রাজশাহীতে বিএনপি মিডিয়া সেলের উদ্দ্যোগে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:১৮ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:২৩ এএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
রাজশাহীতে বিএনপি মিডিয়া সেল এর আয়োজনে নগরীর একটি হোটেল জবাবদিহিতা মূলক রাষ্টীয়ব্যবস্থা গঠনে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরবর্তি জাতীয় সরকার ও দ্বি কক্ষ বিশিষ্ট জাতীয় সংসদ অপরিহার্য বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আজ শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মিডিয়া সেল এর আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন।
সভার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএনপি মিডিয়া সেল এর সদস্য সচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। সমন্বয়কারী ছিলেন অধ্যাপক ডক্টর মোর্শেদ হাসান খান। অনুষ্ঠনটি সঞ্চালনা করেন মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন।
উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও রাসিক সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম মার্শাল, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য দেবাশিষ রায় মধু।
আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শাম্মী আক্তার, রুমিন ফারহানা এমপি, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা, সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ মামুন, জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব অধ্যাপক বিশ্বনাথ সরকার, বিএনপি নেত্রী মাহমুদা হাবিবা, সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরী, ব্যারিস্টার মীর হেলাল, সাংবাদিক আলী মাহমুদ, সাবেক ভিসি প্রফেসর ডক্টর রফিকুল ইসলাম, রুয়েট শিক্ষক ডক্টর প্রফেসর এস এম আবদুর রাজ্জাক, রাবি কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ডক্টর ফজলুল হক, রাজশাহীর দৈনিক দিনকালের রাজশাহী ব্যুরো প্রধান আব্দস সবুর, দৈনিক ইনকিলাবের রাজশাহী ব্যুরো প্রধান রেজাউল করিম রাজু, সুজনের সাধারণ সম্পাদক ড. হেমাতুল ইসলাম আরিফ, ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াসিম হোসেন, কৃষিবিদ প্রফেসর ড. আব্দুল আলীম, নদী বাঁচাও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের আহ্বায়ক এ্যাড. এনামুল হক, রাজশাহী বার এসোসিয়েশনের সভাপতি এ্যাড. আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. পারভেজ জাহিদি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর মাসুদুল হাসান খান মুক্তা, প্রফেসর সাইদুর রহমান, প্রফেসর ড. আমজাদ হোসেন, প্রফেসর জিয়াউর রহমান, প্রফেসর শামসুল আলম সরকার, প্রফেসর ড. হাবিবুর রহমান, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম, প্রফেসর মামুনুর রশিদ, চারুকলা বিভাগের ড. হীরা সোবহান, আইবিএর ড. গোলাম আরিফ, প্রফেসর আক্তার হোসেন, প্রফেসর নূরুল ইসলাম, রুয়েটের প্রফেসর ড. আক্তার হোসেন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য ব্যরিস্টার মাহাফুজুর রহমান মিলন সহ স্থানীয় রাজনৈতিক এবং সামাজিক নেতৃবৃন্দ, রাবি ও রুয়েট শিক্ষক, আইনজীবী ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত অতিথি ও নেতৃবৃন্দ মূল প্রবন্ধের উপর আলোচনা করতে যেয়ে বলেন, এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হলে কৌশল অবলম্বন করতে হবে। গতানুগতিক আন্দোলন করে কোন লাভ হবেনা। কারন এই সরকার ভোটহীন ভাবে ক্ষমতায় বসে আছে। জনগণের নিকট এই সরকারের কোন জবাবদিহিতা নাই। বিধায় তাঁকে বিতাড়িত করতে গণতন্ত্রকামী সকল রাজনৈতিক দলকে একত্রিত হতে হবে। দেশবাসীকে আন্দোলনে শরীক করতে হবে।
তাঁরা আরো বলেন, শুধু এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করলে হবে না। সরকারের মূল দোশর বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে বাদ দিয়ে নতুন করে জনগণের নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। দেশের সকল ধরনের মিডিয়াতে দলীয় কর্মসূচী গুলো ইতিবাচকভাবে তুলে ধরার ব্যবস্থা করতে হবে। সেইসাথে আইন শৃংখলাবাহিণীর সাথে লবি ও এডভোকেসী করতে হবে। এছাড়াও দলের মধ্যে নেতার ছড়াছড়ি হয়ে গেছে। নেতা কমিয়ে, কর্মীর সংখ্যা বাড়াতে হবে এবং যুগোপোগোগি আন্দোলন গড়ে তুলতে সবার অংশগ্রহন নিশ্চিত করার জন্য মিডিয়া সেলকে আরো শক্তিশালী ভূমিকা পালন করার পরামর্শম দেন তাঁরা। সেইসাথে এক কক্ষ ও দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট জাতীয় সংসদ নিয়ে কথা বলেন অতিথিবৃন্দ।
অতিথিবৃন্দ আরো বলেন, দেশের অবস্থা বর্তমানে খুন খারাপ। এদিকে নিত্যপন্যের উর্ধ্বগতি এবং অন্যদিকে রিজার্ভ ফান্ড কমে যাওয়ায় ব্যাংক সমুহে আর্থিক সংকট বেড়ে গেছে। ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়ায় আমদানীতে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে জনগণ অত্যন্ত খারাপ সময় পার করছে। যে কোন সময়ে দেশের অবস্থা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। এরজন্য সম্পূর্নভাবে দায়ী এই বিনা ভোটের সরকার। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে বাড়ি গাড়ি তৈরী করেছে। এখন আবার সব থেকে জালিয়াত ও চুরির যন্ত্র ইভিএম মেশিন ক্রয় করার জন্য নির্বাচন কমিশনার উঠেপড়ে লেগেছে। ইতোমধ্যে প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা বাজেট চেয়েছেন। এই টাকা কোন ভাবেই যেন ছাড় না সে ব্যবস্থা করার জন্য বিএনপি নেতৃবৃন্দকে পরামর্শ দেন তাঁরা।
সভাপতি সকলের কথা মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং আগামীর আন্দোলন ও সরকার গঠনের রুপ রেখায় এগুলো লিপিবদ্ধ করবেন বলে জানান। সেইসাথে বিএনপি মিডিয়া সেলের এই কর্মসূচীতে অংশগ্রহন সুন্দর মতামত ও পরামর্শ দেয়ার সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার কার্যক্রম শেষ করেন।