জনগণের দাবি সরকার পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে : মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:২৭ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ১২:৫২ এএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
নির্দলীয় সরকারের ফর্মুলা ‘সময় হলেই’ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বুধবার সকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এটা তো আমরা যখন সময় আসবে, তখন সেই (নির্দলীয় সরকার) ফর্মুলা দিয়ে দেবো অবশ্যই। আমরা কার কাছে পদত্যাগ করব-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দেয়া বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, ওনারা নিরপেক্ষ যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হবে তাদের কাছে পদত্যাগ করবেন। সেটার জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন হবে প্রশ্নকর্তা এমন প্রশ্ন তুললে তিনি বলেন, সেই সংবিধান সংশোধনে তাদেরকেই উদ্যোগ নিতে হবে। কারণ ক্রাইসিসটা তারা ক্রিয়েট করেছে এবং দায়িত্বটাও তাদের। জনগণের দাবি যেহেতু এটা, জনগণের এই দাবি মেনে নিয়ে তাদেরকে অবশ্যই সেই উদ্যোগ গ্রহণ করে যেমন আমরা করেছিলাম ২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান পার্লামেন্টে পাস করে সংশোধন করেছিলাম। সেই একইভাবে করা যেতে পারে। এটা আমি আমার কথা বলছি, এটা আমার পার্টির সিদ্ধান্ত নয়। আমরা এখনো এই ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত দেইনি। কিন্তু এটাই হচ্ছে পদত্যাগের একমাত্র পথ।
যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা শিগগিরই আসবে বলে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা খুব শিগগিরই আসবে। খুব তাড়াতাড়ি। মির্জা ফখরুল বলেন, গত ১০ আগস্ট থেকে এই পর্যন্ত নুরে আলম, আব্দুর রহিম, শাওন, শহীদুল ইসলাম শাওন ও আব্দুল আলিম- ৫ জন নিহত হয়েছে। তার মধ্যে ফ্যাসিস্ট সরকারের পুলিশ ৪ জনকে গুলি করে এবং ১ জনকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে। ২৭শ ৬৮ জনের অধিক আহত হয়েছে, ২৯৪ জন কর্মী গ্রেফতার হয়েছে। প্রায় ৭৫টি মিথ্যা মামলায় এজাহারভুক্ত ৫৪শ ৭০ জনসহ ২৫ হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা দেয়া হয়েছে। আমরা এহেন মিথ্যা মামলা দায়েরের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। জনগণের ন্যায়সঙ্গত দাবিতে চলমান আন্দোলন দমন করতেই এই অনির্বাচিত সরকার হত্যা, পুলিশি নির্যাতন, মিথ্যা মামলার আশ্রয় নিচ্ছে।
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ তৈরির অসারতা প্রমাণিত বলে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী ডিজিটাল জ্ঞানে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশে ইন্টারনেট প্রবৃদ্ধি অন্যতম প্রতিবন্ধকতা উল্লেখ করে শেখ হাসিনার পুত্র এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ব্যর্থতার একটা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে বলে স্থায়ী কমিটির সভা মনে করে। ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরি করার যে দাবি তার অসারতা প্রমাণ হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে ব্যবহারে প্রাথমিক শিক্ষকদের করণীয় বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সার্কুলার জারির নিন্দা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা উদ্বেগজনক। এই সার্কুলারে এটাই প্রমাণিত হয় যে, এই সরকার যে কর্তৃত্ববাদী সরকার, আমরা যে বলছি এই সরকার বাক-স্বাধীনতায় সর্বক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করছে সেটা আরো প্রমাণিত হয়েছে। এই সার্কুলার জারির মধ্য দিয়ে এখন চলমান আন্দোলনকে দমন করার ক্ষেত্রে আরেকটি নজির স্থাপন করলো সরকার। পঞ্চগড়ের করতোয়া নদীতে নৌকাডুবিতে শতাধিক মানুষের প্রাণহানিতে গভীর শোক প্রকাশ, নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধার ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব। ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির অপসারণের দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের নবনির্বাচিত যে কার্যকরী কমিটি তার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নেতৃবৃন্দ তারা প্রচলিত নিয়মানুযায়ী ভিসির সঙ্গে সাক্ষাৎকারের একটা অনুমতি নিয়ে গতকাল বিকাল ৪টার দিকে ফুলের তোড়া নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করছিল। সেই সময়ে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর হামলা করে জঘন্যভাবে একটা বলা যেতে পারে যে তাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রচন্ডভাবে বাঁশ দিয়ে মারধর করে। পত্রিকায় ছবিও এসেছে। ছাত্রদলের আহতরা এখন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। আমরা এই জঘন্য মধ্যযুগীয় বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার ও যথাযথ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর যিনি ছাত্রদের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন তাকে অপসারণের দাবি জানাচ্ছি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, অনির্বাচিত আওয়ামী সরকারের নির্দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রলীগে হামলা, নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করা দেয়া এবং সারা দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হয়েছে। কয়েক দিন আগে ইডেন কলেজের হোস্টেলে কি হয়েছে, তার আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কি হয়েছে আপনারা দেখেছেন- সব জায়গাতে তাদের নিজেদের মধ্যে গোলমাল সাধারণ ছাত্রদের ওপর আসে। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোর ওপরেও তারা ঠিক একইভাবে হামলা করছে। কিছুদিন আগে নেত্রকোনায় গণঅধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দ একটা প্রোগ্রামে গিয়েছিলেন তাদের ওপর জঘন্যভাবে আক্রমণ করা হয়, মারধর করা হয়, বলা যায় যে, হত্যার উদ্দেশ্যে তারা আক্রমণ করেছে।
সোমবার রাতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
সভায় নিম্নবর্ণিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয় :
১। সভায় বিগত ১৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ পঠিত ও অনুমোদিত হয়।
২। সভায় মুন্সিগঞ্জে ২১ সেপ্টেম্বর বিএনপির পূর্ব ঘোষিত শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশের গুলিতে যুবদল কর্মী শাওন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর ২২ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করে। আরও অসংখ্য কর্মী আহত হয়। তাদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সভায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। আগস্ট থেকে জ¦ালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে চলমান কর্মসূচিতে গতকাল পর্যন্ত ভোলায় নূরে আলম, আব্দুর রহিম, নারায়ণগঞ্জে শাওন, মুন্সিগঞ্জে শহিদুল ইসলাম শাওন, যশোরে আব্দুল আলিম- ৫ জন নিহত হয়, তার মধ্যে ফ্যাসিস্ট সরকারর পুলিশ ৪ জনকে গুলি করে এবং ১ জনকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে, ২৭শ ৬৮ জনের অধিক আহত, ২৯৪ জন কর্মী গ্রেফতার, প্রায় ৭৫টি মিথ্যা মামলায় এজাহারভুক্ত ৫৪শ ৭০ জন করে প্রায় ২৫ হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। সভা মনে করে, জনগণের ন্যায়সংগত দাবিতে আন্দোলন দমন করতেই এই অনির্বাচিত সরকার, হত্যা, পুলিশি নির্যাতন, মিথ্যা মামলার আশ্রয় নিচ্ছে। জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন, নির্যাতনকারী, মানবাধিকার হরণকারী এই খুনি সরকারকে সকল হত্যা ও নির্যাতনের সকল দায় স্বীকার করে অবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীকে মুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সকল নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। সভায় অনির্বাচিত সরকারের দাবিতে চলমান আন্দোলনকে আরও বেগবান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আব্দুর রহিম, নূরে আলম, শাওন, শহিদুল ইসলাম শাওন, আব্দুল আলিমের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আগামী ৬ অক্টোবর দেশের সকল মহানগর পর্যায়ে এবং ১০ তারিখে সকল জেলা পর্যায়ে শোক র্যালি অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
৩। সভায় পঞ্চগড়ের করতোয়া নদীতে নৌকাডুবিতে এ পর্যন্ত প্রাপ্ত সংবাদ অনুযায়ী শতাধিক মানুষের প্রাণহানিতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয। এ পর্যন্ত ৬৫টি লাশ উদ্ধার হয়েছে, আশঙ্কা আরও ২৫-৩০ জন নিখোঁজ রয়েছে। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় সরকারের সক্রিয় উদ্ধার তৎপরতা না থাকায় তীব্র নিন্দা জানানো হয়। অবিলম্বে নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধার এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানানো হয়।
৪। জাতিসংঘের ৭৭তম অধিবেশনে যোগদান শেষে নিউইয়র্কে শেখ হাসিনার দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিশেষ করে গুম, বিনা বিচারে হত্যাকান্ড এবং সরকারি দমন নীতি সম্পর্কে মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। একই সঙ্গে নির্বাচন সম্পর্কে শেখ হাসিনার নির্লজ্জ মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। সভা মনে করে, পরিকল্পিতভাবে শেখ হাসিনার সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলেছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোই তার প্রমাণ। এই নির্বাচনগুলোতে ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি। সভা মনে করে নির্লজ্জ মিথ্যাচার থেকে বিরত থেকে দেশে এসে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করাই তার উচিত।
৫। সভায় গণখাতে ক্রয় আইন লঙ্ঘন করে রাশিয়ার গম ক্রয় প্রক্রিয়া বেসরকারি ৩য় পক্ষকে যুক্ত করে বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি দামে গম আমদানির সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয। একইভাবে সরকারি ক্রয়খাতে ক্রয় আইন লঙ্ঘন করে ৩ গুণ বাড়তি দামে রাশিয়ান কোম্পানি গ্যাজপ্রমের সঙ্গে জনস্বার্থ পরিপন্থী ভোলায় ৩টি গ্যাস কূপ খননের চুক্তির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। বাপেক্স ও পেট্রোবাংলাকে কোনো সুযোগ না দিয়ে বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির মূল লক্ষ্য দুর্নীতি।
৬। সভায় এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী ‘ডিজিটাল জ্ঞানে পিছিয়ে থাকায় বাংলাদেশের ইন্টারনেট প্রবৃদ্ধি অন্যতম প্রতিবন্ধকতা’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনার পুত্র এবং তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ব্যর্থতার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরি করার যে দাবি তার অসারতা প্রমাণ করে।
৭। সভায় গণবিরোধী কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার কর্তৃক চাল, ডাল, জ্বালানি তেল, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য বৃদ্ধি, চলমান আন্দোলনে ভালায় নুরে আলম ও আব্দুর রহিম, নারায়ণগঞ্জে শাওন, মুন্সিগঞ্জে শহিদুল ইসলাম শাওন ও যশোরে আব্দুল আলিম- ৫ জন হত্যার প্রতিবাদে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে আগামী ৮ অক্টোবর ২০২২ হতে সারা দেশে বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম, ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহ, ২২ অক্টোবর খুলনা, ২৯ অক্টোবর রংপুর, ৫ নভেম্বর বরিশাল, ১২ নভেম্বর ফরিদপুর, ১৯ নভেম্বর সিলেট, ২৬ নভেম্বর কুমিল্লা, ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী এবং ১০ ডিসেম্বর ঢাকা।
৮। বাংলাদেশের নারী ফুটবলারদের সাফ চ্যম্পিয়ানশিপ অর্জন করায় ভূয়সী প্রশংসা করা হয় এবং নারী ফুটবলারদের অভিনন্দন জানানো হয়।