গাজীপুরে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেফতার ৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০৫ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৪৮ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া তিনজন হলেন, মো. বাবুল, মনিক ও কিবরিয়া। তারা বেলুন সরবরাহ এবং বেলুনে গ্যাস ঢুকানোর সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ। গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বেলুন বিস্ফোরণের ঘটনায় গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় সদর থানার উপ-পরিদর্শক মোসাব্বির হোসেন বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অনুষ্ঠানে বেলুন সরবরাহের দায়িত্বে থাকা তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় জিএমপির ৪র্থ বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানের মঞ্চের পূর্ব পাশে ছোট উদ্বোধন মঞ্চে ওড়ানোর জন্য কিছু গ্যাস বেলুন নেয়া হয়। কিন্তু বার বার চেষ্টা করলেও বেলুনগুলো উড়ছিল না। পরে কয়েকজন পুলিশ সদস্য সেই বেলুনগুলো মঞ্চের পিছনে নিয়ে যান। পরে পায়রা উড়িয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্য অতিথিরা অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চে চলে যান। মূল মঞ্চে যাওয়ার কিছু সময় পর কয়েকজন পুলিশ সদস্য বেলুন বিক্রেতাকে বকাঝকা করলে বেলুন বিক্রেতা নিজেই বেলুনগুলো উড়ানোর চেষ্টা করার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি, গাজীপুর জেলা পুলিশের কনস্টেবল মোশারফ হোসেন, গাছা থানার কনস্টেবল রুবেল মিয়া ও ইমরান হোসেন, টঙ্গী পূর্ব থানার কনস্টেবল জিলুর রহমান আহত হন। পরে আশপাশের পুলিশ সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আবু হেনা রনি ও কনস্টেবল জিল্লুর রহমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান।
এদিকে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে শুক্রবার রাতেই গাজীপুর মহানগর পুলিশের ডিসি (উপ-কমিশনার, উত্তর) আবু তোরাব মো. শামসুর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, এডিসি (উত্তর) রেদোয়ান আহমেদ, এসি প্রসিকিউশন মো. ফাহিম আশজাদ ও গাজীপুর সদর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।