যুবদল কর্মী শাওনের মৃত্যু, পুলিশের দাবি ইটের আঘাত, মেডিকেল রিপোর্টে গুলি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৪ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ১০:০২ এএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
মস্তিষ্কে মারাত্মক ইনজুরির কারণে মৃত্যু হয়েছে মুন্সীগঞ্জের যুবদল কর্মী শাওনের। আর এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে গুলির কথা। ঢাকা মেডিকেলের ডেথ সার্টিফিকেটে শাওনের মৃত্যুর কারণ হিসেবে গুলির আঘাতের কথা বলা হলেও পুলিশ বলছে, নিজেদের কর্মীদের ছোড়া ইটের আঘাতেই মৃত্যু হয়েছে তার। উল্টো পুলিশের ওপর পরিকল্পিত হামলার অভিযোগ বাহিনীটির।
গত বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) মুন্সীগঞ্জে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, পুলিশের সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া হচ্ছে। এ সময় পুলিশ একটি ট্রাকের পেছনে আশ্রয় নেয়। যুবদল কর্মী শাওন ইট ছুড়তে ছুড়তে সেই ট্রাকের দিকে এগিয়ে যান। কাছাকাছি গিয়ে একটি বাঁশ কুড়িয়ে নেন তিনি। আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা ভিডিওতে দেখা যায়, ঠিক তখনই যুবদলের আরেক কর্মীর ছোড়া ইট মাথায় লাগে শাওনের। একই সময়ে ট্রাকের পেছনে যেখানে পুলিশ সদস্যরা ছিলেন সেই দিকে শব্দ শোনা যায় এবং উড়তে দেখা যায় ধোঁয়া।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির একদিন পর মৃত্যু হয় শাওনের। মৃত্যুর কারণ হিসেবে গুলির আঘাতে মস্তিষ্কে মারাত্মক ইনজুরির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর ওপর হামলার পরিকল্পনা ছিল আগে থেকেই।
মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিনহাজু-উল ইসলাম বলেন, যেহেতু তাদের অনুমতি ছিল না এবং মিছিল থেকে তারা বেশ মারমুখী ছিল। আমি বলার পর তারা আরও বেশি মারমুখী হয়ে উঠে। ওইখানে তাদের পূর্বপ্রস্তুতি ছিল।
সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ পুলিশ সদস্য। প্রাণ বাঁচাতে কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে নদীতে ঝাঁপ দিতেও দেখা যায়। তাদেরকে লক্ষ্য করে নদীর মধ্যেও ইটপাটকেল ছোড়া হয়। ঘটনায় দুটি মামলায় শাওনসহ ১ হাজার ৭৬৫ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। এখনও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে ঘটনাস্থলে। রাস্তায় পাশে স্তুপ করে রাখা ইট এখনও রয়েছে।