হামলাকারীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে, বিচার হবে : খন্দকার মোশাররফ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৯ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:২৭ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
বিএনপির কর্মসূচিতে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে রাখা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকালে যাত্রাবাড়ীর সায়েদাবাদে এক সমাবেশে তিনি এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জোন ৭ (যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা) এর উদ্যোগে জ্বালানি তেল ও দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতি, ভোলায় নুরে আলম, আব্দুর রহিম, নারায়নগঞ্জে শাওন প্রধান এবং পল্লবীসহ সারাদেশে বিএনপির কর্মসূচিতে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে এই সমাবেশ হয়।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, গত ১৫ বছরে বিএনপির বিরুদ্ধে অনেক হামলা-মামলা-গুম করে আমাদের দমাতে পারেননি। বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে সরকার। আমরা বলতে চাই এতো কিছুর পরেও যদি আপনারা বিএনপিকে এই পর্যন্ত দুর্বল করতে না পেরে থাকেন আর চেষ্টা কইরেন না। আমি বলতে চাই, এভাবে হামলা করে আপনারা চিহ্নিত হচ্ছেন, জনগণের কাছে চিহ্নিত হচ্ছেন। জনগণের কথা আমরা যারা বলছি, তাদের বিরুদ্ধে আপনারা দাঁড়াচ্ছেন, আমাদেরকে লাঠি পেটা করছেন। জনগণ আপনাদেরকে চিহ্নিত করে রাখছে। ইনশাল্লাহ বেশিদিন সময় নাই, আপনাদেরকে জনগণের সামনে জবাবদিহি করতে হবে, আপনাদের বিচার হবে। পুলিশ বাহিনীর উদ্দেশে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমি পুলিশ ভাইদের বলতে চাই, আপনারা কোনো দলের কর্মকর্তা-কর্মচারী নন। আপনারা এদেশের মানুষের ট্যাক্সের পয়সায় প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী। এভাবে হামলা করে আজকে আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে নিজেদের শপথ ভঙ্গ করছেন। আমরা বলতে চাই, অনেক হয়েছে, আর নয়। আর আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর আপনারা হামলা করবেন না।
তিনি বলেন, সরকারের মেগা দুর্নীতির জন্য আজকে দেশে দুরবস্থা, এই মেগা দুর্নীতির জন্য আজকে আমাদের রিজার্ভ কমে গেছে, আজকে ডলারের সংকট, আমদানি-রফতানি কমে গেছে। ওরা শেয়ার বাজার লুট করেছে, রিজার্ভ লুট করেছে, ব্যাংকের অর্থ লুট করেছে। এই দুরবস্থা থেকে এদেশের মানুষকে মুক্ত করতে হলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। এই আওয়ামী লীগ পঁচাত্তরের গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। আবার শেখ হাসিনা গণতন্ত্র হত্যা করে গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল করে আছে। গণতন্ত্র হত্যাকারীদের জনগণ আর চায় না। আমাদের আজকে দায়িত্ব দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে, এদেশের সকল গণতান্ত্রিক দেশপ্রেমিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটাতে হবে। এর কোনো বিকল্প নাই। আসুন আমরা সকলে মিলে এদেশকে মুক্ত করি, জনগণের দাবি, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, আমরা গণতন্ত্রের ক্ষমতায় বিশ্বাস করি। জনগণ শুধু একটা ভোট দিতে চায়। আর কিছু চায় না। এই সরকার কি করেছে? সেই ভোট চুরি করে নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট ছিনতাই করে একটি ভুয়া সংসদ তৈরি করেছে। এই ভুয়া সংসদ বাতিল করতে হবে, এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, একটি নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ^াস, বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, সাবেক সংসদ সদস্য ফজলুল হক মিলন, নাজিম উদ্দিন আলম, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আ ক ম মোজ্জামেল হক, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী প্রমুখ।