ঈশ্বরগঞ্জে বিএনপির কর্মী সম্মেলন, বাধা উপেক্ষা করে স্মরণকালের সর্বাধিক জনসমাগম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০১ পিএম, ২৩ অক্টোবর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ১০:৩৫ পিএম, ১৪ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বিএনপির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রোববার (২৩ অক্টোবর) ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের পাশে সদর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন মাঠে ওই কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি ইউনিয়ন এবং রাস্তার মোড়ে মোড়ে সরকার দলীয়দের শত বাধা উপেক্ষা করেও বিএনপির সম্মেলনে স্মরণকালের সর্বাধিক জনসমাগম হয়েছে।
সকাল ১০টা থেকে ধানের শীষ, জাতীয় পতাকা, দলীয় পতাকা ও ব্যানার ফেষ্টুন হাতে নিয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে কর্মী সম্মেলন মাঠে আসতে শুরু করে। একপর্যায়ে কর্মী সম্মেলনের মাঠ কানায় কানায় ভরে যায়। প্রতিটি ইউনিয়নে আ'লীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ভাবে সম্মেলনে যোগ না দিতে সাধারণ জনগণ সহ বিএনপির নেতাকর্মীদের হুমকী দেয়। কিন্তু এসব হুমকী তোয়াক্কা না করে প্রায় অর্ধ লক্ষ লোক কর্মী সম্মেলনে যোগ দেয়।
বেলা ৩টায় জাতীয় ও দলীয় পপতাকা উত্তোলন পরবর্তী পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে কর্মী সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। উপজেলা বিএনপির কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কামালের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন তালুকদারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এড. শাহ্ ওয়ারেস আলী মামুন, শরীফুৃল আলম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, এই সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচন সুষ্ট হতে পারে না। তাই অবিলম্বে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনকালীন সময়ে নতুন কমিশন গঠন করে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। সেই নির্বাচনে একটি স্বচ্ছ পার্লামেন্টে মাধ্যমে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে। জনগণ এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায়না। মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। আমাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবের সমস্ত মামলা প্রত্যাহার করে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। তিনি আরও বলেন, ছাত্রদলের নূরে আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের আব্দুর রহিম, নারায়ণগঞ্জ যুবদলের শাওন ও মুন্সিগঞ্জের শাওন, যশোরের আব্দুল আলিমকে প্রকাশ্যে হত্যা করেছে এই সরকারের পেটুয়া বাহীনি। এই সরকার নিরীহ মানুষ এবং বিএনপির অনেক নেতা কর্মীদের গুম, খুনে ব্যস্ত হয়ে পরেছে। কাজেই আর ঘরে বসে থাকার সময় নাই। এবার সময় হয়েছে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসী বিরুদ্ধে ঝাপিয়ে পরার। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি তাহলে জনগণকে নিয়ে এই সরকার পতন মাত্র সময়ের ব্যাপার।
কর্মী সম্মেলনে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি শাহ নূরুল কবীর শাহীন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য প্রকৌশলী লুৎফুল্লাহেল মাজেদ বাবু, সাধারণ সম্পাদক ও উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য একেএম হারুন অর রশীদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম ভূঁইয়া মনি, উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য জুলফিকার আলী টিপু, কামরুজ্জামান লিটন, শফিকুল ইসলাম শফি, এড. শাহজাহান সাজু, রুহুল আমীন খান,ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি শামছুল হক শামছু, উত্তর জেলা স্বেচ্চাসেবক দলের সভাপতি সাবেক ভিপি ফরিদ উদ্দিন ফরিদ।
আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি হোসেন মোহাম্মদ মন্ডল, এড. কাজী শাহজাহান, শাহজাহান জয়পুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান পারভেজ, পৌর বিএনপির সভাপতি ফিরোজ আহাম্মদ ভুলু, সহ সভাপতি সালাউদ্দিন খুররম, যুগ্ম সম্পাদক নূরুন্নবী, সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম জিকু, উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আতিকুর রাজ্জাক ভূঁইয়া হীরা সহ ময়মনসিংহ উত্তর জেলা এবং ঈশ্বরগঞ্জ, গৌরীপুর, নান্দাইল উপজেলা বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।