বিএনপি লাশের রাজনীতি করে না : নজরুল ইসলাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৪৪ পিএম, ২৩ অক্টোবর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:৫৯ এএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
বিএনপি লাশের রাজনীতি করে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
আজ রবিবার (২৩ অক্টোবর) বিকালে ২০ দলীয় জোটের শরিক দুই দলের সাথে সংলাপ শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, লাশ যদি আন্দোলনের হাতিয়ার হয় তাহলে বিএনপির প্রায় হাজার খানেক মানুষকে খুন করা হয়েছে, গুম করা হয়েছে। হাজার মানুষকে গুম করা হয়েছে। সাম্প্রতিক এই আন্দোলনে গত কয়েক মাসে আমাদের ৫ জন সহকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। লাশের কি অভাব আছে? কিন্তু আমরা লাশ নিয়ে রাজনীতি করি না। বরঞ্চ জনগণের দাবি আদায়ের জন্য লাশ হওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে আমরা আন্দোলন করি। তারা যেসব কথা বলে এসব কথা ছাড়া তাদের আর সঠিক বা ভালো কথা বলার মুখও নাই, তাদের সামর্থ্যও নাই।
খুলনার সমাবেশের দিন শনিবার সকালে এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা তাদের যত সন্ত্রাসী, বিভিন্ন মামলার আসামি, খুনের মাদকের সন্ত্রাসের, তাদেরকে জনসভা উপলক্ষে জড়ো করছে। এখন তাদের উদ্দেশ্য হলো একটা ঘটনা ঘটানো, তাদের উদ্দেশ্যে হল তারা লাশ ফেলতে চায়। লাশ ফেলে আন্দোলন জমাতে চায়।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চিন্তা বিএনপিকে ভুলে যেতে হবে-ওবায়দুল কাদেরের এমন প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা ভুলে গেলে ওনাদের সুবিধা হয়। কিন্তু তাদের মনে রাখা উচিত যে, তাদের সুবিধার জন্য আমরা রাজনীতি করি না। আমরা বাংলাদেশের জনগণের সুবিধার জন্য রাজনীতি করি। আর বাংলাদেশের মানুষের সুবিধা হবে দেশে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে।
গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিকাল ৪টায় ন্যাপ ভাসানী এবং বিকাল ৫টায় পিপলস লীগের চেয়ারম্যান গরীবে নেওয়াজের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা সংলাপে বসেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠকে নজরুল ইসলাম খানও ছিলেন। এই সংলাপে আজহারুল ইসলাম ন্যাপ-ভাসানী ও গরীবে নেওয়াজ পিপলস লীগ নিজ নিজ দলের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। ন্যাপ ভাসানীর অন্যরা হলেন, আকমল হোসেন, নুরুল আমিন, মহসিন তফাদার, আজিজুল হক, ছাইফুল ইসলাম, লুতফর রহমান, শাহীন আলম, মো. সাকীব ওমো. আল আমীন, পিপলস লীগের সদস্যরা হলেন, সৈয়দ মাহবুব হোসেন, দুলাল হোসেন, রফিকুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, শাহিন হোসেন, খন্দকার সুমন ও তামিম হোসেন।