শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের মৃত্যুতে তারেক রহমান এর শোক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৫৮ এএম, ১৫ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:০০ এএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি'র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ভাষা সৈনিক, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী, সাবেক মন্ত্রী এবং দেশের বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন (৮৩) গতকাল রাত সাড়ে নয়টায় রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ এক শোকবার্তায় বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, "মরহুম শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বাংলাদেশের একজন অভিজ্ঞ ও খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন দক্ষ পার্লামেন্টারিয়ান। তিনি ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে এদেশের স্বাধীকার ও স্বায়ত্বশাসনের আন্দোলনে অসামান্য অবদান রেখেছেন। স্বাধীনতাযুদ্ধে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়। দেশের একজন প্রথিতযশা রাজনীতিিিবদ হিসেবে সরকার এবং বিরোধী দলে থাকাকালে তিনি যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা উত্তরপ্রজন্মের কাছে শিক্ষণীয়। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শণে বিশ্বাসী হয়ে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি-তে যোগদান করেন এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জাতীয় ও দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন। মন্ত্রী হিসেবে দেশের উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কাজে তাঁর নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি ছিল প্রশংসনীয়। দেশবাসী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি চিরদিন তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। তাঁর মৃত্যু দেশ ও দলের জন্য বিশাল ক্ষতি। দল-মত নির্বিশেষে সকলের নিকট তিনি ছিলেন অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র। দেশমাতৃকার এই সাহসী সন্তান মুক্তিযুদ্ধে যে অদম্য ভূমিকা পালন করেছিলেন তা দেশবাসীর কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তিনি ছিলেন স্পষ্টভাষী, উদার, সজ্জন ও বিনয়ী মানুষ। জাতীয়তাবাদী ও বহুদলীয় গণতান্ত্রিক চেতনাকে দৃঢ়ভাবে বুকে ধারণ করে মানুষের বাক-ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার স্বপক্ষে তিনি সবসময় সোচ্চার ছিলেন। তাঁর মতো একজন বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে ব্যথিত হয়েছি। আমি শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন এর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকার্ত পরিবারবর্গ, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা।"
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর শোকবার্তা
পৃথক শোকবার্তায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাধীনতা সংগ্রামী, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, ভাষা সৈনিক, সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী, সাবেক মন্ত্রী, বিএনপি'র ভাইস চেয়ারম্যান ও দেশের সম্মানীত রাজনীতিবিদ শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। শোকবার্তায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, "বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শণ, দেশের স্বাধীনতা ও বহুদলীয় গণতান্ত্রিক আদর্শই ছিল মরহুম শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন এর রাজনৈতিক জীবনের পথচলা। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের স্বাধীকার ও স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর মৃত্যুতে দেশ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সত্যিকারের একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ ও ব্যক্তিত্বকে হারালো যার অভাব সহজে পূরণ হবার নয়। মরহুম শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ইহকালের মায়া ত্যাগ করে পরপারে চলে গেলেও দেশবাসীর হৃদয় থেকে কোনদিনও বিস্মৃত হবেন না। অনন্য্য বাগ্মী এই নেতা খুব সহজেই মানুষকে আপন করে নিতে পারতেন। স্বাধীনতাযুদ্ধে তাঁর সাহসী ভূমিকা দেশবাসী চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
গণতন্ত্রের প্রতি তাঁর ছিল অবিচল আস্থা। তিনি ছিলেন একজন জনঘনিষ্ঠ কর্মীবান্ধব রাজনীতিবিদ। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি সমাজসেবার নানাবিধ কাজের সাথেও নিজেকে যুক্ত রেখেছিলেন। তিনি নিজ এলাকার নানামূখী উন্নয়নের অগ্রদূত। সরকারের মন্ত্রী হিসেবেও তিনি সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ছিলেন একজন দক্ষ পার্লামেন্টারিয়ান, তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি জাতীয় সংসদকে প্রাণবন্ত রাখতেন। বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সহকর্মী হিসেবে নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল শাহ মোয়াজ্জেম গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে তাঁর কন্ঠস্বর ছিল উচ্চকিত। দলমত নির্বিশেষে তিনি ছিলেন সবার নিকট একজন শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি। তাঁর মৃত্যু দেশের জন্য্য গভীর শুন্যতা। আমি শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন এর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যবর্গ, আত্মীয়স্বজন এবং শুভাকাঙ্খীদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা।"