পথে পথে বাঁধা, নৌপথে কয়েক হাজার নেতাকর্মী সমাবেশে যোগদান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০২ পিএম, ১৫ অক্টোবর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ১১:১১ এএম, ৪ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
ময়মনসিংহ বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ঠেকাতে আগের দিন শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) থেকেই সড়ক পথে সব ধরনের যানবাহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পথে পথে ঘটেছে হামলা ও মারপিটের ঘটনাও। কিন্তু কোন বাধাঁ আটকে রাখতে পারেনি বিএনপির নেতাকর্মীদের। নানা বিড়ম্ভবনা ও নির্যাতনের শিকার হয়েও কয়েক হাজার নেতাকর্মী ব্রহ্মপুত্র নদের নৌপথে এসে সমাবেশে যোগদান করেছে।
আজ শনিবার (১৫ অক্টোবর) সকাল থেকে বিকেল পযর্ন্ত ময়মনসিংহ নগরীর কাচারীঘাট ও কেওয়াটখালী সংলগ্ন এলাকা দিয়ে এভাবেই নেতাকর্মীদের আসতে দেখা গেছে।
এর মধ্যে নান্দাইল উপজেলা থেকে বিএনপির বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির সদস্য ও উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য বিবিসি'র তথ্য ও প্রযুক্তি বিজ্ঞানী ইয়াসের খান চৌধুরীর নেতৃত্বে অর্ধ ডজনের অধিক বড় বড় যন্ত্র চালিত নৌকায় প্রায় এক হাজার নেতাকর্মী নগরীর কেওয়াটখালী এলাকার নদের ঘাট থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসে।
এছাড়াও গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়ন ও ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা থেকে কয়েক শত নেতাকর্মী নৌপথে এসে সমাবেশে অংশ নেয়।
একই পন্থায় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেস আলী মামুনের নেতৃত্বে কয়েক শত নেতাকর্মী জামালপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে নৌকা ভাড়া করে নৌপথে সমাবেশে অংশ নেয় বলে জানা গেছে।
নেতাকর্মীদের দাবি, এসব কারণেই শনিবার দুপুর গড়ানোর আগেই পথে পথে বাঁধা প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে সমাবেশমুখী নেতাকর্মীদের পদভারে জনতার স্রোত নামে সমাবেশস্থল'সহ আশপাশের সব কয়টি এলাকাজুড়ে।
এবিষয়ে বিএনপি নেতা ইয়াসের খান চৌধুরী বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই সমাবেশের লোক ঠেকাতে ভয় আতঙ্ক ও বাঁধা সৃষ্টি করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। কিন্তু তাদের কোন বাধাঁই জনস্রোত রুখতে পারেনি। এতে প্রমাণ হয় দেশের মানুষ আর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
প্রসঙ্গত, বিএনপির এই বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ সময় ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশ সঞ্চালনা করেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ, অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন বাবলু, আলমগীর মামুদ আলম ও উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার।