে ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত- ৬০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:২২ পিএম, ৩০ অক্টোবর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ১০:০০ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বরগুনার আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে দুই গ্রুপের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীসহ অন্তঃত ৬০ জন আহত হয়েছেন।
আজ রোববার ( ৩০ অক্টোবর ) দুপুরে আমতলী পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেনের উপস্থিতিতে এ সংঘর্ষ ঘটে।
এ সময় ৮ সাংবাদিক ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি এম মুসা, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জি এম হাসানসহ দুই পক্ষের অন্তঃত ৬০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতরা আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি এম মুসা জানান, আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান ও আখতারুজ্জামান খান বাদল এর নির্দেশে তার ক্যাডার বাহিনী তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। মতিউর রহমান তার আধিপত্য দেখাতে গিয়ে মতিয়ার রহমান ও আখতারুজ্জামান খান বাদলের ক্যাডারের মাধ্যমে তাদের ওপরে অতর্কিত হামলা চালান। এতে তার ৪০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একজন সিনিয়র সাংবাদিক বলেন, আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মারামারির ভিডিও ও স্থিরচিত্র ধারণ করতে গেলে সাংবাদিকদের ওপরে ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা চালায় বাদল খানের লোকজন। এ সময় মঞ্চে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা এবং বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর কবিরসহ জেলার বেশিরভাগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তাদের সামনেই সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়েছে। সবাই চুপ ছিলেন। শেষে পুলিশ এসে সাংবাদিকদের রক্ষা করে। তবে তার মধ্যেই জেলার আটজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাংবাদিক ইমরান হোসেন টিটু বলেন, আহত সাংবাদিকরা লজ্জায় তাদের নাম প্রকাশ করতে চাচ্ছেন না। তবে আজ রাতেই আহত সাংবাদিকদের সাথে মিটিং করবে বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়ন। সেখানে হামলাকারীদের নামে মামলা করার সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত বাদল খান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমানকে পাওয়া যায়নি।
তবে হামলা শেষে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু সাংবাদিকদের শান্ত হতে বলেন। তিনি এ বিষয়টি সমাধান করবেন বলে আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ.কে.এম মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পুলিশ গিয়ে সংঘর্ষের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছে। বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।