গণতান্ত্রিক দেশগুলোর কাছে তুলে ধরতে হবে বাংলাদেশের প্রকৃত চিত্র : মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:২২ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ১১:১৪ পিএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
গত ১০ সেপ্টেম্বর শনিবার বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫ টায় লাকেন্বা লাইব্রেরি হলে অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সম্মানিত সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সহ- আন্তর্জাতিক সম্পাদক এবং বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কমিটির সদস্য মোহাম্মদ রাশেদুল হক৷
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন অষ্ট্রেলিয়া বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক মনিরুল হক জর্জ, ডাক্তার আব্দুল ওয়াহাব, ইয়াসির আরফাত সবুজ, জাহিদুর রহমান, মশিউর রহমান তুহিন, আসাদুল হক বাবু, আবিদা সুলতানা, সেলিম লকিয়ত, আব্দুল মতিন উজ্জ্বল এবং আইপিডিসির খালেদ সাইফুল্লাহ।
বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বর্তমান সরকারের সফলতা বলতে কিছু নেই। গণতন্ত্রকে হত্যা আর মানবাধিকার হরণই তাদের বড় সাফল্য। গণতন্ত্রকে হত্যা করে দেশে প্রতিষ্ঠা করেছে একদলীয় বাকশাল। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশে নির্বাচনি ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। তাদের অধীনে দেশে কখনো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের দুঃশাসনের বিষবাষ্প আরও ভয়াবহ রুপ ধারণ করেছে। বিশ্বের গণধিকৃত সকল স্বৈরাচারকে টেক্কা দিয়ে জনসমর্থনহীন বর্তমান আওয়ামী সরকার অবর্ণনীয় দুঃশাসন জারি রেখে বিএনপি এবং বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তাকে এখন চরম হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, অবৈধ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সরকার সারাদেশে শুরু করেছে হত্যা, গুম, খুন, হামলা-নির্যাতন। এ সরকার শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আচরণের কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি তুলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, সরকারের পদত্যাগের পর নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে এবং সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। একই সঙ্গে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মধ্য দিয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক একটি সরকার গঠন করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অস্ট্রেলিয়া বিএনপির উদ্দেশ্য বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে বাংলাদেশের বর্তমান গণতন্ত্রকে হত্যা, দুঃশাসন, হত্যা, গুম, খুন, হামলা-নির্যাতন বিষয়ে অবগত করে তাদেরকে গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নেয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়া বিএনপির কার্যক্রমক হাতে নিতে হবে।
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ইউএসএ যেভাবে সেনশন দিয়ে বাংলাদেশের অপকর্মের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে এবং জাতিসংঘ যেভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা, দুঃশাসন, হত্যা, গুম, খুন, হামলা-নির্যাতন শক্ত অবস্থান নিয়েছে সমজাতীয় অবস্থান অস্ট্রেলিয়ায় প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে বের করতে অস্ট্রেলিয়া বিএনপির বিশেষ কার্যক্রম হাতে নিতে হবে।
উপস্থিত নেতৃবৃন্দ আসরাফুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম নাফিস, খাজা দাউদ হোসেন, সাইফুল ইসলাম, খন্দকার আব্দুল হক, আনোয়ার হোসেন, আরিফ তাহির, আবুল কালাম মানিক, মোঃ মোতাহার, হাসিব মোহাম্মোদ.ফকরুল হক মুন্না, আশিকুর রহমান, মাসুদুর রহমান, মোহাম্মদ জসিম, জাহিদুল ইসলাম, গোলাম রাব্বী, আব্দুল করিম, আহবাব হোসেন সুন্না, মোহাম্মদ কুদ্দুসুর রহমান, একে মানিক, মোবারাক হোসেন, মো. জসিম চৌধুরী, মাহমুদুল হাসান, এম ডি হান্নান রানা, মুফিজুল ইসলাম সাগর, মো. নূর এ মুস্তাফা, মো. তুহিন হোসেন, ইমদাদুল হক চৌধুরী, মো. জিয়াউর রহমান, মো. বদর উদ্দিন, মো. ওয়াসেল উল্লাহ, মো. মুকতার হোসেন, পলাশ ফারুক, মো. শেখ ফরিদ, মো. হুমায়ুন কবির, মো. আলিম, ইলিয়াস হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. আলী হোসেন, ওয়ারেস মাহমোদ, সউদ আহমেদ, মোহাম্মদ আলী, জাহেদ আহমেদ, মো. মামুনুর রশিদ,আশরাফুল আলম, ফারুক হোসেন খান, মফিকুল ইসলাম, মো. হাসান, পারবেজ আলম, মোহাম্মদ জসীম, মোহাম্মদ স্বপন মিয়া, মোহাম্মদ তারেক, তুহিন খন্দকার, আজমল হোসেইন, কাবির, আবুল কাসেম, সিরাজ, নুরুল হক, রেজা, আজিম, মাহফুজ, গোলাম মাওলা, আব্দুল মান্নান প্রমূখ।