জেলা প্রশাসককে চাকরি ছেড়ে আওয়ামী রাজনীতিতে আসার আহবান শামীমের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:১২ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৫৯ পিএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ফরম নেওয়ার সময় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক একজন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের মতো যেভাবে বক্তব্য দিয়েছেন, তা তিনি সরকারি চাকরিবিধি লঙ্ঘন করেছেন। যদি রাজনীতি করতে চান, তাহলে প্রজাতন্ত্রের চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে আসুন। আজকে ভোট ডাকাত এই সরকারের লুটপাট, দূর্নীতি, গুম খুন নির্যাতনে সারাদেশের মানুষ অতিষ্ঠ। এই সরকারের বিরুদ্ধে সারাদেশের জনগণ রাজপথে নেমে এসেছে, সেখানে একজন ডিসির এধরণের বক্তব্য কোনভাবেই কাম্য নয়। শুধু ডিসি নয়, সরকারী আমলারাও রাজনৈতিক ভাষায় কথা বলছেন। আমরা বলতে চাই, যেসব আমলা ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী যে সকল পুলিশ কর্মকর্তা আওয়ামী লীগের নেতাদের ভাষায় রাজনৈতিক বক্তব্য দিচ্ছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের দোসর হয়েছেন, তাদের তালিকা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের জনগণের কাছে আগামী দিনে তাদের জবাবদিহি করতে হবে।
আজ রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরীর নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে রাজধানীর পল্লবীসহ সারাদেশে বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশের গুলিবর্ষণ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নৃশংস হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির তিনি বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, অতীতের নির্বাচন কমিশনদের মতো এই নির্বাচন কমিশনও এই অবৈধ সরকারের আজ্ঞাবহ। যার কারণে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রূপরেখা অনুযায়ী নির্বাচনী রোডম্যাপ ও ইভিএমে নির্বাচন করার ঘোষণা করেছে। আমাদের স্পষ্ট কথা হচ্ছে, এই আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধীনে এই দেশে কোন নির্বাচন হবে না। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে, ইভিএম ব্যবহার করে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো এক তরফা ও ভোট ডাকাতির নির্বাচন এই দেশের জনগণ হতে দিবে না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্ববধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন হবে। আর তত্ত্ববধায়ক সরকারই নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করবে, সেই নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন হবে।
তিনি আরও বলেন, আজকে এই ফ্যাসিবাদ সরকারের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, তাতে এই চট্টগ্রামের মানুষ রাজপথে নেমে এসেছে। দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে চলমান আন্দোলনে সারাদেশের জনগণ রাজপথে নেমে এসেছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছেড়ে ঘরে ফিরে ফিরে যাবো না। আজকে শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে বিএনপির নেতাদের উপর হামলা মামলা শুরু করেছে। গতকাল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শ্যামা ওবায়েদ, তাবিথ আউয়ালসহ জাতীয় নেতা ও কর্মীদের উপর হামলা করা হয়েছে। এভাবেই হামলা করে জনগণের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। যেখানে হামলা হবে, সেখানে পাল্টা হামলা করতে হবে। যেখানে আঘাত আসবে, সেখানে পাল্টা আঘাত করা হবে। শেখ হাসিনা সরকারের পায়ের তলায় মাটি নাই, তাদের পতন সন্নিকটে। শেখ হাসিনা সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। আজকে মিথ্যা ও সাজানো মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়নি, দেশের গণতন্ত্রকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। অবিলম্বে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আসলাম চৌধুরীর মুক্তির দাবি জানান তিনি।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক ইউনুছ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক কাজী মো. সালাহউদ্দীনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এম এ হালিম, আলহাজ্ব ছালাউদ্দীন, নুরুল আমিন, নুর মোহাম্মদ, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, সরোয়ার আলমগীর, জসিম উদ্দীন সিকদার, আযম খান, এড. আবু তাহের, জসিম উদ্দীন চৌধুরী, শাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, আবু আহমেদ হাসনাত, জয়নাল আবেদিন দুলাল, জাকের হোসেন, দিদারুল আলম মিয়াজী, গাজী নিজাম, গিয়াস উদ্দীন চেয়ারম্যান, জহির আযম চৌধুরী, ছালে আহমদ ছলু, এজাহার মিয়া, আলমগীর হোসেন ঠাকুর, সোলায়মান মঞ্জু, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক ফজল বারেক, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এস এ মুরাদ চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সরওয়ার উদ্দীন সেলিম, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম বদরুল, মহিলা দলের সভানেত্রী নার্গিস আক্তার, ছাত্রদলের সভাপতি জাহিদুল আফছার জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল আলম জনি, জাসাসের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ উল্লাহ, মৎস্যজীবি দলের সভাপতি সফিউর রহমান চৌধুরী, ওলামাদলের সভাপতি মাওলানা জমির উদ্দীন প্রমুখ।