শেখ হাসিনার সরকারকে নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে : ডা. শাহাদাত হোসেন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৪২ পিএম, ২০ অক্টোবর,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:০৮ এএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বর্তমান সরকার পুলিশ, র্যাব, প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছে। বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেছে। দেশে আজ কারও নিরাপত্তা নেই। দিনে দুপুরে মা বোনদের সম্ভ্রমহানি হচ্ছে। গুম, খুন, বিনা বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। জাতিসংঘ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পরিস্কার করে বলেছে, এদেশে কোনো মানবাধিকার নেই। র্যাবকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। যেহেতু র্যাব পুলিশকে সরকার নিয়ন্ত্রণ করে তাই শুধু র্যাবকে নয়, শেখ হাসিনার সরকারকে নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে। এই সরকার অনির্বাচিত সরকার। এই সরকারের কোনো ম্যান্ডেট নেই। আগের রাতে ভোট নিয়ে ফলাফল ঘোষণা করেছে। এই সরকার বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে সারাদেশে ধরপাকড়, মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার, পুলিশি হামলা ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নির্যাতনের প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
ডা. শাহাদাত বলেন, সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ গণবিরোধী আওয়ামী সরকার সব মহল থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে এখন উদভ্রান্তের মতো আচরণ শুরু করেছে। পতনোন্মুখ এই সরকার নিজেকে রক্ষার জন্য সারাদেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। তারা সারাদেশে বিরোধী মতের রাজনৈতিক কর্মীদের ওপর হামলা মামলার পুরনো অস্ত্র ব্যবহারের পাশাপাশি নতুন করে নির্যাতন শুরু করেছে। চলমান আন্দোলন কর্মসূচিগুলোতে জনতার বাঁধভাঙা জোয়ার ঠেকাতে সরকার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। তারা কর্মসূচিতে আগত নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে এ পর্যন্ত ৫ জনকে হত্যা এবং শত শত নেতাকর্মীকে আহত করেছে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, সারাদেশে বিএনপির সমাবেশে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হচ্ছেন। এটি দেখে সরকার এখন বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ প্রতিহত করতে মরিয়া ওঠেছে। চট্টগ্রামের বিভাগীয় সমাবেশ ঠেকাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে, কিন্তু পারে নাই। এখন খুলনার সমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতে গাড়ি বন্ধ করে দিয়েছে। বিএনপির পক্ষে গণজোয়ার দেখে আওয়ামী লীগ ভয় পেয়েছে। পুরোপুরিভাবে উসকানি দিয়ে সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। আওয়ামী লীগ একটি কর্তৃত্ববাদী শক্তি। তারা অতীতেও একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। এখনো তারা একই উদ্দেশ্যে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তাই সারাদেশে একই কায়দায় বিএনপির সমাবেশে বাধা দিচ্ছে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, অ্যাড. আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, মাহবুব আলম, নিয়াজ মো. খান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, নাজিম উদ্দীন আহমেদ, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আনোয়ার হোসেন লিপু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, মহিলাদলের জেলী চৌধুরী, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মো. আজম, হাজী মো. সালাউদ্দীন, মো. সেকান্দর, আবদুল্লাহ আল হারুন, ডা. নুরুল আবছার, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, মো. শাহাবুদ্দীন, জসিম উদ্দিন জিয়া, মাঈনুউদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, আবদুল কাদের জসিম, কৃষকদলের আহবায়ক মো. আলমগীর প্রমূখ।