গণ-আন্দোলনের মাধ্যমেই শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত হবে : জি কে গউছ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৪৬ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ১১:৪৮ পিএম, ১৬ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও তিনবারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন, পৃথিবীর অনেক স্বৈরশাসক তাদের ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে চেয়েছেন, কিন্তু পারেনি। ইনশাল্লাহ বিনাভোটের ক্ষমতা চিরস্থায়ী হওয়ার বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা নেই। গণ-আন্দোলনের মাধ্যমেই শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত হবে। এ জন্য আজমিরীগঞ্জের প্রত্যেকটি এলাকায় বিএনপির দুর্গ গড়ে তুলতে হবে। জনস্রোতের সামনে কোন বাধাই দাঁড়াতে পারবে না।
আমাদের দাবী জ্বালানি তেলের দাম কমাতে হবে। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করার কারণে পরিবহন ভাড়া বেড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষকে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোতে চরম দুর্ভোগ নেমে এসেছে। এই জ্বালানি তেল ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পিছনে সরাসরি আওয়ামী সিন্টিকেট জড়িত। রাতের আধারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা আওয়ামীলীগ নেতারা লুটপাট করেছে। এই অবস্থায় একটি দেশ চলতে পারে না। তাই এই দখলদার সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের কথা বলতে হবে। আওয়ামীলীগের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাড়াতে হবে। এই বাকশালী আওয়ামীলীগ সরকারকে না সড়াতে পারলে মানুষের ভোটের অধিকার স্থায়ীভাবে হাড়িয়ে যাবে। মানুষের বাক-স্বাধীনতা থাকবে না, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা থাকবে না, মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা থাকবে না। তাই একটি গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত করতে হবে। এই আন্দোলনে সকলকেই শরীক হওয়ার আহবান জানান।
গতকাল বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে আজিমরীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথা বলেন।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি ও দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি এবং নারায়নগঞ্জ ও ভোলায় পুলিশের গুলিতে নেতাদের হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট হাবিবুর রহমান সওদাগরের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশ পরিচালনা করেন পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক খালেদুর রশীদ ঝলক।
জননেতা জি কে গউছ বলেন, পুলিশ রক্ষক হয়ে মানুষের আমানত খিয়ানত করেছে। এই পুলিশের সহায়তায় ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর রাতেই আওয়ামীলীগ ভোট ডাকাতি করেছে। মানুষের ভোটাধিকার হাইজেক করেছে। দেশের গণতন্ত্র হত্যা করেছে। আজকে যে পুলিশ বিএনপির সভা-সমাবেশ থেকে মাইক কেড়ে নিতে চায়, একদিন এই পুলিশ বিএনপির সভা-সমাবেশে মাইক লাগিয়ে দিবে। পুলিশ রেশন পায়, তাই তাদের শরীর গরম বেশি। কিন্তু মানুষকে বাজার থেকে ক্রয় করে ক্ষেতে হয়। তাই পুলিশ জনগণের কষ্ট বুঝে না। জনগণের দাবী আদায়ে রাজপথে নামলেও পুলিশ আমাদের বাধাঁ দেয়।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী, এডভোকেট হাজী নুরুল ইসলাম ও হাজী এনামুল হক, জেলা আহবায়ক কমিটি অন্যতম সদস্য মহিবুল ইসলাম শাহীন, তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জালাল আহম্মেদ, আজমিরীগঞ্জ পৌর বিএনপির আহবায়ক আলী আহমদ জনফুল, আজমিরীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সামসুল আলম, বানিয়াচং উপজেলার বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়ারিশ উদ্দিন খান, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মুহিবুর রহমান বাবলু, জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিল সফিকুর রহমান সিতু, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম কাইছার, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সহ সভাপতি এমদাদুল হক বাবুল, জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোতাহার হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ রাজীব আহমেদ রিংগন।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, আজমিরীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সাজিদুর রহমান সাজু, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুস সাত্তার, সুরুক মিয়া, বিএনপি নেতা শাহিদুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, আহমদ মিয়া, নুরুল হক, তৌহিদ মিয়া, ইমরান মিয়া, আলী হোসেন, ফুলমান মিয়া, হিরা মিয়া, রুহুল আমিন, মঈন উদ্দিন, আতর আলী, ডাঃ রাজিব রায়, রাজিব হাসান, রতন চৌধুরী, রাকেশ দাশ, আমিনুল মিয়া, খুর্শেদ মিয়া, বশির মিয়া, মুহিত মিয়া, সলিমুল্লাহ, কদর মিয়া, মকবুল আহমদ, আফজাল হোসেন, কাওসার মুহিবুর রহমান, শেখ আজিজুর মিয়া, আফরুজ মিয়া, সামসু মিয়া, মোছলেহ উদ্দিন মাষ্টার, করম আলী, কাছু মিয়া, মহি উদ্দিন, মসতু মিয়া, লিল মিয়া, রমাকান্ত সরকার, শাহজাহান উজ্জ্বল, আলা উদ্দিন, মোশাহিদ মিয়া, আবুল বাসার, মোফাচ্ছির আহমেদ, ময়না মিয়া, মনিরুজ্জামান মনির, মালেক মিয়া, বানিয়াচং উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সালাহউদ্দীন ফারুক, সদস্য সচিব নাজমুল হাসান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোজাম্মেল হক, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক এনাম চৌধুরী, সদস্য সচিব এনামুল মুহিত চৌধুরী সজল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ১ম যুগ্ম আহবায়ক আনিসুজ্জামান রজ্ঞু, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক জুয়েল রানা, সাহেল আহমদ, শামিম আহমদ শিবলু, নুরুল ইসলাম, নাসির উদ্দীন টিটু, মহিবুর রহমান, রতন মিয়া,সৌরভ আহমেদ, সায়মন সুমন, এনামুল হক, জুমন মড়ল, পৌর যুবদলের আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলু, সদস্য সচিব আতিকুর রহমান আতিক, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জসিম উদ্দিন, খায়রুল বাশার রুকন, জমসেদ মিয়া, আবু বক্কর, আকাশ পারভেজ, বাবলু মিয়া, পৌর কৃষক দলের আহবায়ক কবির মড়ল, বানিয়াচং উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শরীফ ঠাকুর, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক জিবলু আহমেদ, সদস্য সচিব পিয়ার আহমদ, যুগ্ম আহবায়ক মেহেদী হাসান মিশু, আজমল হোসেন, মোশাররফ পারভেজ, পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক সিদ্দিকুর রহমান অভি, যুগ্ম আহবায়ক রাকিব হাসান, সদস্য সচিব দিপু হাসান, আজমিরীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলের ফখরুল ইসলাম, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রাহী সম্রাট, কামরুল হাসান শাওন, আব্দুর রহমান জনি, হিফজুর রহমান বাবু,জুনাঈদ আহমেদ,কামাল আহমেদ, মুনছুর আহমেদ সুজন, কফিল উদ্দিন সজিব, তোফায়েল আহমেদ, হুমায়ুন আহমেদ আকাশ প্রমুখ।