সরকার দেশের অর্থনীতিকে ঝাঝরা করে দিয়েছে : মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৫ পিএম, ২৮ অক্টোবর,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৪১ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
সরকার দেশের অর্থনীতিকে ‘ঝাঝরা’ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শুক্রবার বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘‘আজকে ওরা খুব কঠিন অবস্থায় পড়েছে। ওই যে বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ, তখন বড় বড় কথা বলতো-আমাদের সরকারের আমলে রিজার্ভ ৪২ বিলিয়ন ডলার আছে। তো সেই রিজার্ভটা এখন গেলো কোথায়? আমি যখন একথা বলেছি তখন অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত রাগান্বিত হয়েছেন, রাগান্বিত হয়েছে বলেছেন, আমরা কি ওটা চিবিয়ে চিবিয়ে খেয়েছি।”
‘‘আমি উত্তরে বলেছি চিবিয়ে তো খান নাই, গিলে খেয়েছেন। গোটা বাংলাদেশের সমস্ত অর্থনীতিটা আপনারা গিলে খেয়ে ফেলেছেন। সর্বভুখ এরা(সরকার)। আজকে বাংলাদেশকে তারা(সরকার) এখন ঝাঝরা করে দিয়েছে। আওয়ামী লীগের হাত থেকে যদি বাংলাদেশকে সরানো না যায় তাহলে বাংলাদেশের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না।”
পায়রায় গভীর সমুদ্র নির্মানের বৈদেশিক মুদ্রা তহবিল থেকে অর্থ যোগানের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘আমরা তো জানি, যেসমস্ত পণ্য আমদানি করা হয় তার পেমেন্ট করা হয় এই রিজার্ভের তহবিল থেকে, আমরা যে ঋণ নেই সেই ঋণ গুলোর পরিশোধ রিজার্ভের টাকা থেকে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী গতকাল বললেন যে, পায়রা বন্দরে খরচ হয়েছে।”
‘‘আমরা জানতে চাই, কিভাবে রিজার্ভ থেকে এই টাকা খরচ হলো, কারা করলো, কাদেরকে দিয়ে করালেন, রিজার্ভের টাকার কিভাবে গেলো।”
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে ‘সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি’তে এই আলোচনা সভা হয়।
‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘আমাদের আন্দোলনের কোনো বিকল্প নাই। জাতীয় নির্বাচন তো পরে। আগে একে (সরকার) বিদায় করতে চাই। এই সরকারের অধিনে কোনো নির্বাচন নয়। আমাদের পরিস্কার কথা এই সরকারকে চলে যেতে হবে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে, সংসদটাকে বিলুপ্ত করতে হবে এবং নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।”
‘‘যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা(আওয়ামী লীগ সরকার) পদত্যাগ করছে, যতক্ষণ পর্যন্ত না সংসদ বিলুপ্ত হচ্ছে, যতক্ষণ পর্যন্ত না তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত এদেশের মানুষ বসে থাকবে না। তারা লড়াই করবে, সংগ্রাম করবে, আন্দোলন করবে। শান্তিপূর্ণ উপায়ে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে জনগণ এদেরকে পরাজিত করবে।”
তরুন-যুবক সমাজকে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারের পতন ঘটাতে সকলকে ‘গণআন্দোলনে’ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবানও জানান বিএনপি মহাসচিব।
সংগঠনের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, জ্যেষ্ঠ সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম মিলনের যৌথ সঞ্চালনায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, ফজলুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, মহানগর বিএনপির ইশরাক হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব নঈম জাহাঙ্গীর, কেন্দ্রীয় নেতা মুরাদ হোসেন, মোকসেদ আলী মঙ্গলীয়া, আবদুল হালিম, শরীফ হোসেন,খালেদা আখতার, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের রায়হান আল মাহমুদ, ইব্রাহিম হোসেন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।