বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে রণক্ষেত্র মুন্সিগঞ্জ, আহত দেড় শতাধিক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০১ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:২৬ পিএম, ১৫ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানা গেছে। এর ফলে উপজেলার মুক্তারপুরের পুরোনো ফেরিঘাট এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ ঘটনায় দেড় শতাধিক আহত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে খবর পাওয়া গেছে।
আজ বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে বিএনপির পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিকে ঘিরে পুলিশের সঙ্গে দলের নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়ান।
এ বিষয়ে পুলিশ ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, বিকেলে মুক্তারপুরের পুরোনো ফেরিঘাট এলাকায় বিএনপির পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। কর্মসূচি থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এগোতে চাইলে পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাধা দেয়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে দলের নেতা-কর্মীরা। জবাবে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
জানা যায়, প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে পুরো এলাকায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে সার্কেল এসপি মিনহাজুল ইসলাম, সদর থানার ওসি তারিকুজ্জামান, এসআই সুকান্ত বাউল, দাজল দাস, মাইনুদ্দিন, আসিনুল, অজিদ, মোজাম্মেল হক, কং রায়হান, ইলিয়াস খানসহ অন্তত ১৫ জন পুলিশ, সমকালের সাংবাদিক কাজী সাব্বির আহম্মেদ দীপু, কালবেলার সাংবাদিক মো: রুবেল, দিনকালের সাংবাদিক গোলজার হোসেন, রজত রেখার সাংবাদিক নাজির হোসেন এ ঘটনায় আহত হয়েছেন। এই সংঘর্ষে ৫-৬ জন গুলিবিদ্ধসহ বিএনপির দেড় শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুজ্জামান বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির আলোকে বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। সেই বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশ প্রশাসন উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে তারা আমাদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা করে। এ সময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করি। লাঠিচার্জেও নিয়ন্ত্রণ না এলে এক পর্যায়ে টিয়ার্সেল গ্যাস নিক্ষেপ করেও তাদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। তাদের ইটপাটকেল নিক্ষেপে ৩০-৩৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।