মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনীর তৎপরতা ও মর্টার শেলের আঘাতে হত্যাকান্ডের ঘটনায় বিএনপির নিন্দা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০৭ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০১:৫৭ পিএম, ১৬ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
সম্প্রতি মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনী বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গোলা নিক্ষেপের মাধ্যমে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় এক গভীর আতংকজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের বর্তমান অবৈধ ও অগণতান্ত্রিক সরকারের নতজানু ও দুর্বল কটুনীতির সুযোগে গত ২৮ আগস্ট শুরু হওয়া মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনীর সামরিক ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ বেড়েই চলেছে। যার সর্বশেষ উদাহরণ হচ্ছে, গতকাল মিয়ানমার বাহিনীর ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের বিপরীতে শন্যূরেখায় রোহিঙ্গা কিশোরের মৃত্যু। এতে এক শিশুসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় উখিয়ার কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কিশোরের মৃত্যু হয়। এর ফলে সীমান্ত এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
বাংলাদেশ সীমান্তে মর্টারশেল ছোড়ার এক সপ্তাহের মাথায় গত ৩ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার বাহিনী বারংবার আকাশসীমা লঙ্ঘন করে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার থেকে গোলা নিক্ষেপ করে। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমাšেরÍ শূন্যরেখার কাছাকাছি বাংলাদেশ ভূখণ্ডের ১২০ মিটারের ভেতরে পড়ে বিস্ফোরিত হয় যাহা সরাসরি আন্তরজাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন।
উল্লেখ্য যে, মিয়ানমার বাহিনী প্রায়শই যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার থেকে বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে গুলিবর্ষণ করছে।
আমাদের সকলের স্মরণে আছে, ২০১৭ সালের ২৫ ও ২৬ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও পুলিশের গণহত্যার মুখে প্রাণ বাঁচাতে আট লক্ষাধিক রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এমনিতেই ১২ লক্ষ রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশ মহা সংকটে রয়েছে। তার উপর এখন নতুন করে সীমান্ত সমস্যা সৃষ্টি করছে মিয়ানমার বাহিনী। আর এটা সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশের বর্তমান ফ্যাসিবাদী শাসক শেখ হাসিনার নতজানু পররাষ্ট্রনীতির ফলে।
এইদিকে বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত হত্যা অব্যাহত রয়েছে। এমনকি প্রধান মন্ত্রীর ভারত সফরের সময়েও সীমান্ত হত্যা সংঘটিত হয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবহিনী কর্তৃক আন্তার্জাতিক আইন লঙ্ঘন করতঃ গোলা বর্ষণ ও মটারশেল নিক্ষেপ করে হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
আমরা জতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি মিয়ানমারের এই ঔদ্বত্য প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য।
আমরা বাংলাদেশ সরকারকে আহবান জানাচ্ছি স্বাধীন ও স্বার্বভৌম বাংলাদেশের ভৌগলিক অখন্ডতা রক্ষার্থে মেরুদন্ড সোজা করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।