দেশ এবং জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আলেম সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : জাফরুল ইসলাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৫ পিএম, ১ অক্টোবর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:৫৯ এএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
ওলামা দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, দেশ এবং জাতীর বৃহত্তর স্বার্থে ওলামায়ে কেরামগণের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশ এবং জাতির কল্যাণে ‘ওলাম দল’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আলেমরা সত্য এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠার পক্ষে কাজ করে চলেছে। কিন্তু আলেম বিদ্ধেষী সরকার সবসময় আলেম ওলামার বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করছে। বর্তমানে অনেক হক্বানী আলেম সরকারের জুলুম নির্যাতের শিকারে রয়েছে। অনেক আলেমকে বিনাদোষে কারাগারে বন্ধী করে রেখেছে। জুলুম নির্যাতন হতে মুক্তি পেতে ঐক্যের বিকল্প নেই।
গতকাল শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বিকাল ৫টায় ওলামা দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ওলামা দলের উদ্যোগে আয়োজিত শহীদ জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক দর্শন, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও বর্তমান প্রেক্ষাপট শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত বক্তব্য রাখছিলেন।
এসময় তিনি সরকারের জুলুম নির্যাতন হতে রেহায় পেতে ওলামায়ে কেরামদের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বানও জানান।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, দেশ এবং জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আলেম ওলামাকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশে কোরআন-সুন্নাহ তথা ইসলামী শরীয়াহকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দল নামক সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ধর্মনিরপেক্ষতার নামে আওয়ামীলীগের প্রত্যেক কর্মকান্ডে ইসলামের বিরোধীতা থাকার কারণে ঐতিহাসিক প্রয়োজনে আমাদের নেতা শহিদ জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে ধর্ম নিরপেক্ষতা বাদ দিয়ে সংবিধানে মহান আল্লাহর উপর আস্তা এবং অবিচল বিশ্বাস রেখে সংবিধানে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম সংযোজন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রামে রাব্বী জ্বিদনী ইলমা ছিলো আওয়ামীলীগ তা বাদ দিয়েছে। আওয়ামীলীগের সাথে ইসলামের একটি বৈপীরত্ব অবস্থান রয়েছে। ইসলাম ধর্মকে পাশ কাটিয়ে তারা অপসংস্কৃতি এবং নগ্নতাকে প্রধান্য দেয়। এসব অপসংস্কৃতিকে রুখতে গিয়ে আলেম সমাজের উপর ক্ষমতাসীন দল কর্তৃক জুলুম নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। হক্বের পক্ষে কথা বললে বাঁধা আসবে সেটা খুবই সাভাবিক। কিন্তু তা উপেক্ষা করে হক্বে পক্ষে দৃঢ় থাকাটাই হচ্ছে ওলামা দলের প্রধান কাজ। জুলুম নির্যাতন হতে রেহায় পেতে ওলামায়ে কেরামের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলারও আহ্বান জানানো হয়।
জেলা ওলামা দলের আহ্বায়ক জনাব মাও. হাফেজ ফোরকানের সভাপতিত্বে গতকাল শুক্রবার বিকাল ৫টায় নগরীর নিউমার্কেটস্থ দোস্ত বিল্ডিং দলীয় কার্যালয়ে ওলামা দলের ৪৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা ওলামা দলের সদস্য সচিব মাও. হাফেজ জাবের হোসাইন চৌধুরীর পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী আলহাজ্ব জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্মসম্পাদক ও নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন লিপু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্মসম্পাদক এডভোকেট কাজি মুফিজুর রহমান, জেলা ওলামা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাও. তৌহিদুল ইসলাম, মাও. ইলিয়াছ, মাও. আবদুল করিম, জেলা ওলামা দলের সদস্য মাও. জয়নাল আবেদীন, মাও. মাহমদুল হক, মাও. একরাম, মাও. জমির উদ্দিন, মাও. আবদুন নুর ইকরামাহ, মাও. গিয়াস উদ্দিন, মাও. বোরহান, হাফেজ মিনহাজ, বাঁশখালী পৌরসভা ওলামা দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাও. জয়নাল আবেদীন, সদস্য সচিব তৌহিদুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদল নেতা আবদুস সবুর, এস. এম তৈয়ব, মঈন উদ্দিন প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন জেলা ওলামা দলের সদস্য মাওলানা জয়নাল আবেদীন।