ইসির রোডম্যাপে ভোট হবেনা, রক্ত দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হবে : মনা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৩২ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:০০ এএম, ১৬ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত আগামী সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রত্যাখ্যান করে খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা বলেছেন, কোনো রোডম্যাপে কাজ হবে না। ভোট হতে হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। তার আগে এই অবৈধ ফ্যাসিবাদী নিশিরাতের সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। বিএনপির নেতাকর্মীদের রক্তে সারা দেশ রঞ্জিত। প্রয়োজনে আরও রক্ত দিয়ে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনা হবে।
রাজধানীর পল্লবীসহ দেশব্যাপী চলমান কর্মসূচিতে পুলিশের গুলিবর্ষণ, আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নৃশংস হামলা এবং সাবেক মন্ত্রী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলুর ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার বিরুদ্ধে আজ রবিবার খুলনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর ও জেলা বিএনপির যৌথ উদ্যোগে কর্মসূচি পালিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, এই সরকার চরমভাবে ব্যর্থ, অযোগ্য ও লুটেরা। পদে পদে তাদের ব্যর্থতা ও তাবেদারি প্রমাণিত। জনগণ তাদের সাথে নেই। এরা টিকে আছে বিদেশী প্রভু ও দেশীয় অস্ত্রবাজ বাহিনীর ছত্রছায়ায়। জ্বালানী তেল, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানাতে বিএনপির কর্মসূচিতে গুলি করে তিনজনকে হত্যা করা হয়েছে। আহত অসংখ্য। উল্টো তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। রাজনৈতিক শিষ্ঠাচারকে ধ্বংস করে বরকতউল্লা বুলু ও তার স্ত্রীর ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে। বনানীতে মোমবাতি প্রজ্জলনের মতো নীরিহ কর্মসূচিতে পৈশাচিক হামলা হয়েছে।
বক্তারা বলেন, চূড়ান্ত লড়াইয়ের মাধ্যমে বন্দী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। দল ও দেশের নেতৃত্বের জন্য তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। ফ্যাসিবাদের পতন ঘটাতে হবে।
সমাবেশে বক্তৃতা করেন জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, মোঃ তারিকুল ইসলাম জহীর, আবু হোসেন বাবু, শেখ তৈয়েবুর রহমান, শামীম কবির, মাহবুব হাসান পিয়ারু, একরামুল হক হেলাল, মুজিবর রহমান, এ্যাড. কানিজ ফাতেমা আমিন, আতাউর রহমান রনু, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি প্রমুখ।
কর্মসূচিতে অংশ নেন, স ম আব্দুর রহমান, কাজী মাহমুদ আলী, আব্দুর রকিব মল্লিক, মোস্তফা উল বারী লাভলু, মোল্লা মোশারফ হোসেন মফিজ, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, আশরাফুল আলম খান নান্নু, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, এনামুল হক সজল, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, চৌধুরী কওসার আলী, শেখ জাহিদুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, হাফিজুর রহমান মনি, আশফাকুর রহমান কাকন, অসিত কুমার সাহা, শেখ শাহিনুল ইসলাম পাখী, রুবায়েত হোসেন বাবু, মুরিশদ কামাল, আরিফ ইমতিয়াজ খান তুহিন, কে এম হুমায়ুন কবির, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, মোঃ হাফিজুর রহমান, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, কাজী মিজানুর রহমান, এহতেশামুল হক শাওন, মনিরুজ্জামান লেলিন, এস এম মুর্শিদুর রহমান লিটন, একরামুল কবির মিল্টন, চৌধুরী আব্দুস সবুর, আরিফুর রহমান, হাবিবুর রহমান বিশ^াস, খন্দকার ফারুক হোসেন, হাসানউল্লাহ বুলবুল, সরোয়ার হোসেন, রফিকুল ইসলাম বাবু, শেখ জামালউদ্দিন, সাইদুজ্জামান খান, আবু সাঈদ হালাদার আব্বাস, গাজী আফসারউদ্দিন, সরদার আব্দুল মালেক, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, রাহাত আলী লাচ্চু, আনসার আলী, নাসির খান, আব্দুস সালাম, কাজী শাহনেওয়াজ নীরু, আব্দুর রহমান ডিনো, তারিকুল ইসলাম, খন্দকার হাসিনুল ইসলাম নিক, মোঃ জাহিদুল হোসেন জাহিদ, শামসুল বারিক পান্না, শফিকুল ইসলাম শফি, আলী আক্কাস, ফারুক হোসেন, যুবদলের কাজী নেহিবুল হাান নেহিম, আব্দুল আজিজ সুমন, ছাত্রদলের আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তি, গোলাম মোস্তফা তুহিন, মোঃ তাজিম বিশ^াস, মহিলা দলের এ্যাড. কানিজ ফাতেমা আমিন, এ্যাড. হালিম আক্তার খানম, স্বেচ্ছাসেবক দলের ওয়াহিদুজ্জামান হাওলাদার, মুনতাসির আল মামুন, শ্রমিক দলের খান ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।
তীব্র গরমের ভেতরেও মহানগরের সকল থানা ওয়ার্ড এবং জেলার প্রত্যন্ত সব উপজেলা থেকে একের পর এক বিশাল মিছিল এসে কর্মসূচিতে যোগ দেয়।