শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে দলীয় কার্যালয়ে বস্ত্র বিতরনকালে ডঃ শাহাদাত হোসেন
আওয়ামী লীগের আমলেই সবচেয়ে বেশি হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ নির্যাতিত হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৪৭ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ১১:৩৩ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিএনপির সব সময় সম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন রোজা ও পূজা একসাথে হয়েছিল। সম্প্রীতির বন্ধনে অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ ছিল। কিন্তু এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সনাতনী মা বোনেরা বেশি নির্যাতিত হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসির নগরে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ছিল, যশোরের অভয়নগর ২০১৮ সালে আমরা দেখেছি আওয়ামী লীগের অপর প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার কারণে হিন্দুদের বাড়ি -ঘরে হামলা চালিয়ে তাদেরকে বাড়ি থেকে তাড়িয়েছে আওয়ামী লীগের নেতারা। এই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে হিন্দু সম্প্রদায় সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। এছাড়াও ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে চলে গিয়েছিল আনেক হিন্দু পরিবারেরর লোকজন পরবর্তীতে তাদের জায়গা জমি দখল করেছে আওয়ামী লীগের নেতারা।
আজ শুক্রবার বিকেলে নগরীর কাজীর দেউড়ি নাসিমন ভবনস্থ ধলীয় কার্যালয় মাঠে জাতীয়বাদী হিন্দু ছাত্র ফোরামের উদ্যোগে শারদীয় দূর্গা্ পূজা উপলক্ষে সনাতনী ভাই -বোনদের মাঝে বস্ত্র বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সনাতনী ভাইবোনদের শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বলে বেড়ায় তারা অসাম্প্রদায়িক চেতনার দল, কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর পরই সবচেয়ে হুমকির মুখে পড়েছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। আওয়ামী লীগ হিন্দুদের ভোটের সময় ব্যবহার করে আর ভোটের পরে ছুড়ে ফেলে। কিন্তু এখন তো আর ভোট লাগছে না ক্ষমতার জন্য, ভোট ডাকাতি করে এখন ক্ষমতায় এসেছে। যার কারণে আওয়ামী লীগ সরকার হিন্দু সম্প্রদায়সহ অনান্য সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন নিপীড়ন চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগ নেতারাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করছে। তাই আসুন সকলে মিলে দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য, সকল ধর্মের মানুষের জন্য বাসযোগ্য দেশ গড়ে তুলতে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকারের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের মাধ্যমে অবৈধ এই সরকারের পতন ত্বরান্বিত করি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসান বকর বলেন, বিগত ১৮ সালের নির্বাচনে চট্টগ্রাম ৯ সংসদীয় আসনে ডা. শাহাদাত হোসেন ভাইয়ের নির্বাচনী ভোট সেন্টার পরিদর্শন করতে গিয়ে দেখেছি আপনারা কেউ ভোট দিতে পারেন নাই, ভোট সেন্টারে যেতে পারেন নাই। এই সরকার ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় এসেছে। আপনাদেরকে তারা ভোটের রাজনীতিতে ব্যবহার করতে চায় কিন্তু ভোট শেষে আপনাদের খোঁজখবর রাখে না। তাই আপনাদের সচেতন হতে হবে। আপনাদের পাশে বিএনপি সব সময় আছে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র নির্বাসিত। শুধু হিন্দু সম্প্রদায় নিরাপদ নয়, অন্যান্য ধর্মের মানুষরাও নিরাপদে নেই। এই সরকার প্রশাসনকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে।এই সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট দুর্নীতির করেছে। দেশের গণতন্ত্র আজ এই সরকারের হাতে নিরাপদ নয়। দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকার পতন ঘটাতে হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী হিন্দু ছাত্র ফোরাম মহানগর শাখার সভাপতি বিপ্লব চৌধুরী বিল্লুর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সুকান্ত তালুকদার জুয়েলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান, আরো উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, সদস্য মো. কামরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সদস্য সচিব ডা. বেলায়েত হোসেন ডালি, জাতীয়তাবাদী হিন্দু ছাত্র ফোরাম কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজীব ধর তামাল, কোতোয়ালি থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, হিন্দু ছাত্র ফোরাম নেতা বাপ্পি দে, সুজন দাস, সুমন ঘোষ বাদশা, ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সেন, মিঠুন দাস, সাজু দাস, সঞ্জয় দাস, অসীম বণিক, দিলীপ মিত্র, প্রান্ত বাসক, রনি দে, রঞ্জন দত্ত প্রমুখ।