আমার মৃত ছেলের নামে মামলা দেয়া হয়েছে : শাওনের বাবা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:১৫ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০২:১৯ পিএম, ৭ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
শাওনের বাবা ছোয়াব আলী ভুঁইয়া বলেন, ‘আমার মৃত ছেলের নামে মামলা করা হয়েছে। এটা কিভাবে হয়? আমরা কোন দেশে বাস করি। আমি গরিব মানুষ। আমার ছেলে মিছিলে গেছে, তাকে গুলি করে মারছে। আমি আপনাদের কাছে বিচার চাই, যারা আমার ছেলেকে গুলি করে মারছে তাদের বিচার করে দেবেন।’
‘আমার বাড়িতে সমস্যা, বাড়িতে একজনে আমারে হুমকি দিতাছে এমন কিছু কইতাছে, মামলা করবো, এই করবো। আমি ভয়ে আছি। আমি আপনাদের কাছে একটা কথা বলি যে, আমার নিরাপত্তা কে দিবে। এখানে এই সাংবাদিক ভাইয়েরা আছেন- আপনারা আমার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে মিথ্যা বলতে হুমকি দেয়া হচ্ছে। আমার পরিবারকে হুমকি দিয়ে বলা হচ্ছে বিএনপি নেতাদের ঢিলের আঘাতে ইটের আঘাতে আমার ছেলের মৃত্যু হয়েছে।’
মুন্সিগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত যুবদল কর্মী শহীদুল ইসলাম শাওনের বাবা ছোয়াব আলী ভুঁইয়া বলেছেন, আমি হতভাগ্য এ শাওনের (ছবি দেখিয়ে) বাবা। পুলিশ আমার ছেলেকে গুলি করে মেরে ফেলেছে। আবার আমার ছেলের নামে মামলা হয়। আপনারা দেখছেন, মৃত মানুষের নামে কীভাবে মামলা হয়? এটা কোন দেশের পুলিশ, আমার ছেলেরে গুলি করে মারল। আবার আমার ছেলের নামে মামলা দিল। আমি গরিব মানুষ। আমি আপনাদের কাছে বিচার চাই।
আজ শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
ছোয়াব আলী ভুঁইয়া আরও বলেন, আজ চার দিন হয়ে গেছে আমরা সন্তান তো আর ফেরে না। ঢাকা মেডিকেলে আমার সন্তানের রক্তে পুরো বিছানা ভরে গেছে। আমার সন্তান মুন্সিগঞ্জে গুলি খাওয়ার পরে সেখানে স্থানীয় সদর হাসপাতালে নেয়া হলে আধা ঘণ্টা কোনো চিকিৎসা হয়নি, আটকে রেখেছে। সেখানে যদি চিকিৎসা হতো তাহলে আমার সন্তান বেঁচে যেত। আমার সন্তানের জন্য আপনারা দোয়া করবেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমার এবং পরিবারের খোঁজখবর নিচ্ছেন। শাওনের ছোট সন্তানের সবকিছু তিনি দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার পরিবারের প্রতিনিয়ত খোঁজখবর নেয়ায় তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন শাওনের বাবা।
ছোয়াব আলী ভুঁইয়া বলেন, আমার বাড়িতে সমস্যা। একজন আমাকে হুমকি দিচ্ছে আমার নামে নাকি মামলা করবে। আমি ভয়ে আছি। আমি আপনাদের বলি, এখন আমার নিরাপত্তা কে দেবে? সাংবাদিকরা আছেন, আপনারা আমার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবেন। আমি যেন নিরাপত্তা পাই, আমি যেন চলাফেরা করতে পারি, সেই ব্যবস্থা করে দেবেন।
তিনি বলেন, ‘সবাই দোয়া করবেন আমার ছেলের জন্য। আপনারা বুঝবেন না কি কষ্ট। যার ছেলে মারা গেছে সে বুঝবে কী কষ্ট?’